আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ 

 

সুহাইব (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) সালাত শেষ করার সময় এ দোয়া বলতেন -

اَللَّهُمَّ أَصْلِحْ لِي دِيْنِيَ الَّذِي جَعَلْتَهُ عِصْمَةَ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتِي جَعَلْتَ فِيهَا مَعَاشِيْ، اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِعَفْوِكَ مِنْ نِقْمَتِكَ، وَأَعُودُ بِكَ مِنْكَ، اَللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

 

হে আল্লাহ্‌, আপনি আমার দ্বীনকে সংশোধিত-কল্যাণময় করুন, যাকে আপনি আমার রক্ষাকবজ বানিয়েছেন এবং আমার পার্থিব জীবনকে সংশোধিত করুন, যাতে আমার জীবন ও জীবিকা রেখেছেন। হে আল্লাহ্‌, আমি আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আপনার সন্তুষ্টির নিকট, আপনার শাস্তি থেকে আপনার ক্ষমার নিকট এবং আপনার থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্‌, আপনি যা প্রদান করেন তা ঠেকানোর কেউ নেই। এবং আপনি যা প্রদান না করেন তা প্রদান করার ক্ষমতাও কারো নেই। এবং কোনো পারিশ্রমকারীর পরিশ্রম আপনার ইচ্ছার বাইরে তার কোনো উপকারে লাগে না।

রেফারেন্স: হাসান (ইবনে হাজার)। আলফুতুহুতুর রাব্বানিয়্যাহ ৩/৭১
Source: দোয়া ও রুকিয়াহ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
 

১। এখানে আল্লাহর কাছে আল্লাহ থেকে আশ্রয় চাওয়া দ্বারা কি উদ্দেশ্য?

২। সায়্যিদুল ইস্তেগফারে আবদুক এর জায়গায় মেয়েরা আমাতুক বলবে? নাকি যেমন আছে তেমনই পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (637,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي آخِرِ وَتْرِهِ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ من سخطك وبمعافاتك من عُقُوبَتك وَأَعُوذ بك مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে এ দু’আ পড়তেনঃ

’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিরিযা-কা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমু’আ-ফা-তিকা মিন ’উকূবাতিকা ওয়া আ’ঊযু বিকা মিনকা, লা- উহসী সানা-য়ান ’আলায়কা, আন্তা কামা- আসনায়তা ’আলা- নাফসিকা’’ 

(অর্থাৎ ’হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে তোমার গজব থেকে, তোমার নিরাপত্তার মাধ্যমে তোমার ’আযাব থেকে। আমি পানাহ চাই তোমার নিকট তোমার [অসন্তোষ] থেকে। তোমার প্রশংসা বর্ণনা করে আমি শেষ করতে পারবো না। তুমি তেমন, যেমন তুমি তোমার বিবরণ দিয়েছ।)।

(সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪২৭, আত্ তিরমিযী ৩৫৬৬, নাসায়ী ১৭৪৭, ইবনু মাজাহ্ ১১৭৯, আহমাদ ৭৫১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১১৫০, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৪৩৭, সুনান আল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৮৭১।)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: فَقَدْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً مِنَ الْفِرَاشِ فَالْتَمَسْتُهُ فَوَقَعَتْ يَدِي عَلَى بَطْنِ قَدَمَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ وَهُمَا مَنْصُوبَتَانِ وَهُوَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخْطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفسك» .

’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমার বিছানায় পেলাম না। আমি তাঁকে খুঁজতে লাগলাম। খুঁজতে খুঁজতে আমার হাত রসূলের পায়ের উপর গিয়ে পড়ল। আমি দেখলাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাতরত। তাঁর পা দু’টি খাড়া হয়ে আছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলছেনঃ ’’আল্লা-হুম্মা আ’ঊযু বিরিযা-কা মিন সাখাত্বিকা ওয়া বিমু’আ-ফা-তিকা মিন ’উকূবাতিকা, ওয়া আ’ঊযুবিকা মিনকা লা- উহসী সানা-আন ’আলায়কা, আনতা কামা- আসনায়তা ’আলা- নাফসিকা’’- (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে তোমার অসন্তোষ ও গযব থেকে পানাহ চাই। তোমার ক্ষমার দ্বারা তোমার ’আযাব হতে মুক্তি চাই। তোমার কাছে তোমার রহমতের ওয়াসীলায় আশ্রয় চাই। আমি তোমার প্রশংসা করে শেষ করতে পারবো না। তুমি তেমন, যেমন তুমি নিজে তোমার প্রশংসা করেছো।)।

(সহীহ : মুসলিম ৪৮৬, ইবনু মাজাহ্ ৩৮৪১, আহমাদ ২৫৬৫৬, নাসায়ী ১১০০।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে আল্লাহর কাছে আল্লাহ থেকে আশ্রয় চাওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর অসন্তোষ থেকে পানাহ চাওয়া।

(০২)
হাদীসে যেই শব্দ আছে,সেভাবেই পড়ার পরামর্শ থাকবে। 
কেননা ঐ শব্দই রাসুলুল্লাহ সাঃ উচ্চারণ করেছিলেন।

তাই সেই শব্দে বরকত বেশি হবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...