আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম
১।স্বামী যিহার করেছে।। কাফফারা দিতে হবে।।৬০ জন গরিব মিসকিনকে খাওয়াতে চাচ্ছে। কিন্তু স্বামী বেকার। সেক্ষেত্রে স্বামী কি তার বাবার থেকে টাকা নিয়ে কাফফারা দিতে পারবে?? যদি বাবার থেকে টাকা নিয়ে কাফফারা দেয়া যায় তাহলে পরবর্তীতে কি আবার সামর্থ হলে সেই  টাকা বাবাকে ফেরত দিতে হবে??পরবর্তীতে বাবাকে টাকা ফেরত না দিলে কোনো সমস্যা আছে??

২। যিহারের কাফফারা ৬০ জন গরিব মিসকিনকে খাওয়ানো।গরিব মিসকিন যদি হিন্দু বা অন্য ধর্মের হয় তাকে খাওয়ানো যাবে??

৩।কেউ রমজান মাসে গরিব মিসকিন কে ইফতার করিয়ে কাফফারা দিতে চায়।।গরিব মিসকিন যদি হিন্দু বা অন্য ধর্মের হয় তাহলে রমজান মাসে তাকে ইফতার এর খাবার খাওয়ালে, ইফতার এর খবার দিলে কাফফারা আদায় হবে??

1 Answer

0 votes
by (667,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ كِتَابِيَّةً
স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা,বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম।মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক। এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক।জিহার হবে।ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/60982

كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই।তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে।{ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) বাবা যদি সন্তানকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দেয়, তাহলে সন্তানের জন্য ঐ টাকা দ্বারা জিহারের কাফফারা আদায় সঠিক হবে। পরবর্তীতে সন্তানের হাতে টাকা আসলে আর কাফফারা দিতে হবে না। 

(২) বিশুদ্ধ মতানুযায়ী যেভাবে অমুসলিমকে সদকায়ে ফিতির দেয়া যায় না ঠিকতেমনি জিহারের কাফফারাও দেয়া যাবে না।

لما في الفتاوى الشامية:
"(ولا) تدفع (إلى ذمي) لحديث معاذ (وجاز) دفع (غيرها وغير العشر) والخراج (إليه) أي الذمي ولو واجبا كنذر وكفارة وفطرة خلافا للثاني وبقوله يفتي حاوي القدسي وأما الحربي ولو مستأمنا فجميع الصدقات لا تجوز له اتفاقا بحر عن الغاية وغيرها.

قوله: خلافا للثاني) حيث قال إن دفع سائر الصدقات الواجبة إليه لا يجوز اعتبارا بالزكاة، وصرح في الهداية وغيرها بأن هذه رواية عن الثاني، وظاهره أن قوله المشهور كقولهما (قوله: وبقوله يفتي) الذي في حاشية الخير الرملي عن الحاوي وبقوله نأخذ.قلت: لكن كلام الهداية وغيرها يفيد ترجيح قولهما وعليه المتون."(باب مصرف الزكوٰۃ والعشر،ج:2،ص:352،ط:سعید)

وفيه أيضا 
"(وصدقة الفطر كالزكاة في المصارف) وفي كل حال (إلا في) جواز (الدفع إلى الذمي) وعدم سقوطها بهلاك المال وقد مر.
(قوله: إلا في جواز الدفع إلى الذمي) في الخانية جاز ويكره. وعند الشافعي وإحدى الروايتين عن أبي يوسف لا يجوز تتارخانية وقدم عن الحاوي أن الفتوى على قول أبي يوسف."
(باب صدقۃ الفطر،ج:2،ص:368،ط:سعید)

(৩) রমজান মাসে গরিব মিসকিনকে ইফতার করিয়ে কাফফারা দিলে হবে না কেননা দুইবেলা খাবার দিতে হবে।তাছাড়া গরিব মিসকিন যদি হিন্দু বা অন্য ধর্মের হয় তাহলে রমজান মাসে তাকে ইফতারের খাবার দিয়ে কাফফারা আদায় করানো যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...