জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এটা নাজায়েজ নয়।
তবে এমনটি অনুচিত,কোনো মুমিন নিজেকে মানুষের সামনে এমন ভাবে তুলে ধরবে না, যাতে মানুষ তাকে লাঞ্ছিত করে বা অপমানিত করে।
এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে-
ليس للمؤمن أن يذل نفسه، أن يعرضها من البلاء لما لا طاقة له به
মুমিন ব্যক্তির উচিত নয় নিজেকে লাঞ্ছিত করা। অর্থাৎ নিজেকে এমন বিপদের সম্মুখীন করা, যা বহনের ক্ষমতা তার নেই। (জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২২৫৪: সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ৪০১৬)
(০২)
নামাজের ভিতর নড়াচড়া করা যাবেনা।
এক রুকন সমপরিমাণ এমনটি করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি (অঙ্গের) ওপর সিজদা করে এবং নামাজে চুল বা কাপড় না গুটায়। -সুনানে আবু দাউদ: ২/১৪
নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তখন মনে হত একটি কাঠ মাটিতে গেড়ে দেওয়া হয়েছে। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৭৩২২
প্রখ্যাত তাবেয়ি আমাশ (রহ.) থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তাকে দেখে মনে হত যেন একটি পড়ে থাকা কাপড়। -মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৩৩০৩।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি দুই হাতের ব্যবহার হয়,তাহলে আমলে কাসির হওয়ায় নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
অন্যথায় নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
৩.সাহু সিজদার কারণ ঘটেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ হলে প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।
৪.কারো ওপর হাসি তামাশা করা হলে(অনলাইনে) তা দেখে হাসলে(কারো সামনে না) হক নষ্ট হবেনা।
৫.শুধু এতটুকুর দরুন রোজা ভেঙ্গে যায়নি।
৬. তাহা গ্রহন নাজায়েজ হবেনা।
তবে বিষয়টি আগে থেকে জানা থাকলে এক্ষেত্রে হাদিয়ার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়া হবে।
এতে নামাজের ছওয়াব হবেনা।
তাই হাদিয়া গ্রহণ না করারই পরামর্শ থাকবে
৭.কুরবানীর গোশত ক্রয় করলে তা খাওয়া জায়েয।
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/35662/৮. কোনো জায়গায় নবীজীর নাম নেওয়া হল কিন্তু তা ব্যাক্তি শুনতে পারেনি। কারণ সে হয়ত অন্যমনস্ক ছিল বা কোনো কাজে ব্যাস্ত ছিল।এখন তার উপর দরূদ পড়া ওয়াজিব নয়।
৯. ওজন কমানোর মেশিনে ভুল করে পায়ের ধুলা লাগলে গুনাহ হবেনা।
এবং এতে হক নষ্ট হবেনা।
১০.এক মসজিদে জুম্মা শেষ করে বের হওয়া পর অন্য মসজিদে খুৎবা শুরু হলো।এখন ঐ মসজিদের খুৎবা শোনা ওয়াজিব নয়।