আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (9 points)
১.বাসায় গৃহপালিত গাভী কুরবানীর নিয়তে রাখলে এবং কুরবানীর দেওয়ার আগে গাভীর যদি বাচ্চা ও দুধ হয় তাইলে সেই বাচ্চা ও দুধের বিধান কি?

২.আমাদের সমাজে কুরবানীর গোশত একত্র করা হয় এবং প্রত্যেক কুরবানীর দেওয়া ব্যক্তির কাছে থেকে গোসতের তিন ভাগের এক ভাগে সেই সমাজে দেওয়া হয় যেটা আত্মিয়স্বজনের ভাগ‌ই বলা হয়।গোস্ত একত্র করার পর এলাকার ধনী গরীব যতজন সমাজের মধ্যে আছে সবার মধ্যে বন্টন করা হয়?

এভাবে গোশত একত্র করে ধনী গরীব সবাইকে দেওয়া জাহেজ আছে কি?
৩) কোন ব্যক্তির নিকট এই পরিমাণ টাকা আছে যার দ্বারা শুধু সেই ব্যাক্তি হজ্ব আদায় করতে পারবেন কিন্তু তাঁর বসবাসের জন্য যে বাড়িটি আছে সেখানে থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য কস্ট সাধ্য।হজ্বের জন্য সেই টাকা ব্যয় করলে পুনরায় বাড়ি দেওয়ার জন্য টাকাটা গচ্ছিত হতে সময় লাগবে।এখন কি সে সেই টাকা দিয়ে নতুন থাকার জন্য বাড়ি দিবে নাকি হজ্ব করবে?
৪) নাবালক অবস্থায় পিতা-মাতার সাথে হজ্ব করলে কি স্বাবালক হ‌ওয়ার পর আবার আদায় করতে হবে?

৫) আমার নগদ অর্থ নেই তবে কিছু খোরাকি জমি আছে।জমির যে বিক্রয় মূল্য তা দিয়ে হজ্ব করা সম্ভব।এখন কি আমার উপর হজ্ব ফরজ হয়েছে?(জমি বিক্রি করলে আমি চলাচলের অনুপযোগী হবো এবং পরিবারের সদস্যদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যোগার করতে কস্ট হবে).

৫.১) এখানে থেকে আরেকটি বিষয় জানা প্রয়োজন জমি বিক্রি করে হজ্ব করা কি ধরনের শর্ত সাপেক্ষে জাহেজ?

1 Answer

0 votes
by (671,580 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) বাসায় গৃহপালিত গাভী কুরবানীর নিয়তে রাখলে এবং কুরবানীর দেওয়ার আগে গাভীর যদি বাচ্চা জন্ম নেয়, তাহলে হয়তো বাচ্চা কেও মায়ের সাথে জবাই করা হবে অথবা জীবিত সদকাহ করা হবে।জীবিত সদকাহ করাই উত্তম। বাচ্চাকে জবাই করলে তার গোশতকে সদকাহ করতে হবে। বাচ্ছার গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। গোশতকে ভক্ষণ করলে মূল্যকে সদকাহ করতে হবে। 

কুরবানির পশুর দুধ দোহন করা যাবে না। যদি করা হয়, তাহলে সদকাহ করতে হবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6 / 322):
"ولدت الأضحية ولدًا قبل الذبح يذبح الولد معها.
(قوله: قبل الذبح) فإن خرج من بطنها حيًّا فالعامة أنه يفعل به ما يفعل بالأم،  فإن لم يذبحه حتى مضت أيام النحر يتصدق به حيًّا، فإن ضاع أو ذبحه وأكله يتصدق بقيمته، فإن بقي عنده وذبحه للعام القابل أضحية لايجوز،  وعليه أخرى لعامه الذي ضحى ويتصدق به مذبوحًا مع قيمة ما نقص بالذبح، والفتوى على هذا خانية (قوله: يذبح الولد معها) إلا أنه لايأكل منه بل يتصدق به فإن أكل منه تصدق بقيمة ما أكل. والمستحب أن يتصدق به خانية، قيل ولعل وجهه عدم بلوغ الولد سن الإجزاء فكانت القربة في اللحم بذاته لا في إراقة دمه اهـ تأمل. قال في البدائع: وقال في الأصل: وإن باعه تصدق بثمنه لأن الأم تعينت للأضحية والولد يحدث على صفات الأم الشرعية. ومن المشايخ من قال هذا في الأضحية الموجبة بالنذر أو ما في معناه كشراء الفقير وإلا فلا، لأنه يجوز التضحية بغيرها فكذا ولدها (قوله: وعند بعضهم يتصدق به بلا ذبح) قدمنا عن الخانية أنه المستحب، وظاهره ولو في أيام النحر، وانظر ما في الشرنبلالية عن البدائع۔ فقط واللہ اعلم

(২)এলাকার সমস্ত কুরবানীর গোশতকে একত্র করে ধনী গরীব সবাইকে বন্টন করা যাবে।

(৩) নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা থাকলেই কেবল কুরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে। বাসা বাড়ী নিত্য প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই প্রথমে বাসা বাড়ী করা হবে। তারপর অতিরিক্ত টাকা থাকলে হজ্ব ফরয হবে।

(৪) নাবালক অবস্থায় পিতা-মাতার সাথে হজ্ব করলে স্বাবালক হওয়ার পর হজ্বের সামর্থ্য হলে আবার হজ্ব আদায় করতে হবে।

(৫) কারো যদি এই পরিমাণ জমি থাকে যে, যদি কিছু জমি বিক্রি করে হজ্ব করা যায়, এবং অবশিষ্ট জমি ঐ ব্যক্তি ও তার পরিবারবর্গের জীবন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, তাহলে এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তির উপর হজ্ব ফরয হবে। নতুবা হজ্ব ফরয হবে না।

لما في الفتاوى الهندیة:
"وإن كان صاحب ضيعة إن كان له من الضياع ما لو باع مقدار ما يكفي الزاد والراحلة ذاهبا وجائيا ونفقة عياله، وأولاده ويبقى له من الضيعة قدر ما يعيش بغلة الباقي يفترض عليه الحج، وإلا فلا."(کتاب المناسک،ج1،ص128،ط؛درا الفکر)

(৫.১) প্রয়োজন অতিরিক্ত জমি বিক্রি করে যদি হজ্ব করা সম্ভব হয়, তাহলে তখন হজ্ব করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 248 views
0 votes
1 answer 255 views
...