আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (5 points)
একটু জরুরি পরামর্শ পাওয়া গেলে ইহসান হবে।
(১) জনৈক ব্যক্তি এখন মক্কায় আছেন। ১০ যিলহজ্জের কাজ শেষ করে আরবি ১১ যিলহজ্জ্বের রাতে মক্কায় হোটেলে অবস্থান করেছেন, মিনায় অবস্থান করেননি। যদিও তার বিশেষ কোন ওজর ছিল না। তিনি আরবি ১২ যিলহজ্জের রাত অবশ্য মিনার তাঁবুতে কাটিয়েছেন। এখন কি তাকে দম দিতে হবে?
(২) জনৈক ব্যক্তি ১২ যিলহজ্জ্বের কংকর নিক্ষেপের , মধ্যম জামারায় প্রথম কংকরটি নিক্ষেপের ক্ষেত্রে শুধু "বিসমিল্লাহ" বলে নিক্ষেপ করেন, পাথর হাত থেকে ছোঁড়ার ঠিক পরে মনে পড়ে যাওয়ায় "আল্লাহু আকবার" বলেন। কিন্তু মনে অস্বস্তি থেকে যায়, তাই ৭ টি কংকর নিক্ষেপের পরেও অতিরিক্ত আর ১ টি কংকর "আল্লাহু আকবার" বলে নিক্ষেপ করেন। এখন করণীয় কি?
(৩) জনৈক ব্যক্তি ১২ যিলহজ্জ্বে বড় জামারায় কংকর মারার জন্য হাতে ৮টি কংকর নেন এবং ১টি রেখে বাকিগুলি নিক্ষেপ করেন। কিন্তু সরে আসার পর থেকে সন্দেহ হতে থাকে যে আদৌ কি হাতে ৮টি কংকর ছিল, নাকি ৭টি ছিল। নিশ্চিত না হওয়ায় তিনি অতিরিক্ত কংকর নিক্ষেপ করেননি। এখন করণীয় কি? উল্লেখ্য যে এই ব্যক্তির সন্দেহ ৮টির ব্যাপারে প্রবল।

1 Answer

0 votes
by (632,940 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ وَدَفَعَ حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعَشَاءَ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ فَصَلَّى الْفَجْرَ حِينَ تَبَيَّنَ لَهُ الصُّبْحُ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى أَتَى الْمَشْعَرَ الْحَرَامَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَدَعَاهُ وَكَبَّرَهُ وَهَلَّلَهُ وَوَحَّدَهُ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى أَسْفَرَ جِدًّا فَدَفَعَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ حَتَّى أَتَى بَطْنَ مُحَسِّرٍ فَحَرَّكَ قَلِيلًا ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تَخْرُجُ عَلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا مِثْلَ حَصَى الْخَذْفِ رَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً بِيَدِهِ ثُمَّ أَعْطَى عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ وَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ ثُمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَجُعِلَتْ فِي قِدْرٍ فَطُبِخَتْ فَأَكَلَا مِنْ لَحْمِهَا وَشَرِبَا مِنْ مَرَقِهَا ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَفَاضَ إِلَى الْبَيْتِ فَصَلَّى بِمَكَّةَ الظُّهْرَ فَأَتَى عَلَى بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَسْقُونَ عَلَى زَمْزَمَ فَقَالَ: «انْزِعُوا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَلَوْلَا أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَلَى سِقَايَتِكُمْ لَنَزَعْتُ مَعَكُمْ» . فَنَاوَلُوهُ دَلْوًا فَشَرِبَ مِنْهُ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

অতঃপর তিনি সূর্যোদয়ের পূর্বেই সওয়ারী চালিয়ে দিলেন এবং আপন (চাচাতো ভাই) ফযল ইবনু ’আব্বাস-কে সওয়ারীর পেছনে বসালেন। এভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ’বাত্বনি মুহাস্সির’ নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং সওয়ারীকে কিছুটা দৌড়ালেন। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মধ্যম পথে চললেন যা বড় জামারার দিকে গিয়েছে। সুতরাং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওই জামারায় পৌঁছলেন যা গাছের নিকট অবস্থিত (অর্থাৎ- বড় জামারাহ্) এবং বাত্বনি ওয়াদী (অর্থাৎ- নীচের খালি জায়গা) হতে এর উপর বুটের মতো সাতটি কংকর মারলেন। আর প্রত্যেক কংকর মারার সময় ’’আল্লা-হু আকবার’’ বললেন। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেখান থেকে কুরবানীর জায়গায় ফিরে আসলেন এবং তেষট্টিটি উট নিজ হাতে কুরবানী করলেন। অতঃপর যা বাকী রইলো তা ’আলীকে বাকী পশুগুলো দিলেন, তিনি তা কুরবানী করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের পশুতে ’আলীকেও শারীক করলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক পশু হতে এক টুকরা নিয়ে একই হাড়িতে পাকানোর নির্দেশ দেন। সুতরাং নির্দেশ অনুযায়ী একটি ডেকচিতে তা পাকানো হয়।

