আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in পবিত্রতা (Purity) by (10 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

১. প্রবাহমান বালতির উপরে টেপ ছাড়া থাকলে এবং বালতি উপছে পানি পড়তে থাকলে সেই বালতি থেকে তুলে ট্যাপের নিচে দৃশ্যমান ( সাদাস্রাব) নাপাকযুক্ত কাপড় ধুয়ে শুকানোর পর দেখা গেল, কিছু অংশে নাপাকি র চিহ্ন রয়ে গেছে।

এখন এই পদ্ধতিতে যেহেতু প্রচুর পানি গিয়েছে এবং সাবান দেয়ার কারণে সাবানের ঘ্রাণ আছে তাই সেগুলো কি পাক ধরা হবে ? আর না হলে

উক্ত দৃশ্যমান নাপাক অংশ ধূলেই কি যথেষ্ট নাকি সবগুলো কাপড় সম্পূর্ণভাবে ভিজিয়ে আবার তিনবার ধুতে হবে?

২. একটা ভেজা কাপড়ে এক ফোঁটা বা অল্প একটু তরল নাপাকি যদি পড়ে তাহলে ভেজার মধ্যে এর মিশ্রণের ফলে কি সম্পূর্ণ ভেজা কাপড়টি নাপাক ধরা হবে নাকি শুধুমাত্র যতোটুকু অংশে নাপাকি লেগেছে ততটুকু অংশ ধুলেই পার হয়ে যাবে?

৩. কাপড়ের এক জায়গায় নাপাকি ধুতে গেলে আসে পাশের যেটুকু অংশে ট্যাপের পাক পানি লাগে , নাপাকীর ভিজার সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে সে অংশ ও কি নাপাক হয়ে যাবে?

অর্থাৎ একটা কাপড়ের এক অংশে 

র নাপাক অংশ ধুতে গেলে অন্য অন্য আরও আশপাশ ভিজলে সেই ভিজা গুলোও ধুতে গেলে পুরো কাপড়টাই ধুয়ে ফেলতে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (632,370 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

https://ifatwa.info/33586/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

ফাতাওয়ার কিতাবে উল্লেখ রয়েছে,    

لمافی البحر الرائق(۴۱۰/۱): والمراد بالأثر اللون والریح فان شق إزالتھما سقطت وتفسیر المشقۃ أن یحتاج فی إزالتہ إلی استعمال غیر الماء کالصابون والأشنان أو الماء المغلی بالنار کذا فی السراج۔
সারমর্মঃ
চিন্হ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো রং,ঘ্রাণ। 
যদি সেটি দূর করা অনেক কষ্টকর হয়,তাহলে রহিত হয়ে যাবে।
কষ্টকর হয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা হলো,তাহা দূর করতে পানি ব্যাতিত অন্য কিছুর প্রয়োজন হয়,যেমন সাবান,আগুনে দেওয়া ফুটানো পানি ইত্যাদি।       
 
وفی الدر المختار(۳۱۲/۱): (ویطھر منی) أی محلہ (یابس بفرک) ولا یضر بقاء اثرہ… (والا) یکن یابسا … (فیغسل)
وفی الشامیۃ تحتہ: (قولہ ولا یضربقاء اثرہ) أی کبقائہ بعد الغسل بحر۔
সারমর্মঃ
শুকনো বীর্য খুটিয়ে তোলার দ্বারা পাক হয়ে যাবে,তার চিন্হ অবশিষ্ট থাকা সমস্যাকর নয়।  
 
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ-
"و إن کانت شیئًا لایزول أثرہ إلا بمشقة بأن یحتاج في أزالته إلی شيء آخر سوی الماء کالصابون لایکلف بإزالته ... و یشترط العصر في کل مرة ویبالغ في المرة الثالثة."
(الباب السابع في النجاسة وأحکامها، ج:1، ص:96، ط:مكتبه رشيديه)
সারমর্মঃ
যদি বস্তুটি এমন হয়,যে তার চিন্হ কষ্ট ব্যাতিত যাবেনা।
 তাহা দূর করতে পানি ব্যাতিত অন্য কিছুর প্রয়োজন হয়,যেমন সাবান,তাহলে চিন্হ দূর করার কষ্ট করতে হবেনা। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত দৃশ্যমান নাপাক অংশ এমন ভাবে ধোয়া লাগবে,যাতে নাপাকির চিহ্ন না থাকে,এটিই যথেষ্ট।
পুরো কাপড় ধোয়া আবশ্যক নয়।

(০২)
যতটুকু অংশে নাপাকি লেগেছে,এবং যতটুকু অংশে নাপাকি ছড়িয়ে গিয়েছে, পুরো এ অংশ তিন বার ধুয়ে প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে নিলেই তাহা পাক হয়ে যাবে।

(০৩)
হ্যাঁ, সে অংশ ও নাপাক হয়ে যাবে।
তাই যেই অংশে নাপাকি লেগেছে,তার আশেপাশের আরো বেশ কিছু জায়গা ধুয়ে পাক করবেন,তাহলে আর উক্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 7 views
...