আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
reshown ago by
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে" [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

প্রশ্ন: ১। এই হাদিস এর মানে কি এই যে,  যে ব্যাক্তি মাসিক অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে অথবা স্ত্রীর পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করবে তার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?? কারন এই হাদিসে বলা হয়েছে " যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে"( গুনাহ জেনেও ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রশ্নোক্ত কাজগুলো করলে)

প্রশ্ন ২। যদি উপরোক্ত হাদিসে উল্লেখিত কাজগুলো ইচ্ছাকৃত করলে ইমান নষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ মাসিক বা ঋতুকালীন অবস্থায় হারাম সহবাস করলে যদি ইমান নষ্ট হয় তাহলে " যিহার" করে কাফফারা না দিয়ে সহবাস করলেও তো ইমান নষ্ট হবে।।(তাতে যদি স্বামী স্ত্রী  বিশ্বাস করেও থাকেন যে যিহারের কাফফারা না দিয়ে সহবাস হারাম)

কারন ইমদাদুল হক হুজুর এক প্রশ্নোত্তরে বলেছেন "যিহার করে কাফফারা না দিয়ে সহবাস করা, হায়েয/ ঋতুকালীন অবস্থায় সহবাস করার মতো হারাম "। কিন্তু নবিজি এই হাদিসে যিহার করে কাফফারা না দিয়ে সহবাস করাকে উল্লেখ করেননি।।

যিহার করে কাফফারা না  দিয়ে সহবাস করা হারাম জেনেও স্বামী স্ত্রী সহবাস করলে এবং মৃত্যুর আগ অবধি এই যিহারের কাফফারা না দিয়ে হারাম সহবাস চালিয়ে গেলে তাদের ইমান চলে যাবে?? ( যিহারের মাসালা বিধান জেনেও ইচ্ছাকৃত কাফফারা না দিলে)

1 Answer

0 votes
ago by (662,910 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم ".
قَالَ أَبُو عِيسَى لاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَكِيمٍ الأَثْرَمِ عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى التَّغْلِيظِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى حَائِضًا فَلْيَتَصَدَّقْ بِدِينَارٍ " . فَلَوْ كَانَ إِتْيَانُ الْحَائِضِ كُفْرًا لَمْ يُؤْمَرْ فِيهِ بِالْكَفَّارَةِ . وَضَعَّفَ مُحَمَّدٌ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ . وَأَبُو تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيُّ اسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ .

নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করে অথবা স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করে অথবা গণক ঠাকুরের নিকটে যায়- সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (কুরআন) অবিশ্বাস করে। -সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৬৩৯)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে আবৃ তামীমা, তার হতে হাকীম আল-আসরাম— এই সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। (আবু তামীমার বিশ্বস্ততা সম্পর্কে কোন কোন হাদীস বিশারদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন -অনুবাদক)।

মনীষীগণ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, "অবতীর্ণ করা জিনিসের প্রতি অবিশ্বাস করে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা তিরস্কার ও ধমকের সুরে বলেছেন। কেননা উল্লেখিত কাজ করলে কেউ কাফির হয়ে যায় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে এরূপ বর্ণনাও আছে, তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করে সে যেন একটি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) সাদকা করে।”

হায়িযগ্রস্তার সাথে সহবাস করা যদি কুফরীর পর্যায়ভুক্ত হত, তাহলে এর পরিবর্তে সাদকা করার নির্দেশ দেয়া হত না। ইমাম বুখারীও সনদের দৃষ্টিকোণ হতে হাদীসটি য’ঈফ বলেছেন। আবু তামীম আল-হুজাইমী’র নাম তারীফ ইবনু মুজালিদ। (সুনানু তিরমিজি-১৩৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত হাদীসে ধমকের সূরে বলা হয়েছে। তবে এজন্য ঈমান চলে যাবে না। আমরা ইতিপূর্বেও বলেছি যে, জিহারর পর সহবাস করা গোনাহ। তবে এজন্য ঈমান চলে যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/120722


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...