বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমরা ইতিপূর্বে অনেকবার বলেছি যে,
রাগান্বিত অবস্থায় তালাক তিন প্রকারঃ
(১) রাগের প্রথমিক কিছু চিন্থ প্রকাশ পাবে,তবে তার জ্ঞানে কোনো পরিবর্তন আসবে না,এবং সে যা কিছু বলবে তা বুঝতে পারবে।এমতাবস্থায় তলাক পতিত হবে।এতে কোনো সন্দেহ নেই।
(২) চুরান্ত পর্যায়ে রাগান্বিত হওয়া অর্থ্যাৎ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।সে যা বলছে কিছুই বুঝতে পারছেনা।এবং যা কিছু এখন তার মুখ থেকে বের হচ্ছে,তা বলারও আপাতত কোনো ইচ্ছা না।এমতাবস্থায় তালাত পতিত হবে না।এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই।
(৩) উক্ত দু-অবস্থার মধ্যবর্তি অবস্থা,
মূলত এ তৃতীয় অবস্থার হুকুম নিয়েই ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
ইবনুল কাইয়্যিম রাহ, এর মতে তালাক পতিত না হওয়াটাই যুক্তিসংগত।তবে "গায়তুল হাম্বলীয়্যাহ" নামক কিতাবে হাম্বলী মাযহাবের ফাতাওয়া তার উল্টো বর্ণিত রয়েছে।তথায় তালাক পতিত হওয়ার কথাই উল্লেখ রয়েছে।এবং এ অভিমতটাই আমাদের মতে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সবচেয়ে বেশী সামঞ্জস্যশীল।(রদ্দুল মহতার,খঃ৩-পৃঃ২৪৪,ইমদাদুল ফাতাওয়া -২/৪০৫,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১২/৩০৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আখেরাতে আল্লাহর সামনে দাড়াতে হবে, সেই বিবেচনা মাথায় রেখে গভীরভাবে পর্যালোচনা ও চিন্তাভাবনা করে দেখতে হবে যে, রাগ কোন পর্যায়ের ছিল? আল্লাহ আজাব আর গজবকে সামনে রেখে সঠিক জিনিস বের করার চেষ্টা করতে হবে।
স্বামীর স্পষ্ট মনে আছে যে, সে যা বলেছে তা নিয়ন্ত্রণ হীন অবস্থায় বলেছে।
এটা তৃতীয় প্রকারের রাগ মনে হচ্ছে। কেননা দ্বিতীয় প্রকারের রাগ হলে কিছু বলা হয়েছে কি না? সেটাই বুঝা যাবে না। কাজেই তালাক পতিত হবে।