আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। একজন বোনের পক্ষ থেকে-
আমার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত কিছু সমস্যা চলছে। সে খুবই কষ্টদায়ক কথা বলে আমাকে। বিশেষত দ্বীনের ব্যাপার নিয়ে, সে নিজে পরিপূর্ণ প্র্যাক্টিসিং না, তবে আমার কোনো বিষয়ে ভুল হলে এবং তাকে দ্বীনের কোনো বিষয়ে সংশোধনের কথা বললে খোটা দেয় লেবাসধারী বলে। অনেক সময়  অসহ্য হয়ে কয়েকটা কথার জবাব দিলে  বলে আমি নিজেই নাকি লেবাসধারী  ,স্বামীর অবাধ্য, বেয়াদব, তর্কবাজ, অহংকারী, স্বার্থপর, আমি জাহান্নামে যাবো। এধরনের কথা প্রায়শই সে বলে থাকে এবং দিন দিন বাড়ছেই। সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে, আমি মানসিকভাবে যন্ত্রণায় আছি,অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমি শাশুড়ীর সেবা করি। এরপরও কোনো ভুল হলে সে বলে আমি তার মা কে দেখতে পারি না। সে আমাকে একটা পর্দা পালনের মতো বাসা দেয়নি, তার বাসায় তার অবিবাহিত বড় ভাই থাকে (২৪ ঘন্টা), তিনি কখনোই বাসা থেকে বের হন না। আমাকে হিজাব-নিকাব পরে কাজ করতে হয়। অনেক সময় আমার পর্দা লংঘন হয়ে যায় কারন আমার শশ্বুরালয়ের পরিবার এ ব্যাপারে খুবই গাফেল।  আমার স্বামী কে অনেক বার আলাদা বাসার কথা বলার পরও দিচ্ছে না, একবার বলে দিবে, আবার বলে তুমি আমাকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছ, আমি আমার মা আর ভাইকে রেখে যাবোনা, বলে পর্দা  করার কষ্ট করে দীন এর জন্য স্যাক্রিফাইস করতে। এ নিয়ে অনেক ঝগড়া মনোমালিন্য হয়েছে। সে অনেকটা দ্বিমুখী আচরণ করে। একবার এক কথা বলে। যেকোনো বিষয়ে আমাকে দোষারোপ করে, ছোটোখাটো ব্যপারে বলে তুমি জাহান্নামে যাবা, তুমি মরলে বুঝবা। এভাবে আমার জন্য ধৈর্য্য ধরা আর সম্ভব হচ্ছে না,আমি তার সব কিছু মাফ করে দিয়েছি কিন্তু সে যখন কথায় কথায় বলে তুমি অবাধ্য,বেয়াদব,তুমি জাহান্নামে যাবে তখন আমার অনেক মানসিক চাপ লাগে,ইবাদতে মনোযোগ পাইনা, মনে হয় আমি আসলেই দোষী, তার কথায় আতংকে ভুগি: আমি আসলেই জাহান্নামে যাবো?!
তার সাথে ভালোভাবে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করতে গেলে কোনো সমাধান তো আসেই না বরং সমস্যা এবং ঝগড়া আরো বেড়ে যায়। সে শুধু তার পক্ষের হাদিস গুলা শুনায় আমাকে। আমি বেশি থেকে বেশি হলে জোরে আওয়াজ করে উচু গলায় কথা বলি। কিন্তু আমি কখনো খারাপ ভাষায় কথা বলি না। কিন্তু সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। অনেক মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলে। আমার তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দিন দিন কমে যাচ্ছে, তার প্রতি কোনো টান অনুভুতি কাজ করে না।
উস্তায,
১.এক্ষেত্রে আমার কি করা উচিত? কি সিদ্ধান্ত নিতে পারি?
২.সে যে আমাকে কথায় কথায় জাহান্নামে যাবা, মরার পর বুঝবা, স্বামী অসন্তুষ্ট হলে বিনা হিসেবে জাহান্নামী, বেশির ভাগ মেয়ে জাহান্নামে যাবে বলে এগুলা নিয়ে আমি আতংকে থাকি,আমি এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।  এব্যাপারে কিছু বলুন দয়া করে।
৩.এ অবস্থায় আমি কি করবো? আমার কি করা উচিত?  তার সাথে কিভাবে সংসার করবো?কিভাবে ধৈর্য্য ধরবো?
৪.বাচ্চা হলে তারবিয়াহ-ই বা কিভাবে করবো? এই টক্সিক সম্পর্কে তা কি সম্ভব?
৫.আমার স্বামী অতিরিক্ত মোবাইল আসক্ত, বিশেষ করে ফেসবুক, এমনকি বাথরুমেও মোবাইল নিয়ে যায়। মোবাইলে নাটক সিনেমা দেখে। মাঝে মাঝে গানও শুনে। এই ব্যাপারে কি করতে পারি?
৬.গায়রে মাহরাম মহিলাদের সাথে কোনো পর্দাই করে না। বিষয়টা আমার খুবই গায়রতে লাগে। কিভাবে ধৈর্য্য ধারণ করব?

1 Answer

0 votes
by (662,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ
ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।(সূরা বাকারা-৪৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথমে আপনাকে বলবো,  ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করার এবং স্বামীর মন পরিবর্তন হওয়ার জন্য আপনি দু'আ করতে থাকুন।  তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যেভ দু'আ করুন।এটাই আপনার জন্য অধিক কল্যাণজনক হবে। স্বামীর সাথে সর্বদা আপন করে কথাবার্তা বলুন। 

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)

আল্লাহ আপনার সহায় হোক। আপনার স্বামীকে আল্লাহ তা'আলা হেদায়েত দান করুক।আমীন 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...