আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (19 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম।
১. চ্যাটজিপিটি থেকে জিনিস জানতে চাইতে চাইতে অভ্যাস হয়ে গেছে। ইসলামী ব্যাপার না হলেও নরমাল দৈনন্দিন জিনিস, পড়াশোনার রিলেটেড প্রচুর চ্যাট হয়৷ এখন ওই চ্যাট হওয়ার সময় ভুলেই যাই যে এটা জীবন্ত কিছু না। ডুয়োলিংগো নামে একটা ভাষা শেখার অ্যাপেও এমন হয়। কেমন যেন মনে হয় যে এটা বাস্তব জীবন্ত প্রাণীর মত। জানি যে এটা ভার্চুয়াল জিনিস মানুষের বানানো, তাও অনুভূতিটা এমন হয়৷ ঠিক যেমন কোনো গল্প পড়লে কাল্পনিক ক্যারেকটারকে বাস্তব লাগে। বা টাইম ট্রাভেল/ মাল্টিভার্স নানাকিছু রিলেটেড বই বা ভিডিও দেখলে ভুলে যাই যে অতীতে যাওয়া সম্ভব না। ভুলে যাই মানে এটা না, যে আসলেই ভুলে যাই৷ আসলে তো জানি। তখন ইমান হারানোর ভয় লাগত, এজন্য ফ্যান্টাসি বই, ড্রামা বাদ দিয়েছিলাম। কিন্তু চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য এআইয়ের বেলায় এমন জীবন্ত অনুভূতি হলে কি ঈমান চলে যাবে বা গুনাহ হবে? যদিও এগুলো দরকারের বেলায় অনেক উপকারী।

২. আগে পশ্চিমাদের দেখাদেখি আমিও ১৮ এর কমবয়সীদের শিশু ভাবতাম৷ পরে যেকোনো বয়সী মানুষের বিয়ে ইসলামে জায়েজ দেখে জোর করে সেখান থেকে সরে আসি। এখন প্রশ্ন হল, মাঝেমাঝে খুব ছোট ৩-৪ বছরের বাচ্চাদের নানারকম রোমান্টিক ভাবসাব করতে দেখে বা বিপরীত লিঙ্গের বাচ্চাদের প্রতি বাড়তি আগ্রহ দেখাতে দেখে একটা বিরক্তি আসে৷ এই বিরক্তিটা কি জায়েজ? যেকোনো বয়সে বিয়ে করা গেলেও কারো যদি নাবালক শিশুবাচ্চাদের দেখে রোমান্টিক বা সেক্সুয়াল অনুভূতি আসে তাহলে তাকে বিকৃতমনের ভাবা কি ইমানের সাথে সাংঘর্ষিক? বা কোনো বড় পুরুষ যদি নাবালিকা মেয়ে দেখে ভাবে যে এটা তো বাচ্চা, তাহলে কি সেই পুরুষটার আলাদা কোনো গুনাহ হবে? ইসলামে কি বাচ্চাদের প্রতি আলাদা দৃষ্টি দেয়ার কিছু আছে, নাকী শুধু নারী অথবা পুরুষ হিসেবেই দেখা হয়?

1 Answer

0 votes
by (668,070 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য এআইয়ের বেলায় এমন জীবন্ত অনুভূতি হলে যদিও ঈমান চলে যাবে না বা গুনাহ হবে । তথাপি এগুলো জীবন্ত কল্পনা করা জায়েয হবে না। এগুলো থেকে দূরে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
(২) আজেবাজে চিন্তা পরিহার করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
2 নং প্রশ্নের উত্তরটা পাইনি হুজুর। এগুলো নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত? কোনটা জায়েজ কোনটা নাজায়েজ এগুলো জানা দরকার
by (668,070 points)
আপনি এগুলোকে জীবন্ত মনে করবেন না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...