আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমি যখন নতুন দ্বীন মানতে শুরু করছি তখন আমি দাড়ি রাখার জন্য আল্লাহর কসম করে বলছি যে আমি কোনো দিন দাড়ি কাটবনা। কিন্তু এখন আমার দাড়ি গুলু লম্বা হয়েছে অনেক যে গুলা আমি পরিচর্যা করতে পারছি না ভালো বাবে । অনেক গিট্টু বেজে যাচ্ছে এগুলাতে। সব এলোমেলো হয়ে আছে। আমি চাচ্ছি যে দাড়ি গুলো একটু চেটে সুন্দর করে রাখতে , গিট্টু গুলো কেটে ফেলতে। অবশ্যই একদম কেটে পেলব না । কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি পারবো কিনা ? কারণ আমি যখন নিয়্যত করি তখন কসম করার কারণ চিল আমি আগেও যেহেতু দাড়ি রাখছি (সুন্নাহ হিসাবে না ) তাই যখন সুন্নাহ হিসাবে কিভাবে রাখবো এই ভেবে আমি যুক্তি দি যে যেহেতু আমি এখন থেকে সুন্নাহ হিসাবে রাখব তাই আমি এই দাড়ি আর কোনদিন কাটবো না। এবং সেটা কসম করে বলছি সুন্নাহ হিসাবে প্রুব করতে । এখন আমি যদি শরীয়ত মোতাবেক দাড়ি চাটি তাহলে কসম ভঙ্গ হবে কিনা ?

1 Answer

0 votes
by (659,760 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব মতে সহীহ সুন্নাহর আলোকে একমুষ্টি পরিমান দাড়ি রাখা ওয়াজিব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1039

اللحية لغة: الشعر النابت على الخدين والذقن، والجمع اللحى واللحى.......... واللحية في الاصطلاح، قال ابن عابدين: المراد باللحية كما هو ظاهر كلامهم الشعر النابت على الخدين من عذار، وعارض، والذقن
শাব্দিকভাবে দাড়ি বলা হয়,ঐ চুল যা দুনু গাল এবং থুতনিতে থাকে।বহুবচন হল,লুহা।পরিভাষায় দাড়ি বলা হয়,যা ইবনে আবেদীন শামী রাহ, বলেছেন,দুনু গাল,কানপট্টির উপর,গালের সামনের অংশ,এবং থুতনি সবকিছুকেই মূলত দাড়ি বলা হয়ে থাকে।

দাড়িকে আরবীতে লিহইয়া (لحية) বলা হয় । এর আভিধানিক অর্থ হলো থুতনিসহ মুখের দুই পাশের ওই হাড়, যার ওপর দাঁতগুলো অবস্থিত। প্রাপ্ত বয়সে ওই হাড়ের ওপর যে লোম বা কেশ গজায়, ওই লোম বা কেশগুলোকেই হাড়ের নামকরণে লিহইয়া বলা হয়।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/৩৯৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1829

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এক মুষ্টির কম দাঁড়ি রাখা জায়েয হবে না।
আপনি যখন কসম করেছেন যে সুন্নাহ অনুযায়ী দাড়ি রাখবো। এখন আপনি দাড়ি একমুষ্টি রাখবেন।একমুষ্টি পরিমাণ রাখলে সুন্নাহ আদায় হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...