আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।   আমি একজন ডাক্তার,  উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য গাইনি বিভাগে আছি। দুই বছর পার হয়েছে। আরো তিন বছর বাকি সামনে। আমার স্বামী,  উনি একজন চিকিৎসক।আমরা দুজনেই প্র্যাকটিসিং আলহামদুলিল্লাহ।

১.আমার স্বামী আমার থেকে, ছোট ডিগ্রি কমপ্লিট করছেন। উনার ডিগ্রী টা কিছুটা,  কাজের দিক থেকে,  সম্মানের দিক থেকে আমার ডিগ্রি থেকে ছোট। এজন্যই কিনা জানিনা,  আমাদের মধ্যে কিছু কিছু না কিছু ঝামেলা লেগেই থাকে। উনি মনে করেন আমি অনেক বেশি অহংকারী। কিন্তু আদতে সেটা না। উনি এজন্য ছোটখাটো কোন বিষয়ে হুটহাট রাগ করে বসে থাকেন। আমার বাবা বিয়ের আগে, উনার কাছে কথা নিয়েছিলেন জব না করতে দিলে, উনি বিয়ে দিবেন না আমাকে। উনারা সেই শর্তে রাজি হয়ে বিয়ের জন্য এগিয়ে আসেন। আমার স্বামী,  টাকা পয়সার সাপোর্ট দিচ্ছেন আমাকে। কিন্তু,
একদিন একটা কথায় উনি বলেছেন,  উনি মহিলাদেরকে সার্জন হিসেবে পছন্দ করেন না (গাইনি একটা সার্জারির subject, গাইনিতে পাশ করলে সার্জন  হতে হয়)। আমি তখন প্রশ্ন করলাম, তাহলে মহিলা ডাক্তাররা  কি হবে? উনি বলল কিছুই না বাসায় থাকবে।
আরেকবার আরেকটা কথায়, উনি বললেন, উনি আমার জন্য দাইউস  হতেও রাজি আছেন। আমার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য আমাকে বাইরে যেতে হবে। সেজন্য এই কথা বলেছেন।
এছাড়া, আমার বিভিন্ন রেজাল্ট এর সংবাদে উনি খুব একটা খুশি হন না।

এসব কথায় কি, আচরণে কি মনে হয় উনি আমার পড়াশোনা, উচ্চতর ডিগ্রি, চাকরি করা, এগুলি খুব একটা পছন্দ করছেন না?উনি মুখে বলেন উনার আমার কোন কিছুতে সমস্যা নেই।
কিন্তু মাঝেমধ্যে, এইসব টুকটাক কথাবার্তা আমাকে ভাবিয়ে তুলে। এবং প্রায়ই আমাদের মধ্যে ঝামেলা চলতে থাকে। কথা বলা বন্ধ থাকে।
শায়খ, আমার প্রশ্ন হল,  স্বামীর মৌখিক সম্মতি আছে(যেহেতু আমার বাবা ওনাকে শর্ত দিয়েছিলেন) কিন্তু উনি কি মন থেকে মানতে পারছেন না? আসলে উনার সাথে, খোলামেলা এসব নিয়ে ভালো করে আলাপ করা/কোন ডিসিশন নেয়া  কোনভাবেই সম্ভব না। উনার কথা হচ্ছে, আমি আমার বাবা মার সাথে কথা বলে আমার পড়াশোনা, ক্যারিয়ার এসব বিষয়ে ডিসিশন নিব। উনি এখানে কিছুই বলবেন না।
যদি এরকম হয়,  চাকরির ক্ষেত্রে (ডাক্তারের উচ্চতর শিক্ষার জন্য) স্বামীর মৌখিক সম্মতি থাকে, কিন্তু কার্যকলাপে, নাখোশ /মন খারাপ থাকে /অপছন্দ থাকে, তাহলে, কে আগানো উচিত ওয়াইফ এর ক্ষেত্রে  পোস্ট গ্রাজুয়েশন বা জবের জন্য?
কি করা উচিত এই অবস্থায় আল্লাহ তাআলার হুকুম টা কি?
এখন আপাতত ছুটিতে আছি। কি করবো বুঝতে পারছি না। এই অবস্থায়, কি করা উচিত দয়া করে জানাবেন।  এক্ষেত্রে স্বামীর, মৌখিক সম্মতি থাকা সত্ত্বেও, কার্যকলাপে নাখোশ থাকা /মনে মনে নাখোশ থাকার জন্য (যেটা উনার কথায় মনে হচ্ছে, যদিও ঠিক বুঝতে পারছি না)আমাকে কি গুনাহগার হতে হবে????    কোনভাবেই আমি আমার আচরণে বড় ডিগ্রীর কোন প্রভাব পড়তে দেই না, কিন্তু উনি, নিজে থেকেই কিছু বলেন না, কিন্তু আচরণে প্রকাশ করেন, মাঝেমধ্যে আমাকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেন। বুঝতে পারছি না কি করব? আমার পরিবার থেকে পড়াশোনা কমপ্লিট করার একটা চাপ আছে। উনি নিজে মুখে বলেন উনার কোন সমস্যা নেই, কিন্তু এরকম নেগেটিভ আচরণ, অল্পতেই রিয়েক্ট করা, এসব বিষয় চলতে থাকে । এককথায়, এই অবস্থায় উনার এসব আচরণ কি আমার ক্যারিয়ারের প্রতি নেগেটিভ থাকার কারণে কি হচ্ছে? যদি সে আমার ক্যারিয়ারের প্রতি নেগেটিভ থাকে, সে ক্ষেত্রে শুধু তার মৌখিক সম্মতি যথেষ্ট হবে  শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে? খুব পেরেশানিতে আছি দয়া করে জানালে খুব উপকৃত হতাম। ওনাকে বুঝিয়ে কোন লাভ নেই কোন বিষয়ে। ( যেহেতু স্ত্রীর ক্যারিয়ারের জন্য স্বামীর সম্মতি জরুরী)

