আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত উস্তাজ।
এক মেয়ের ১১/১২ বছরের সম্পর্ক এক বান্ধবীর সাথে বান্ধবী

সেই মেয়ের জন্য অনেক কিছু করেছে অনেক ভালোবাসে কিন্তু মেয়েটির বিয়ের পর আস্তে আস্তে মেয়েটির স্বামী তার ঐ বান্ধবীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়, এতে মেয়েটি আঘাত পায়। ঐ বান্ধবী ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত যে তাকে দ্বীনের দাওয়াত দিত একসময় মেয়েটি হেদায়েতে ফিরেও আসে,আলহামদুলিল্লাহ। মেয়েটি অনেক বুঝিয়ে তার স্বামীকে এমনকি তার শশুরকে দিয়েও বলিয়েছে,প্রতিনিয়ত মহান আল্লহর কাছে দুয়া করে কিন্তু সেই স্বামী তার বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ রাখতে দেয়না বরং গালাগালি করে,ঐ বান্ধবীও অনেক কষ্ট পায়,মেয়েটির মায়ের কাছে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করেছে। তারা দুজন একে অপরেকে মহান  আল্লহর সন্তষ্টির জন্য ভালোবাসে।
উস্তাদ মেয়েটিকে তার কোনো আত্নীয়স্বজন কে ফোন দিতে দেয়া হয় না,বান্ধবীর সাথে কোনো যোগাযোগ করতে দেয়া হয়না, কতবার স্বামীকে তার কষ্টের কথা বলেছে উল্টা আরো গালাগালি শুনতে হয়,উস্তাজ মেয়েটি যদি স্বামীর উক্ত আদেশ না মানে তাহলে কি গুনাহ হবে? যদি মেয়েটি কষ্ট পেতে পেতে মানসিক রোগীও হয়ে যায় তাহলেও কি না মানলে গুনাহগার হবে?

1 Answer

0 votes
by (665,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «سَبْعَة يظلهم الله تَعَالَى فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ إِمَامٌ عَادِلٌ وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللَّهِ وَرجل قلبه مُعَلّق بِالْمَسْجِدِ وَرَجُلَانِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ وَرجل دَعَتْهُ امْرَأَة ذَات منصب وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ»
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাত ধরনের মানুষকে আল্লাহ তা’আলা সেদিন (কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন) তাঁর ছায়ার নীচে আশ্রয় দিবেন যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া আর কারো ছায়া থাকবে নাঃ (১) ন্যায়পরায়ণ শাসক, (২) সেই যুবক যে যৌবন বয়সে আল্লাহর ’ইবাদাতে কাটিয়েছে, (৩) যে ব্যক্তি মাসজিদ থেকে বের হয়ে এসে আবার সেখানে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত মসজিদেই তার মন পড়ে থাকে, (৪) সেই দুই ব্যক্তি, যারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে। যদি তারা একত্রিত হয় আল্লাহর জন্য হয়, আর যদি পৃথক হয় তাও আল্লাহর জন্যই হয়, (৫) সে ব্যক্তি, যে একাকী অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে আর আল্লাহর ভয়ে তার দু’ চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, (৬) সে ব্যক্তি, যাকে কোন উচ্চ বংশীয় সুন্দরী যুবতী কু-কাজ করার জন্য আহবান জানায়। এর উত্তরে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, (৭) সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর পথে গোপনে দান করে। যার বাম হাতও বলতে পারে না যে, তার ডান হতে কী খরচ করেছে। (সহীহ : বুখারী ৬৬০, মুসলিম ১০৩১, নাসায়ী ৫৩৮০, তিরমিযী ২৩৯১, আহমাদ ৯৬৬৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪৮৬, ইরওয়া ৮৮৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাউকে যদি তার তাকওয়া,দ্বীন পালন ইত্যাদির জন্য ভালো লাগে, তার প্রতি অন্তরে মায়া অনুভূত হয়, এবং তারা একই লিঙ্গের হয়, তাহলে এটাকে আল্লাহর জন্য মহব্বত বলা হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে যদি কারো প্রতি তার গোনাহের কারণে ঘৃণা জন্মে, তার প্রতি ঘৃণা হয়, ব্যক্তি হিসেবে নয় বরং গোনাহের কারণেই ঘৃণা হয়, তাহলে সেটাকে আল্লাহর জন্য শত্রুতা বলে।

বান্ধবীর প্রতি মহব্বত প্রশংসনীয়। অন্যদিকে স্বামীর হুকিম মানাও ওয়াজবি। তাছাড়া মহব্বত এমন পর্যায়ের না হওয়াই উচিত যে, তার সাথে যোগাযোগ না হলে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবেন। যেহেতু আল্লাহর জন্য তাকে ভালবাসছেন, তাই এখন হুকুম পালনার্থে যোগাযোগের মাত্রা কমিয়ে দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবকিছুতেই মধ্যপন্থাকে ভালবাসতেন। স্বামীর অনুমতি ব্যতিত দ্বীনি আলোচনার স্বার্থে যোগাযোগ জায়েয হলেও ধীরে ধীরে কমিয়ে নিয়ে আসাই উচিত ও উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
 যোগাযোগ করে না উস্তাদ।স্বামীর কাছে অনুমতি চাইতে গেলে কত সময় আরো গালি শুনতে হয় এর জন্য জিজ্ঞেস করা হয়েছে কথা বলতে পারবে কিনা?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...