আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শাইখ, আমার জন্ম ২০০০ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই অনুযায়ী আমার বয়স ২৫ বছর। আমার পরিবার আমার জন্মসনদে বয়স কমিয়ে ২০০৩ সাল করে দিয়েছেন। এতে আমার বয়স হয় ২২ বছর। এবং এই ঘটনাটি আমি সম্প্রতি জানতে পেরেছি।আমার মায়ের ধারনা ছিলো বয়স বাড়িয়ে পড়াশোনা করলে ভালো বুঝবো এবং রেজাল্ট ভালো হবে।তাই ক্লাস ১ এই তিনবার তিনটা স্কুলে পড়িয়েছেন।কিন্তু এটা আমাকে জানালে মন খারাপ করবো তাই আমাকে জানান নি এতদিন
। আমি যাদের সাথে মিশি আমার করেস্পন্ডিং ক্লাসমেটরা মোটামুটি ২১/২২/২৩ বয়সের।আমার মেন্টালিটি সেই বয়সের সাথেই গ্রো করেছে। কিন্তু এখন হঠাৎ করে যখন জানতে পারি যে আমার সঠিক বয়স ২২ নয় বরং ২৫ তখন আমার কষ্ট হয়। কষ্টের কারন হলো
১। আমি আমার ক্লাসমেটদের থেকে এত বড়!
২। সম্প্রতি আমার বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে কিন্তু সাধারণত বিয়ের জন্য সবাই মেয়েদের বয়স ১৮-২৫ কে অগ্রাধিকার দেন।  দ্বীনদার পাত্র পাওয়া মোটেই সহজ নয়, তার উপর আমার বয়স বডারলাইনে। এবং আমি সেটা মাত্র জানতে পারছি। এবং মাত্র আমার পরিবার পাত্র খোঁজা শুরু করেছেন।এসব নিয়ে আমার হতাশা কাজ করে।
প্রশ্ন : আমার পরিবার ( দ্বীনের ব্যাপারে তেমন সচেতন নয়) বলেন যেন বায়োতে আসল জন্মসাল না দিই, দু এক বছর কমিয়ে দিই। আমি মানতে পারি না যে সত্য গোপন করবো। আবার এটাও মানতে পারি না যে আমি হঠাৎই এত বড় হলাম!  কি করবো জানাবেন ইনশাআল্লাহ।
বি.দ্র : প্রাইভেসির সার্থে প্রশ্নটির উত্তর যেন শুধু আমিই দেখতে পারি এ ব্যবস্থা করে দিলে উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (665,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ، 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ঘটনাক্রমে দু বৎসর কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3800


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...