হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَن سالمٍ عَن ابنِ عمر: أَنَّهُ كَانَ يَرْمِي جَمْرَةَ الدُّنْيَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكبِّرُ على إِثْرَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ يَتَقَدَّمُ حَتَّى يُسْهِلَ فَيَقُومُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ طَوِيلًا وَيَدْعُو وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ ثُمَّ يَرْمِي الْوُسْطَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ ثُمَّ يَأْخُذُ بِذَاتِ الشِّمَالِ فَيُسْهِلُ وَيَقُومُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ ثُمَّ يَدْعُو وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ وَيَقُومُ طَوِيلًا ثُمَّ يَرْمِي جَمْرَةَ ذَاتِ الْعَقَبَةِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ عِنْدَ كُلِّ حَصَاةٍ وَلَا يَقِفُ عِنْدَهَا ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَيَقُولُ: هَكَذَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَله. رَوَاهُ البُخَارِيّ
সালিম (রহঃ) (তাঁর পিতা) ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তিনি [’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)] প্রথম জামারায় (নিকটবর্তী জামারায়) সাতটি পাথর মারতেন এবং প্রত্যেক পাথরের মারার সময় ’আল্লা-হু আকবার’ বলতেন। তারপর তিনি কিছু দূর আগে বেড়ে নরম মাটিতে যেতেন এবং সেখানে কিবলার দিকে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় হাত তুলে দু’আ করতেন। তারপর জামারায়ে উস্ত্বা’য় (মধ্যম জামারায়) এসে আবার সাতটি পাথর মারতেন। প্রত্যেক (ছোট) পাথর মারার সাথে ’আল্লা-হু আকবার’ বলতেন। তারপর বামদিকে কিছু দূর এগিয়ে নরম মাটিতে পৌঁছে কিবলার দিকে দাঁড়িয়ে দু’আ করতেন। এরপর জামারাতুল ’আক্বাবায় গিয়ে বাত্বনি ওয়াদী (খোলা নিচু জায়গা) হতে সাতটি পাথর মারতেন। প্রত্যেক পাথর মারার সাথে ’আল্লা-হু আকবার’ বলতেন। কিন্তু এখানে দাঁড়াতেন না, বরং (গন্তব্য পথে) চলে যেতেন এবং বলতেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এভাবে পাথর (কঙ্কর) মারতে দেখেছি।
(বুখারী ১৭৫১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৬৬৩।)
প্রত্যেক হাজির জন্য কংকর নিক্ষেপের কাজ নিজেই করতে হয়। তবে ভীড়ের কারণে কিংবা অন্য কোনো শরয়ী কারণে অন্যকে দিয়ে কংকর নিক্ষেপ করাতে পারবে। ইসলামের দৃষ্টিতে অসুবিধা বিবেচিত নয়, এমন কোনো কারণ ছাড়া অন্যের মাধ্যমে রমী করানো জায়েয নয়। শরয়ী কারণ ছাড়া অন্যকে দিয়ে রমী করালে তা আদায় হবে না। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে পুনরায় নিজের রমী করতে হবে। যদি না করে তবে দম ওয়াজিব হবে।
শরয়ী কারণ হল- এমন অসুস্থতা বা দুর্বলতা যার কারণে বসে নামাজ পড়া জায়েয। অথবা অসুস্থতার কারণে জামরাত পর্যন্ত পৌঁছা খুবই কষ্টকর হয় কিংবা রোগ অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তবে এমন ব্যক্তি অন্যকে দিয়ে রমী করাতে পারবে। (আহকামে হজ ৭৬-৭৭)
وتجوز عند العذر فلو رمى عن مريض بأمره، أو مغمى عليه ولو بغير أمره، أو صبى، أو معتوه، أو مجنون جاز، (غنية الناسك، قديم-100، جديد كرتاشى-1/187)
সারমর্মঃ-
কেউ যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার অনুমতিক্রমে পাথর নিক্ষেপ করে, তাহলে সেটি জায়েজ হবে।
والرجل فى الرمى سواء إلا أن رميها فى الليل أفضل، فلا تجوز النيابة عن المرأة بغير العذر (عنية الناسك-100، جديد كرتاشى-188)
সারমর্মঃ-
কোন মহিলা পক্ষ থেকে কেউ পাথর নিক্ষেপ করতে পারবেনা,তবে ওযর ব্যাতিত।
وتجوز الإنابة فى الرمى لمن عجز عن الرمى بنفسه لمرض أو حبس، أو كبر سن، أو حمل المرأة، فيصح للمريض بعلة لا يرجى زوالها قبل انتهاء وقت الرميى، وللمحبوس وكبير السن والحامل، أن يوكل عنه من يرمى عنه الجمرات كلها، ويجوز التوكل عن عدة أشخاص على أن يرمى الوكيل عن نفسه أولا كل جمرة من الجمرات الثلاث (الفقه الإسلامى وأدلته-3/236)
সারমর্মঃ-
যে ব্যক্তি পাথর নিক্ষেপ থেকে অপারগ অসুস্থতা বশত অথবা আটকের কারণে অথবা বার্ধক্য জনিত কারণে অথবা গর্ভবতী মহিলা হওয়ার কারণে, সেক্ষেত্রে অন্য কেউ তার পক্ষ থেকে পাথর নিক্ষেপ করে দিতে পারবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,