আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
Assalamualaikum wa rahmatullahi wa barakatuh
উস্তাদ আমরা যারা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আমাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের নিজেদের কলেজ এ আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা পাই যেমন আমাদের ডাক্তার দেখানোর জন্য কোনো সিরিয়াল দেওয়া লাগে না, আমরা যেকোনো সময় গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারি , আমাদের কোনো রিলেটিভ বা পরিচিত কেউ আসলেও দেখা যায় যদি আমরা তাদেরকে নিয়ে যাই তাহলে তাদের সিরিয়াল না দিয়েই ডাক্তার দেখাতে পারি , ডাক্তাররা ও যখন আমাদের পরিচিত শুনে তখন এক্সট্রা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন
এরকম সুবিধা নেয়া টা কি জায়েয ??

আবার যারা মেডিকেল স্টুডেন্ট তারা যখন বাইরের কোনো মেডিক্যাল হাসপাতাল বা প্রাইভেট হাসপাতাল এ দেখাতে যায় তাদের জন্য এক্সট্রা ছাড় এর ব্যবস্থা থাকে অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তার ফি ও নেন না , আমাদের কোনো পরিচিত কাওকে নিয়ে গেলেও দেখা যায় ডাক্তার এক্সট্রা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন , এছাড়াও অনেক ফ্যাসিলিটি পাওয়া যায়
আমার প্রশ্ন হচ্ছে , আমরা যদি এভাবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে সুযোগ সুবিধা নেই সেটা কি জায়েয হবে ??
by (16 points)
উস্তাদ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলাতে হাসপাতালে কর্মরত সব ধরনের কর্মচারী , শিক্ষক , শিক্ষার্থী ,গরীব অসহায় মানুষদের মেডিকেল টেস্ট করাতে কোনো টাকা লাগে না , এটা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত
,এই সুবিধা টা নেওয়া কি জায়েয ??

1 Answer

0 votes
by (666,540 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোন রোগী ডাক্তারের কাছে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ব্যবস্থা পত্র আনতে গেলে ইসলামি ফিকহের পরিভাষায় রোগিকে বলা হবে মুস্তাজির -নিয়োগকর্তা বা অর্থ দাতা)। আর ডাক্তারকে বলা হবে আজির বা কর্মের বিনিময়ে অর্থ গ্রহীতা।
এক্ষেত্রে ইসলাম বলবে রোগির দায়িত্ব হল ডাক্তারকে তার অবস্থা জানানো এবং নির্ধারিত ভিজিট প্রদান করা। পক্ষান্তরে ডাক্তারের দায়িত্ব হলো রোগীর জন্য প্রযোজ্য চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা। 
মেডিকেল টেস্টগুলো ডাক্তাররা করিয়ে থাকেন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব (অর্থাৎ, রোগ নির্ণয় করে প্রেসক্রিপশান দেয়া) যথাযথভাবে আদায়ের সুবিধার্থে, তদ্রুপ কোন ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে ভালো হবে, তা নির্ধারণ করে দেয়া ডাক্তারেরই পেশাগত দায়িত্ব। নির্ধারিত ভিজিটের বিনিময়ে তিনি এসব কাজগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে করে দিবেন।
উপরোক্ত বিশ্লেষণের নিরিখে একথাই প্রমাণিত হয় যে, মেডিকেল টেস্টে রোগী প্রেরণকারী ডাক্তারের জন্য কমিশন গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। কারণ এক্ষেত্রে কমিশন গ্রহণের অর্থ হলো, নিজ দায়িত্ব সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য অন্যের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন। অথচ এ দায়িত্ব পূর্ণ করার জন্য তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করছেন। তাই হাসপাতাল কর্তৃক ডাক্তারদের প্রদত্ত এই কমিশন শরিয়ত নিষিদ্ধ উৎকোচের অন্তর্ভুক্ত হবে। সূত্র : ইমদাদুল ফাতাওয়া ভলিয়ম ৩ পৃ:৪১০/ ফাতাওয়া রশিদিয়া পৃ:৫৫৮


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোগী দেখার ক্ষেত্রে সুপারিশ বা পরিচিতির কোনো সুযোগ সুবিধা দেওয়া ও গ্রহণ করা কোনোটাই জায়েয হবে না। তাছাড়া পরিচিত হওয়ার দরুণ অতিরিক্ত মনোযোগ সহকারে কোনো রোগী দেখাও জায়েয হবে না। এবং সিরিয়াল ভঙ্গ করাও জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...