বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
8517 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যাকাত শুধুমাত্র মালে নামী তথা ক্রমবর্ধমান মালের উপর ওয়াজিব হয়।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যবসার মালের উপর যাকাত আসবে না।তবে স্বর্ণের চুড়ি আংটি ইত্যাদির উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। যদিও সেটা ব্যবহারের জন্য হয় না কেন। হ্যা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে জিনিষকে রাখলে,সেই জিনিষে যাকাত আসবে।
যাকাতের নেসাব-
৭.৫ তুলা স্বর্ণ অথবা ৫২ভড়ি রূপা বা তার সমমূল্যের টাকার মালিকের উপর ২.৫%করে যাকাত দেওয়া ফরয।
★যাকাতের খাত
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/699
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ঐ মালের উপর কোনো প্রকার যাকাত আসবে না।তাই আর যাকাত দিতে হবে না।