আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি
ওয়াবারকাতুহু।
আমাদের সমাজে যেভাবে বিয়ে হয় ঐ বিয়ে তে বর যাত্রী হিসেবে আমরা মেয়ের বাড়িতে খেতে যাবো বিয়ের দিন।

এখন আমি জানি এটা মেয়েদের উপর জুলুম।ইসলাম ও এমন কিছু সমর্থন করেনা।আর এ বিয়ে সুন্নাহ সম্মত ও না। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।
তবে মেয়েদের খাওয়ানো র সামর্থ্য আছে।পরদিন
ওয়ালিমা আমরা খাওয়াবো ।
আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের ভাবী কে কোন কিছুর অভাব রাখি নি।
১০ লক্ষ মোহরানা,সাজানি ২ লক্ষ,৭ ভরী গহনা এবং
সব ওনার পছন্দ মতো। সব আমরা  নিজে থেকেই দিচ্ছি।বিয়ে আমাদের ঘরের তাই আমাকে এটেন্ড
থাকতেই হবে।
এখন আমি কনের বাড়ি তে গিয়ে খেয়ে আসি এটা কি গুনাহের কাজ বা বিবেকহীন মানুষ এর কাজ হবে??
আমি বাধ্য পুরা বাড়িতে ও আমাকে একা রেখে যাবেন না। আমার কি করা উচিত?
আর গায়ে হলুদের কেক বানানো হবে ঘরে আরো
খাওয়ার তো অনেক কিছুই বানানো হবে ,এগুলো
খাওয়া কি আমার জন্য নাজায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (661,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শাশুড় বাড়ি থেকে কোনো কিছু আশা রাখা তথা বরযাত্রী খাওয়ানো,ইফতারি ও সময়ে সময়ে জামাই বাড়ীর লোকদের খাওয়ানো ও উপহার উপটোকন দেওয়া, এসবই যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। বউয়ের বাবার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতিত এগুলো যদি জামাই বা জামাই বাড়ীর লোকজন অর্জন করে, তাহলে সেটা জায়েয হবে না। কখনো জোরপূর্বক এগুলো নিয়ে এসে থাকলে, বউয়ের বাবার নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কেনো প্রকার চাপপ্রয়োগ ব্যতিত কনে পক্ষ নিজদের সন্তুষ্টির সাথে বরযাত্রার খাবার রেডি করে, তাহলে তখন নাজায়েয হবে না।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...