পাক নাপাক এবং কর্মস্থলে ইবাদত সম্পর্কিত

Question

১. ওয়ারড্রোবে কাপড় রাখলে অনেক সময় তেলাপোকা ঢুকে এবং বিষ্ঠা ত্যাগ করে যা কাপড়ে লাগে।  এক্ষেত্রে নাপাকি যদি শক্ত হয় তাহলে তা কাপড়ে লাগলে কি কাপড় নাপাক হবে? নাপাকি যদি শক্ত হয় এবং কাপড়ের উপর থাকে তাহলে করনীয় কি?

২.কর্মস্থলে অবসর সময়ে নফল নামাজ কিংবা সালাতুল হাজত পড়া যাবে কি? নামাজের পর জিকির করা কিংবা অন্যন্য আমল করা যাবে কি??

৩. আমি একটা কাপড় বীর্য লাগায় তা ধুয়ে ফেলি কিন্তু তাতে ধোয়ার পরেও বীর্যের চিন্হ থেকে যায় সামনের দিকে যা পরে খেয়াল করি। এর মধ্যে কাপড় শুকানোর পূর্বেই তা পড়ে চেয়ারের খালি ফোমের জায়গাতে বসি।। এখন ফোম খোলা সম্ভব না।  সেজন্য এটাকে উপর দিয়ে তিনবার পানি প্রবাহিত করে দেই।। নিংড়ানো সম্ভব না।। এখনও ফোম শুকায়নি। আমি ভুলে ফোম ভেজা অবস্থাতেই বসে যাই এবং এরপর কাপড় ভিজে যায়। এখন কি আমাকে এ কাপড় ধুতে হবে??

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)

নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম  তথা ৩.০৬১৮ গ্রাম পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/118

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

ওয়ারড্রোবে কাপড় রাখার পর তাতে যদি তেলাপোকা বিষ্ঠা ত্যাগ করে, যদি তা এক দিরহাম সমপরিমাণ না হয়,(এক দিরহাম সমপরিমাণ না হওয়াটাই স্বাভাবিক)  তাহলে কাপড় নাপাক হবে না। 

(২) 

কর্মস্থলে অবসর সময়ে নফল নামাজ কিংবা সালাতুল হাজত পড়া যাবে। নামাজের পর জিকির করা কিংবা অন্যন্য আমল করাও যাবে। তবে কাজকে ফাকি দিয়ে নফল ইবাদত করা যাবে না।

(৩) 

বীর্যের চিহ্ন কাপড়ে অবশিষ্ট থাকলে কোনো সমস্যা নেই, কাপড় পবিত্র হয়ে যায়। সুতরাং ঐ কাপড়কে আবার ধৌত করা লাগবে না।