তারা উভয়ে এর গোশত (গোসত/গোশত) খেলেন ও ঝোল পান করলেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সওয়ারীতে আরোহণ করলেন এবং বায়তুল্লাহর দিকে রওয়ানা হলেন। মক্কায় পৌঁছে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুহরের সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (নিজ বংশ) বানী ’আবদুল মুত্ত্বালিব-এর নিকট পৌঁছলেন। তারা তখন যমযমের পাড়ে দাঁড়িয়ে লোকজনকে পানি পান করাচ্ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে বললেন, হে বানী আবদুল মুত্ত্বালিব! তোমরা টানো (দ্রুত কর), আমি যদি আশংকা না করতাম যে, পানি পান করানোর ব্যাপারে লোকেরা তোমাদের উপরে জয়লাভ করবে, তবে আমিও তোমাদের সাথে পানি টানতাম। তখন তারা তাঁকে এক বালতি পানি এনে দিলেন, তা হতে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পানি পান করলেন।

মুসলিম ১২১৮, আবূ দাঊদ ১৯০৫, নাসায়ী ২৭৬১, ইবনু মাজাহ ৩০৭৪, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৪৭০৫, দারিমী ১৮৯২।

وفي فتح القدير للكمال ابن الهمام :

"ويكره أن لا يبيت بمنى ليالي الرمي لأن النبي - عليه الصلاة والسلام - بات بمنى، وعمر - رضي الله عنه - كان يؤدب على ترك المقام بها. ولو بات في غيرها متعمدا لا يلزم شيء عندناخلافا للشافعي.

(قوله خلافا للشافعي) فإنه واجب عنده ...أنه - عليه الصلاة والسلام - كان يبيت بمنى على ما قدمناه من حديث عائشة - رضي الله عنها - «أنه - عليه الصلاة والسلام - مكث بمنى ليالي أيام التشريق يرمي الجمرة إذا زالت الشمس» ونفس حديث العباس - رضي الله عنه - يفيده، وما ذكره المصنف من أن عمر - رضي الله عنه - كان يؤدب على ترك المبيت بمنى الله سبحانه أعلم به.

نعم أخرج ابن أبي شيبة عنه أنه كان ينهى أن يبيت أحد من وراء العقبة، وكان يأمرهم أن يدخلوا منى. وأخرج أيضا عن ابن عباس - رضي الله عنهما - نحوه. وأخرج أيضا عن ابن عمر - رضي الله عنهما - أنه كره أن ينام أحد أيام منى بمكة. وأخرج في تقديم الثقل عن الأعمش عن عمارة قال: عمر - رضي الله عنه -: من قدم ثقله من منى ليلة ينفر فلا حج له.

وقال أيضا: حدثنا وكيع عن شعبة عن الحكم عن إبراهيم عن عمرو بن شرحبيل عن عمر قال: من قدم ثقله قبل النفر فلا حج له اهـ: يعني الكمال."

 (كتاب الحج،باب الاحرام ،2/ 502،ط:دار الفکر)

فتاوی ہندیہ:

"(وأما سننه) فطواف القدوم والرمل فيه أو في الطواف الفرض، والسعي بين الميلين الأخضرين، والبيتوتة بمنى في ليالي أيام النحر، والدفع من منى إلى عرفة بعد طلوع الشمس، ومن مزدلفة إلى منى قبلها كذا في فتح القدير. والبيتوتة بمزدلفة سنة والترتيب بين الجمار الثلاث سنة هكذا في البحر الرائق."

(کتاب المناسک باب اول ج نمبر ۱ ص نمبر ۲۱۹،دار الفکر)

وفيه أيضا:

"ثم يعود إلى منى فيقيم بها لرمي الجمار في بقية الأيام ولا يبيت بمكة ولا في الطريق، كذا في غاية السروجي شرح الهداية ويكره أن يبيت في غير منى في أيام منى كذا في شرح الطحاوي فإن بات في غيرها متعمدا فلا شيء عليه عندنا، كذا في الهداية سواء كان من أهل السقاية أو غيره، كذا في السراج الوهاج. وعندنا لا خطبة في يوم النحر كذا في غاية السروجي شرح الهداية."

(کتاب المناسک، باب الخامس ج نمبر ۱ ص نمبر ۲۳۲،دار الفکر)

"غنية الناسك في بغية المناسك":

"ويسن أن يبيت بمنى ليالي أيام الرمى ،فلو بات بغيرها متعمدا كره لاشيء عليه عندنا."

(باب طواف الزيارة، فصل في العود إلى منى وما ينبغي له الاعتناء به أيام قيامه بها، ص:179، ط:ادارة القرآن)
মর্মার্থঃ-
পাথর নিক্ষেপের রাতে মিনায় অবস্থান অওরা সুন্নাত।
কেহ যদি মিনা ব্যাতিত অন্যত্রে রাত্রি যাপন করে,সেক্ষেত্রে মাকরুহ হবে।
তবে এর দরুন কোনো কিছু দিতে হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সুন্নাত তরক হয়েছে। এক্ষেত্রে ছওয়াবের মধ্যে কিছু কমতি আসবে। তবে এর দরুন কোনো কিছু আবশ্যক হবেনা।

(২-৩)
এটি নিয়ম বহির্ভুত কাজ হয়েছে।
তবে এর দরুন কোনো দম বা কোনো কিছু দেয়া আবশ্যক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...