আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
এটা ছিল আমার গের প্রশ্ন - আসসালামু আলাইকুম, আমাদের বাথরুমের যেই কাপড় ঝুলানোর জায়গাটা আছে আমি সেটা পাক না, অনেক সময়ই ভেজা নাপাক কাপড় রাখি, পরে ধুয়ে ফেলি কিন্তু এবারও নাপাক ছিল আর ধুইতে মনে নেই। এমতাবস্থায় আমাদের বাসায় মেহমান আসে আর তারা গোছল করে এবং তাদের কাপড় ধুয়ে আমাদের হেঙ্গারে ছড়ায়। এখন হয়ত তারা যখন কাপড় ধুয়েছিল তখন বাথরুমের সেই জায়গায় ঝুলিয়ে রাখতে পারে বা বালতিতেও রাখতে পারে। পরে যখন হেঙ্গারে দেয় তখন আমার খেয়াল হয়, আমি ভাবি পরে আমি হেঙ্গার গুলো ধুয়ে নেবো। এদিকে পরেরদিন তাদের কাপড় শুকিয়ে যাওয়ার পর আমাদের ধোয়া/ভিজা কাপড় সেই হেঙ্গারগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন আমার খেয়ালও নাই কোন কোন হেঙ্গার, এক্ষেত্রে আমাদের কাপড়গুলো আবার ধোয়া তো মুশকিল, এখন আমি কি আমাদের কাপড়গুলো পাকই ধরবো? আর হেঙ্গারগুলো কি ধুবো? যেহেতু তাদের ভিজা কাপড় ছিল আর তারা বাথরুমের সেই জায়গায় ঝুলিয়েও রাখতে পারে যেখানে আগে ভিজা নাপাক কাপড় ছিল। আর হেঙ্গারগুলোতে পরে আমাদের ভেজা ধোয়া কাপড় ছড়ানো হয়। (যদিও নাপাকির কোন গন্ধ বা রঙ আসবে না)
এতটুকু ছিল আমার আগের প্রশ্ন, আমি উত্তর পেয়েছি যে *আমি নিশ্চিত হলে বা গন্ধ বা চিহ্ন পেলে প্রচণ্ড সন্দেহবশত আবার কাপড়গুলো দিয়ে নিতে।* আমি নিশ্চিত অনেকটা কিন্তু কোন চিহ্ন বা গন্ধ নেই কাপড় বা হেঙ্গারে। আর তাদের কাপড় ছিল ৪/৫ টা, আর আমাদের কাপড় ২০/২৫ টার মতো, সবগুলো ধোয়া তো সম্ভব না আর আমি জানিও না কোন কোন কাপড়। এদিকে ঘরের সবার কাপড়, আমার আর আম্মু অতিষ্ট হয়ে গেছে আমাকে নিয়ে। এবার কিছু বলার সাহসও নেই কি করবো.. আর নাপাক জায়গাটা নাপাকও হয়েছিল আমার ভুলের কারণেই, আমি ধুয়ে আসলেই সারতো। আম্মু অলরেডি মানা করেছে যে আর ধুবে না, আমি যেহেতু বলে দিছি এবার তাদের ইচ্ছা, এখনো কি আমি গুনাহগার হবো? আর সেখানে থাকা শুধু আমার কাপড় গুলো আমি আবার ধুয়ে নিলে হবে? সামনের বার কাপড় ধোয়ার আগে ইনশাআল্লাহ আমি হেঙ্গার গুলো ধুয়ে নিবো কি?
জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (639,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে হেঙ্গার গুলোতে নাপাকি লাগা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হলে বা তাতে নাপাকির গন্ধ বা কোনো চিহ্ন পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে যদি হেঙ্গারে ভেজা কাপড় নাড়িয়ে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সন্দেহ জনক কাপড় গুলি আবার ধুয়ে পাক করবেন।

অন্যথায় পাক করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...