শায়খ আমার প্রশ্ন হলো: আমি কুরআন পড়াই।
কুরআন পড়ানোর জন্য একটি পেজও আমি খুলেছি।
এখন শায়খ আমি একজন ছাত্র। আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে আমাদের পরিবারের আর্থিক কোনো সমস্যা হবেনা যদি আমি এখন ইনকাম নাও করি
إن شاء الله عز و جل
শায়খ আসলে ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে এবং একটা ছোট দ্বীনি ফাউন্ডেশন বা সার্কেল আমাদের আছে সেইখানেও খরচ করার উদ্দেশ্যে, পকেট খরচ, দ্বীনি কাজ ,বই কেনা বিভিন্ন কারণেই এই বয়সে টাকা উপার্জনের আইডিয়া আসে। ব্যবসা করার চেষ্টা করেছিলাম মনে হয়েছিলো এতে করে আমার মনযোগ ব্যবসার দিকেই চলে যাচ্ছে। তাই শায়খ আমি অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রধানত দ্বীনি কাজই আমি করবো إن شاء الله عز و جل । মানে ফুল টাইম দ্বীনি কাজ করার নিয়ত আমি করেছিলাম (আল্লাহ তায়ালা যদি চান অন্য কাজও করতে পারি)
এখন যেই প্রশ্নটা আসে সেটা হলো আপাতত আমার পরিবারের আর্থিক সমস্যা নেই। হ্যাঁ আর্থিক সহায়তার
দরকার আছে আমার আম্মু ইংলিশ ভার্সন স্কুলে জব করেন। তিনিও চান জব ছেড়ে দিতে আমিও চাই।
আমার নানা বাড়িওয়ালা তারা হেল্প করেন অনেক । তবে আর্থিক সংকটে আমরা নেই الحمد لله
(১) আমি যদি আন্তরিকতার সাথে মানে (কেউ আর্থিক সংকটে থাকলে মাসিক ফি কম রাখা, অনেক আর্থিক সংকটে কেউ থাকলে ফ্রীতে পড়ানো ইত্যাদি) পড়াই কিন্তু টাকা নেই আমার গুনাহ হবে?উস্তাদ আমার পরিবারের আর্থিক সংকট নাই এই অবস্থায় আন্তরিকতা এবং ইখলাস যদি আমার থাকে তবে
ছোট দ্বীনি ফাউন্ডেশন বা সার্কেল চালানোর উদ্দেশ্যে, দ্বীনি কাজ করার উদ্দেশ্যে,বই কেনার উদ্দেশ্যে, পকেট খরচের উদ্দেশ্যে, পরিবারকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ইত্যাদি কারণে যদি আমি তাদের থেকে টাকা নিই আমার গুনাহ হবে?
(২) শায়খ পরণের কাপড়ে যদি থুতু লাগে কুলি করতে গিয়ে কোথায় থুতু লেগেছে না বুঝলে ওই কাপড় পরিধান করেই মসজিদে সালাত আদায় করা যাবে?
(৩) উস্তাদ ১০ টাকার নোটে বাইতুল মুকাররমের ছবি দেওয়া আছে الله أكبر আরবীতেই আছে। দূরে কোথাও গেলে টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হয় তখন এই নোট কি কোথাও রেখে যাবো?
(৪) শায়খ ইলেভেন ল্যাবস নামক একটি ওয়েবসাইট আছে ঐখানে লেখা দিলে ঐখানে থেকেই ভয়েস দেওয়া হয়। মানে অনেক রকমের ভয়েস থাকে একটু চঞ্চল, একটু গম্ভীর বিভিন্ন ধরেন ভয়েস। এখন আমি যদি ইসলামী ইতিহাসের লেখা দিই এবং একটা ভয়েস সিলেক্ট করে ওই ভয়েস অনুযায়ী আমার লেখা কথা আকারে আসে আমার গুনাহ হবে?
এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে?
(৫) আমরা জানি উত্তম তওবা হলো যেই যেই গুনাহগুলোর জন্য ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে সেগুলো ত্যাগ করার এবং সেগুলোথেকে দূরে থাকে শক্ত সংকল্প করা।
তবে আমার প্রশ্ন হলো কেউ যদি সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা চায় তবে কিছু গুনাহ থেকে বাঁচার শক্ত সংকল্প যদি না করে তাহলে কি সে যেই গুনাহ গুলো থেকে বাঁচার জন্য শক্ত সংকল্প করেনি সেই গুনাহ বাদে বাকি গুনাহ মাফ হবে? নাকি কোনো গুনাহই মাফ হবেনা যেহেতু তার উদ্দেশ্য ছিলো সকল গুনাহের জন্য মাফ চাওয়ার?
(৬) শায়েখ সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা না চেয়ে নির্দিষ্ট
কিছু বড় বড় গুনাহ যেগুলো করলে দুআ কবুল হয়না, গীবত বড় ধরনের নির্দিষ্ট কিছু গুনাহের ক্ষমা চেয়ে তওবা করা যাবে?
(৭) উস্তাদ আমার প্রশ্ন হলো যদি কোনো মুসলিমের কোনো কথার কারণে অজান্তে তার ঈমান চলে যায় এবং সে যদি এই চিন্তা থেকে কালিমা পড়ে নেয় তখন কি তওবা মৌখিক ভাবে না করলে সে ঈমানদার হিসেবে বিবেচিত হবে না?
(৮) উস্তাদ অনেক ক্ষেত্রে অনেক মানুষকে বলে ফেলা হয় আমি অমুক মাদ্রাসায় পড়বো, ল্যাপটপ কিনবো ইত্যাদি পরবর্তীতে দেখা যায় পরিকল্পনা পরিবর্তন হয় এখন এতো মানুষকে আবার বলাতো কঠিন এমনকি কাকে কাকে বলেছি সেটাও মনে করা মুশকিল।
মানে একজন কে বললাম স্যার আবার দাখিলের পর এই মাদ্রাসায় ভর্তি হবো এখন আমি অন্য মাদ্রাসায়ও
ভর্তি হওয়ার বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি
হলে আমার গুনাহ হবে?