প্রকৃত মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ
‘মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরে বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ দেয় ও অসৎ কাজে নিষেধ করে’ (তওবা ৯/৭১)।
(১১০ كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللهِ، (آل عمران
অনুবাদ : ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, যাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে মানবজাতির কল্যাণের জন্য। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে’ (আলে ইমরান ৩/১১০)।
وَلْتَكُن مِّنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُوْنَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ
‘তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা চাই, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং যারা সৎকাজের আদেশ করবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। বস্ত্ততঃ তারাই হল সফলকাম’ (আলে ইমরান ৩/১০৪)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন,
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ
‘তোমাদের যে কেউ মুনকার কিছু দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে। না পারলে যবান দিয়ে প্রতিবাদ করে, না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করে। আর এটা হ’ল দুর্বলতম ঈমান।
(মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৩৭।)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার জন্য উচিত মায়ের সাথে প্রজ্ঞাপূর্ণ আচরণ,সুন্দর ও উত্তম পদ্ধতিতে বান্দার হক সম্পর্কে বুঝানো।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ
‘তুমি মানুষকে তোমার প্রভুর পথে আহবান কর প্রজ্ঞা দ্বারা ও সুন্দর উপদেশ দ্বারা...’ (নাহল ১৬/১২৫)।
এরপরেও যদি আপনার মা ফিরে না আসে,প্রতিনিয়ত প্রতিবেশীর হক্ব নষ্ট করেই চলে,আর আপনাকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করে, সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত বিষয় নিয়ে আপনার মাকে আর কিছুই বলবেননা।