হজ্ব ও উমরার ইহরামে চুল দাড়িতে হাত দেয়ার মাসয়ালা

Question

আমার মাহরাম পুরুষ আত্মীয় এই বছরের তামাত্তু হজ্জ শেষে এখন মক্কায় আছেন এবং কয়েকটি প্রশ্ন ভেবে খুবই পেরেশান আছেন। এখন কি হজ্ব বাতিল হলো নাকি দম দেয়া লাগে ভেবে অস্থিরতা বোধ করছেন। প্রশ্নগুলি নিম্নরূপ:

(১) অনেকে ওনাকে নিষেধ করার পরেও উনি উমরাহ ও হজ্ব উভয় ক্ষেত্রেই ইহরাম অবস্থায় যতোবার ওজু করেছেন প্রতিবারই ওজুর সময় মাথার চুল ভালোভাবে মাসেহ করেন এবং স্বাভাবিক সময়ের মতো মুখের দাড়ি খুব ভালোভাবে আঙুল দিয়ে খিলাল করেন। এতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে চুল ও দাড়ি খসে পড়ে থাকতে পারে যা তিনি স্বচক্ষে দেখতে পাননি।
(২) অভ্যাসবশত মনের অজান্তে অনেকবার মাথার চুলে ও মুখের দাড়িতে হাত দিয়ে আঁচড়েছেন এবং খেয়াল হলে হাত সরিয়ে নিয়েছেন। এতে করে চুল দাড়ি খসে পড়ে থাকতে পারে, যদিও দেখতে পাননি।
(৩) ৮ যিলহজ্ব মিনার তাঁবুতে অবস্থানকালে প্রচণ্ড গরম, ভিড়, হইচই, নিজের পেটের সমস্যায় বিচলিত বোধ করছিলেন। সে সময় সজ্ঞানে ও সচেতনভাবে মাথায় হাত ঘষেন এবং মুখের দাঁড়িতে আঁচড়ান। যদিও এসময় মুখের কোন দাড়ি আশপাশে খসে পড়তে তিনি দেখতে পাননি, আর মাথার চুল খুব ছোট (হলক্ব) ছিল তাই চুলও খসে পড়তে চোখে দেখেননি।
(৪) মিনার তাঁবুতে এমনিতে সাদা বিছানায় দাড়ি পড়ে থাকতে দেখেছেন যা তার নিজের হওয়ারই সম্ভাবনা। মৃত বিধায়ও আপনা থেকে ঝরে পড়ে থাকতে পারে।

এই সকল কারণে কি তার উপর দম বা ফিদিয়া বা সাদাকা ওয়াজিব হবে? হলে কি পরিমাণে, কোথায়, কবের মধ্যে , কাদের মধ্যে দিতে হবে?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।

যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,

اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: (اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ)

ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 

ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সন্দেহের উপর কোনো বিধান আরোপিত হয় না। যতগুলো প্রশ্ন করেছেন, সবগুলোই সন্দেহের উপর নির্ভরশীল, তাই কোনো দম ওয়াজিব হবে না।