ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২,কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1642
শুধু স্বর্ণ হলে কারো নিকট ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ থাকলেই কেবল কুরবানি ওয়াজিব হবে। যেভাবে যাকাতের বিধান। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/121
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার নিকট যদি কুরবানির নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, তাহলে বিয়ের আগে হোক বা পরে সর্বাবস্থায়-ই কুরবানি ওয়াজিব হবে। আপনার মায়ের কুরবানির জন্য ক্রয়কৃত পশু দ্বারা আপনার কুরবানি তখনই বিশুদ্ধ হবে যখন আপনার মায়ের নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকবে। যদি আপনার মায়ের উপর কুরবানি ওয়াজিব না থাকে, তাহলে মায়ের জন্য ক্রয়কৃত পশু দ্বারা আপনার কুরবানি হবে না। কেননা যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই, তার জন্য পশু ক্রয় দ্বারা উক্ত পশু কুরবানি নির্দিষ্ট হয়ে যায়।
(২) আপনি যতটাকা পারেন, দিয়ে দিবেন, বাকী টাকা আপনার আব্বু দিবেন। এভাবে করলেও কুরবানী আদায় হবে। এভাবে টাকা পরিশোধ করা যাবে।
(৩) যেহেতু আপনার আম্মুর নামে কুরবানির পশু ক্রয় করা হয়েছে, তাই সর্বাবস্থায়-ই আপনার আম্মুর উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। তবে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৪) কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার পর যদি কোনো কারণে কুরবানি আদায় করা না হয়, তাহলে এক বৎসর বয়সের একটি বকরির মূল্য সদকাহ করতে হবে। ১ বৎসর বয়সের একটি বকরির মূল্য ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যেই হবে। কোনো কওমী মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে সদকাহ করে দিবেন।