1 Answer

0 votes
ago by (635,130 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহিলাদের জন্য স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত চাকরি করা নাজায়েজ। 
তবে তারপরেও কেহ যদি চাকুরী করে,তাহলে তার ইনকাম হালাল হবে,হারাম হবেনা।      
তবে স্বামীর বৈধ আদেশ অমান্যের গুনাহ তার হবে।

শরীয়তের বিধান হলো স্বামীর বৈধ আদেশ পালন করা ওয়াজিব।  

হাদীস শরীফে  এসেছে-

একবার এক নারী সাহাবী রাসূলের কাছে এলেন নিজের কোনো প্রয়োজনে। যাওয়ার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, জী, আছে। নবীজী বললেন, তার সাথে তোমার আচরণ কেমন? সে বলল, আমি যথাসাধ্য তার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি। তখন নবীজী বললেন, فانظري أين أنت منه، فإنما هو جنتك ونارك
 হাঁ, তার সাথে তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থাকো, কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম। (মুআত্তা মালেক, হাদীস ৯৫২; মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩৪১ হাদীস ১৯০০৩; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২৭৬৯; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ১৪৭০৬)

অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إذا صلت المرأة خمسها ، وصامت شهرها ، وحصنت فرجها ، وأطاعت زوجها قيل لها : ادخلي الجنة من أي أبواب الجنة شئت
নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত  নামায ঠিকমত আদায় করবে, রমযানের রোযা রাখবে,  আপন লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে,  স্বামীর আনুগত্য করবে তখন সে  জান্নাতের যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ ইবনে হিব্বান,  হাদীস ৪১৬৩)

★স্বামী যদি স্ত্রীকে চাকরির অনুমতি না দেন, তাহলে ওই স্ত্রী চাকরি করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে চাকরির অনুমতি না দেওয়া স্বামীর জন্য জায়েজ রয়েছে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী চাকরি করতে পারবেন না, এটি তার জন্য জায়েজ নেই। এই কাজটি স্ত্রী করলে তিনি গুনাহগার হবেন।
,
বিস্তারিত  জানুনঃ  

★স্ত্রীর জন্য জরুরি হল, বিশেষ কোনো কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্বামীর নিকট অনুমতি নেয়া। স্বামী অনুমতি দিলে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে এবং নিজেকে ফিতনা থেকে হেফাযতে রেখে স্ত্রী বাইরে যেতে পারে। দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার হলে অবশ্যই তার পিতা, ভাই ইত্যাদি মাহরাম পুরুষের সাথে যাবে। কিন্তু স্বামী যদি তাকে যেতে নিষেধ করে তাহলে স্ত্রীর জন্য তা লঙ্ঘন করা বৈধ নয়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-

