আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। উস্তাজ আমি আলহামদুলিল্লাহ একজন তলিবাতুল ইলম। আইওএম এ অধ্যয়নরত আছি আলহামদুলিল্লাহ। উস্তাজ আমাদের বাসায় অনেক মেহমান আসে আল্লহর অশেষ রহমতে। আমার বাসায় আছি আমি আর আম্মু। মেহমানদারি করার মতো মানুষ আমরা দুইজনই। প্রায়ই দেখা যায় যে আমি যখন রাতের বেলা ক্লাস নিয়ে বসি তখন মেহমান আসে। আমি ক্লাসের মাঝখান দিয়ে উঠে তাদের মেহমানদারি করি। তাদের সংগ দিই আলহামদুলিল্লাহ। এভাবে করে গত এক দেড় মাস প্রচুর মেহমানদারী হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ যার ফলে আমার খুব কম ক্লাসই ভালো করে করেছি। এখন আমাদের আর কয়েকদিন পর ফাইনাল পরীক্ষা। ঈদের পরে এখন অনেক আত্নীয়দের বাসায় দাওয়াত। কিন্তু আমার পড়া হয়নি বলে আমি যাইনা। ঘরে থেকে পড়াশুনা করার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এটাকে অনেকে ভালো চোখে দেখে না। মানে মনে করে যে পড়াশুনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না এতো বেশি। তারা বলে যে আগেকার দিনে বুযুর্গরা সবসময় রোজা রাখতেন শুধু মেহমান আসলে রোজা ভাংতেন। অর্থাৎ মেহমানের মর্যাদা বুঝাতে এগুলো বলে। কিন্তু আমি তো আর সেটা অস্বীকার করিনি। মেহমান আসলে আলহামদুলিল্লাহ চেষ্টা করি। এরপরেও এগুলো শুনতে হলে অনেক কষ্ট লেগে যায়। আমার কি প্রকৃতপক্ষেই গুনাহ হচ্ছে আমি যে যাইনি এইজন্য। এমন না যে আমি গেলে তারা অনেক বেশি মাইন্ড করবে। অন্যান্যরা তো যাচ্ছেই। আমি না গেলে কি বেশি গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (635,130 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে না যাওয়াতে আপনার কোনো গুনাহ হচ্ছেনা/আপনি না গেলে গুনাহগার হবেননা।
ফাইনাল এক্সামের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...