এটি বানোয়াট ভিত্তিহীন একটি কথা।
রাসুল সাঃ এর দিকে ইঙ্গিত করে একথা বলা কঠিন গুনাহ।
তাই এহেন বাক্য বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْمَعْنَى، عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ، قَالَ: مُسَدَّدٌ أَبُو بِشْرٍ: عَنْ وَبَرَةُ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ لِلزُّبَيْرِ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُحَدِّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا يُحَدِّثُ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ لِي مِنْهُ وَجْهٌ وَمَنْزِلَةٌ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ صحيح
আব্দুল্লাহ ইবনুস যুবায়র (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি যুবায়র (রাঃ)-কে বললাম, আপনি অন্যান্য সাহাবীদের মতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস বর্ণনা করেন না কেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তাঁর নৈকট্য লাভ করেছি, তাঁর সাহচর্যে থেকেছি। কিন্তু আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো, সে (জাহান্নামের) আগুনে তার বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলো।
(আবু দাউদ ৩৬৫১,বুখারী)
,
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّكُمْ مَنْصُورُونَ وَمُصِيبُونَ وَمَفْتُوحٌ لَكُمْ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَلْيَتَّقِ اللَّهَ وَلْيَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَلْيَنْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ তোমরা অবশ্যই সাহায্যপ্রাপ্ত হবে, বিপদগ্ৰস্তও হবে এবং তোমাদের মাধ্যমে অনেক জায়গা বিজিতও হবে। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সেই যুগ পায় তাহলে সে যেন আল্লাহ্ তা'আলাকে ভয় করে এবং সৎকাজের আদেশ দেয় ও অসৎ কাজে বাধা প্রদান করে। আর যে লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামেই তার থাকার জায়গা তৈরী করে নেয়।
(সহীহ, তিরমিজি ২২৫৭ সহীহাহ (১৩৮৩), দেখুন হাদীস নং (২৮০৯)।)
আবূ ঈসা রহঃ বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 160406 নং ফতোয়া,এবং জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144004201614 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
আরো জানুনঃ
(০২)
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এমনটি করা যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
দাজ্জালের ডান চোখের ব্যাপারে হাদিসে যে বিবরণ পাওয়া যায়ঃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ الدَّجَّالَ بَيْنَ ظَهْرَانَىِ النَّاسِ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَيْسَ بِأَعْوَرَ . أَلاَ وَإِنَّ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ أَعْوَرُ الْعَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِئَةٌ
অর্থঃ ইবনু ‘উমার (রাযি:) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের মধ্যে দাজ্জালের আলাপ-আলোচনা করে বললেন, আল্লাহ তা’আলা অন্ধ নন। কিন্তু সতর্ক হও! দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে। আর তা আঙ্গুরের মতো ফোলা হবে।
সহীহ মুসলিম, হাদিস নং : ৭২৫১
দাজ্জালের অন্য চোখ অর্থাৎ বাম চোখের ব্যাপারে হাদিসে যে বিবরণ পাওয়া যায়ঃ
عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الدَّجَّالُ أَعْوَرُ عَيْنِ الْيُسْرَى جُفَالُ الشَّعَرِ مَعَهُ جَنَّةٌ وَنَارٌ فَنَارُهُ جَنَّةٌ وَجَنَّتُهُ نَارٌ "
অর্থঃ হুযায়ফাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দাজ্জালের বাম চোখ হবে অন্ধ এবং তার মাথায় থাকবে পর্যাপ্ত চুল। তার সাথে থাকবে (কৃত্রিম) জান্নাত ও জাহান্নাম। আসলে তার জাহান্নাম হবে জান্নাত এবং জান্নাত হবে জাহান্নাম।
(সুনান ইবন মাজাহ, হাদিস নং : ৪০৭১ (সহীহ)
عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لأَنَا أَعْلَمُ بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ مِنْهُ مَعَهُ نَهْرَانِ يَجْرِيَانِ أَحَدُهُمَا رَأْىَ الْعَيْنِ مَاءٌ أَبْيَضُ وَالآخَرُ رَأْىَ الْعَيْنِ نَارٌ تَأَجَّجُ فَإِمَّا أَدْرَكَنَّ أَحَدٌ فَلْيَأْتِ النَّهْرَ الَّذِي يَرَاهُ نَارًا وَلْيُغَمِّضْ ثُمَّ لْيُطَأْطِئْ رَأْسَهُ فَيَشْرَبَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مَاءٌ بَارِدٌ وَإِنَّ الدَّجَّالَ مَمْسُوحُ الْعَيْنِ عَلَيْهَا ظَفَرَةٌ غَلِيظَةٌ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ يَقْرَؤُهُ كُلُّ مُؤْمِنٍ كَاتِبٍ وَغَيْرِ كَاتِبٍ "
অর্থঃ হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দাজ্জালের সাথে কি থাকবে, এ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত অবগত আছি। তার সাথে প্রবাহমান দুটি নহর থাকবে। একটি দৃশ্যত সাদা পানি এবং অপরটি দৃশ্যত লেলিহান অগ্নি মনে হবে। যদি কেউ সুযোগ পায় তবে সে যেন ঐ নহরে প্রবেশ করে যাকে দৃশ্যত আগুন মনে হবে এবং (এই) চক্ষু বন্ধ করতঃ মাথা অবনমিত করে সে যেন তা থেকে পানি পান করে। তা হবে ঠাণ্ডা পানি। দাজ্জালের এক চোখ বিকৃত/লেপা হবে এবং তার চোখের উপরে ঝুলন্ত চামড়া থাকবে এবং দুই চোখের মাঝখানে كَافِرٌ অথবা ك ف ر লেখা থাকবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল মুমিন ব্যক্তি তা পাঠ করতে পারবে।
(সহীহ মুসলিম ৭১০১ ও ৭২৫৭)
,
★আলোচ্য হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবন হাজার আসকালানী(র.) ফাতহুল বারীতে বলেছেন,
“হাদিসদ্বয়ের মাঝে কাজি ইয়াদ্ব(র.) সমন্বয় করেছেন। তিনি বলেছেন যে, উভয় বর্ণনাই বিশুদ্ধ। … … তার (দাজ্জালের) বাম ও ডান উভয় চোখই ত্রুটিযুক্ত। কেননা, ‘আওরা বলতে প্রত্যেক ত্রুটিযুক্ত জিনিসকে বোঝায়। আর দাজ্জালের উভয় চোখই ত্রুটিযুক্ত। এক চোখ তো জ্যোতিশূন্য (ডান চোখ)। কিছুই দেখতে পারে না। আর অন্যটি (হালকা) নষ্ট (বাম চোখ)।”
(ফাতহুল বারী – ইবন হাজার আসকালানী, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ৪৮০-৪৮১)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
দাজ্জালকে হযরত ঈসা আঃ হত্যা করবেন।
আর কাফের যদি মুসলমান হয়,তাহলে তো তাকে হত্যা করা জায়েজ নেই।
আর কোনো নবিই এমন নাজায়েজ কাজ করতে পারেননা।
সুতরাং দাজ্জাল কাফের অবস্থাতেই মারা যাবেন।
আরো জানুনঃ