আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (48 points)
আস সালামু আলাইকুম শায়েখ।  আমি আড়তে আম বেচতে গিয়ে ৩০ টাকা কেজি দরে বেচেছিলাম । তো আমার নোয়াখালী বন্ধুকে বলেছিলাম যে তুমি নোয়াখালী বিক্রি করো আমি কিনে দেবো আলাকে কিছু দিয়ো।  কোনো চুক্তি হয়নি।  প্রথম দিনে 1360  টেকা দিয়েছিলো।  পরের বার ২০০০ টাকা দিয়েছিলো।  পুরো টাকা সে ইনভেস্ট করেছে।  আমি মেমো সকল কিছু দিই তাকে।  খুবই ভালো সম্পর্ক তার সাথে আমি  । সে যা দেই আমি তাই নিই।
প্রশ্ন 1: আমি যদি নিজের টাকা ইনভেস্ট করে   ২০০ কেজি আম কিনি।সে অনলাইনে বেচে বলে বড় আম নেয়। যেটা সবসময় পাওয়া যায়না।  এবং আমার বন্ধুকে বলি যে ভালো কোয়ালিটি আম আছে কিন্তুু সেটা 2 য় পক্ষ থেকে ১ টা বেশি দরে নিতে হবে।  তখন সে যদি বলে আচ্ছা নেবো।  তাহলে আমার কেনা আম আমি তাকে দিলে কেজি প্রতি আমার যে টাকা থাকবে এটা কি জায়েজ হবে।  আমিতো তাকে জানিয়ে এবং তার অনুমতি নিয়ে বলছি ।
হয়রত প্রশ্ন না বুঝতে পারলে কোনো ভাবে কি whatsapp নম্বরে আপনাদের সাতে যোগাযোগ করা যাবে

1 Answer

0 votes
by (632,370 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ব্যবসায় ধোকা নেই, সুতরাং আপনার ব্যবসার লভ্যাংশ বৈধ। তবে এক্ষেত্রে আপনি তার থেকে কত লাভ নিবেন সেটা আগে নির্ধারণ করছেন না, এটা কোনভাবেই শরীয়ত সম্মত পন্থা নয়।

তাই আপনি এখন থেকে যে লাভই নিবেন সেটা আগে চুক্তি করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (48 points)
উস্তাদ।  সে আমার বন্ধু তাকে আমি আড়ত থেকে কিনে দিই। আড়তে ৩৪ হলে আমি তাকে কল করি ভাই ৩৪ টাকা বলছে আমিকি কিনবো। সে কিনতে বল্লে আমি কিনি। এই কিনে দেওয়ার কারণে সে আমাকে  যে টাকা দেয় সেটাই আমি সন্তুষ্ট।  

আমার প্রশ্ন হলো আমি নিজে যদি আড়ত তেকে ৩৪ টাকায় কিনে।  আমি যদি তাকে আমের ছবি পাঠিয়ে বলি এই আমটা ২য় পক্ষ   আরেকজনের কাছ থেকে ৩৫ টাকায় কিনবো কিনা। সে যদি কিনতে বলে তাহলে কি সমস্যা।  আর ২য় পক্ষ টা হলো আমি। আমি হয়তো বুজাতে পারিনি। আপনার whatsapp নম্বর হবে উস্তাদ
ago by (632,370 points)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যেহেতু তার প্রতিনিধি হয়ে আম ক্রয় করতেছেন, সুতরাং এভাবে দ্বিতীয় পক্ষ হওয়ার সুযোগ আপনার জন্য নেই।

এভাবে তার কাছে 34 টাকা কেজি আম কিনে ৩৫ টাকায় কেজি কিনতেছেন বলাটা ধোকার অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিধায় তাহা জায়েজ হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...