“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)

ইফকের ঘটনায় মা আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার হাদিস:
তিনি বলেন:
أتأذن لي أن آتي أبوي

“(হে আল্লাহর রাসূল,) আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি দিবেন?” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج

“কোন মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া জায়েয নয়। পিতামাতা বা অন্য কারো নিকট নয়। কারণ এটি তার উপর স্বামীর হক। অবশ্য যদি শরিয়ত সম্মত বিশেষ কোনো কারণ থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।” (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/১৬৫)

নারীদের মেডিকেলে পড়াশোনা করার বিধানঃ-

https://ifatwa.info/39894/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
পর্দা রক্ষা করা ফরজ। 

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

বিখ্যাত তাফসীরবিদ ইমাম কুরতুবী রাহ. উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)

★অসুস্থ্য মানুষদের সেবা করাও সওয়াবের কাজ। যেহেতু মহিলাদের  জন্য মহিলা ডাক্তারের প্রয়োজন। 
তাই মহিলাদের জন্য পর্দার বিধান পুরোপুরি ভাবে পালনের শর্তে ডাক্তারী শিক্ষা অর্জন করা,ডাক্তারী করা জায়েজ আছে।  
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/২৫৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইসলামি স্কলারগন  মুসলিম মহিলাদের মেডিকেল পড়াকে ফরযে কিফায়া বলেছেন। অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে অবশ্যই কিছু মহিলার এ পেশায় আসা আবশ্যক যেন মহিলা সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখ, সিজার, সন্তান ডেলিভারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলিম নারীদেরকে পর পুরুষ বা অমুসলিমদের শরণাপন্ন না হতে হয়।

সুতরাং সমাজের অর্থশালী ও উদ্যোগী ব্যক্তিদের জন্য মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ/ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা ফরজ- যেন আমাদের দ্বীনদার বোনেরা পর পুরুষ থেকে আলাদা থেকে নির্বিঘ্নে এ বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারে।

তবে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা না থাকলেও দীনী কিছু বোনেরা পূর্ণ পর্দা ও শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে প্রচলিত সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল বা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন এবং ভবিষ্যতে মহিলাদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উম্মাহ এর খিদমাহ এর স্বার্থে,পর্দানশীন নারী রোগী দের পর্দা রক্ষার্থে সার্জারিতে দ্বীনদার মহিলা ডাক্তারদের ক্যারিয়ার করা জায়েজই শুধু নয়,বরং এটি বর্তমান সময়ে অতিব প্রয়োজন।

নারীদের মেডিকেলে পড়াশোনা করা,নার্স হওয়া জায়েজ আছে।
তবে হাত,পা,চেহারা সহ পুরো শরীর পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করতে হবে।

ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।    
শুধুমাত্র নারীদের সেবা করতে হবে।  

সহকর্মীদের সাথে পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলতে হবে,অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকে হেফাজতে থাকতে হবে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/119022/

★উপরোক্ত শর্তাবলি আর সহ শিক্ষার শর্তাবলি মেনে মহিলাদের জন্য মেডিকেলে পড়াশোনা করা জায়েজ হবে।

সহ শিক্ষার শর্তাবলি জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে বুঝা যাচ্ছে যে আপনার স্বামী সন্তুষ্টি চিত্তে আপনাকে অনুমতি দিতে চাচ্ছেননা,উনি নাখোশ,কিন্তু বিবাহের সময় আপনার বাবার দেয়া শর্তমাফিক তিনি মৌখিক ভাবে আপনাকে অনুমতি দিচ্ছেন।

সুতরাং আপনি একান্তে তার সাথে আলোচনা করবেন,নারীদের ডাক্তার,সার্জন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তাকে বুঝাবেন।
পরিপূর্ণ ভাবে ইসলাম মেনে চলতে পারলে আশা করি ইনশাআল্লাহ তিনি মন থেকে রাজী হবেন।

তদুপরি তিনি রাজী না হয়ে স্পষ্ট আকারে নিষেধ করলে সেক্ষেত্রে স্বামীর আদেশ মানারই পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...