জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ۱۰٣
‘তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’-সূরা তাওবা : ১০৩
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যাকাত আদায় হওয়ার জন্য যাকাত প্রদানের নিয়ত করা জরুরি। -রদ্দুল মুহতার ২/২৫৮
যাকাতের উদ্দেশ্যে টাকা পৃথক করে রাখলেও মালিক তা প্রয়োজনে খরচ করতে পারবে। তবে পরে যাকাত আদায়ের সময় যাকাতের নিয়ত করতে হবে। -
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ১০৩৯১, ১০৩৯২)
وشرط صحة أدائھا نیة مقارنة لہ أي: للأداء ولو کانت المقارنة حکماً کما لو دفع بلا نیة ثم نوی والمال قائم في ید الفقیر الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الزکاة، ۳: ۱۸۷، ط: مکتبة زکریا دیوبند)، قولہ: ”والمال قائم في ید الفقیر“: بخلاف ما إذا نوی بعد ھلاکہ، بحر۔ وظاھرہ أن المراد بقیامہ في ید الفقیر بقاوٴہ في ملکہ لا الید الحقیقیة وأن النیة تجزیہ مادام في ملک الفقیر ولو بعد أیام (رد المحتار)
সারমর্মঃ যাকাত আদায়ের জন্য শর্ত হলো আদায়ের সময় তার নিয়ত করা।
হ্যাঁ যদি যাকাত আদায়ের সময় নিয়ত না করে থাকে,তবে যাকাত গ্রহিতার কাছে সম্পদ থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই যদি যাকাত দাতা নিয়ত করে,তাহলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ: إِحْدَى السُّنَنِ أَنَّهَا عُتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ: «أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ؟» قَالُوا: بَلَى وَلَكِنَّ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ قَالَ: «هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَلنَا هَدِيَّة»
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরাহ্ (ক্রীতদাসীর) ব্যাপারে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়। (প্রথম) সে স্বাধীন হবে, তার স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বহাল রাখা বা না রাখার ক্ষেত্রে তার স্বাধীনতা থাকবে। (দ্বিতীয়) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মীরাসের অধিকার তারই থাকবে, যে তাকে আযাদ করেছে। (তৃতীয়) [একদিন] রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে এলেন। তখন গোশত রান্না করা হচ্ছিল। ঘরে বানানো রুটি ও তরকারী তাঁর সামনে আনা হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি একটি পাতিলে গোশত দেখলাম। বলা হলো, জি হ্যাঁ। তবে এ গোশত বারীরাকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া হয়েছে, আপনি তো সদাক্বাহ্ (সাদাকা) খান না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ গোশত বারীরার জন্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হলে আমাদের জন্য হাদিয়্যাহ্।
(সহীহ : বুখারী ৫০৯৭, ৫২৭৯, মুসলিম ১০৭৫, নাসায়ী ৩৪৪৭, মুয়াত্ত্বা মালিক ২০৭৩, আহমাদ ২৫৪৫২, ইবনু হিব্বান ৫১১৬, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৬১২।)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু সেমাই গুলো আপনার বাবা আপনাদের হাদিয়া হিসেবে দিয়ে দিয়েছেন,আর আপনাদের হস্তগত হয়ে গিয়েছে, সুতরাং এক্ষেত্রে আপনাদের পূর্ণ মালিকানা হয়ে গিয়েছে।
আপনারা এটি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, তা আপনারা খেতেও পারেন, তা দিয়ে চাইলে যাকাতও প্রদান করতে পারেন।
তবে যাকাত প্রদান করলে বাজারের বিক্রয় মূল্য ধরেই আপনি যাকাত প্রদান করবেন।
অনেক সময় দেখা যায় প্যাকেটের গায়ে ১৫০ টাকা লেখা থাকলেও বাজারে এত টাকা নেওয়া হয় না।
সুতরাং বাজারের বিক্রয় মূল্য কত! যাকাতের হিসাবের ক্ষেত্রে সেটি ধর্তব্য হবে।