আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
একজন বোনকে তার মা রাগের মাথায় অনেক বার বলেছেন
"তুই মরতে পারছ না;এতো মানুষ মরে আল্লাহ কি তোকে চোখে দেখে না"
বোনটির পড়াশোনা নিয়ে গাফেলতির কারণেই তার মা তাকে বকাবকি করার সময় এই কথাটা বলতো বেশি, প্রায় ২০১৩/২০১৪ সাল থেকে তার মা তাকে এক কথাটা বলতো বকাবকি করার সময়,এখন ২০২৫ সাল সেই বোনের শরীরে নানা অসুখ বাসা বেধেছে প্রায় সময় অসুস্থ থাকে আর ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ এখন তার মা বলেন আল্লাহ আমার ঘরকেই দেখেছে। মানে সে বুঝাতে চায় আল্লাহ তার ঘরে এতো অসুখ কেনো দিলেন।আস্তাগফিরুল্লাহ

আমার প্রশ্ন হলো- আমরা শুনেছি যে মার রাগের মাথায় বলা কথা আল্লাহ কবুল করে নেন।এখন কি তার মার রাগের মাথায় বলা কথার কারণেই আল্লাহ সেই বোনকে এমন হালতে রেখেছেন? আর সন্তান শত খারাপ হলেও কি মা/বাবার এরকম কথা বলা ঠিক রাগের মাথায়?
এখন আবার বোনটা ঘরের কাজ না করার কারণে তার মা মাঝে মাঝে বলে তোর সংসার জীবনে দেখিস কি হয় হেন তেন বলে এখন কি এর ফলে তার বিবাহিত জীবনে কোনো অকল্যাণ আসতে পারে? বোনটি এখনো অবিবাহিত।

বি.দ্র: এখন তার মা বলে সে দোয়া করে তার মেয়ের সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে।

1 Answer

0 votes
by (659,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
মাতাপিতার বদ'দআ সন্তানের ক্ষেত্রে কবুল হয়ে থাকে।
জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَوْلاَدِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى خَدَمِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَمْوَالِكُمْ لاَ تُوَافِقُوا مِنَ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى سَاعَةَ نَيْلٍ فِيهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيبَ لَكُمْ
 আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের নিজেদের উপর, তোমাদের সন্তান-সন্ততির উপর, তোমাদের ভৃত্যদের উপর এবং তোমাদের সম্পদের উপরও বদ্দু’আ করো না। যাতে আল্লাহু তাবারাকা অতাআলার তরফ হতে এমন মুহূর্ত তোমাদের অনুকূল না হয়ে যায়, যে মুহূর্তে কিছু প্রার্থনা করলে তোমাদের জন্য তা মঞ্জুর করা হয়।(আবূ দাঊদ ১৫৩৪, সহীহুল জামে ৭২৬৭)


তবে মাতাপিতা অযথা বদদু'আ করলে সেই বদদু'আ কবুল হবে না।
হযরত উম্মে দারদা রাযি বলেন আমি আবুদ্দারদা রাযি কে বলতে শুনেছি
ﻋﻦ ﺃﻡ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ ﻗﺎﻟﺖ ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ ﻳﻘﻮﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﻌﺒﺪ ﺇﺫﺍ ﻟﻌﻦ ﺷﻴﺌﺎ ﺻﻌﺪﺕ ﺍﻟﻠﻌﻨﺔ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻓﺘﻐﻠﻖ ﺃﺑﻮﺍﺏ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺩﻭﻧﻬﺎ ﺛﻢ ﺗﻬﺒﻂ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﺘﻐﻠﻖ ﺃﺑﻮﺍﺑﻬﺎ ﺩﻭﻧﻬﺎ ﺛﻢ ﺗﺄﺧﺬ ﻳﻤﻴﻨﺎ ﻭﺷﻤﺎﻻ ﻓﺈﺫﺍ ﻟﻢ ﺗﺠﺪ ﻣﺴﺎﻏﺎ ﺭﺟﻌﺖ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺬﻱ ﻟﻌﻦ ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻥ ﻟﺬﻟﻚ ﺃﻫﻼ ﻭﺇﻻ ﺭﺟﻌﺖ ﺇﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻬﺎﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺳﻨﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺩﺏ » ﺑﺎﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻌﻦ
রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোন বান্দা কোন ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়,তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতপর তা জমিনের দিকে নেমে আসে, তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দয়ো হয়, অতপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোন উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয় তাহলে তার প্রতি পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়। {সুনানে আবু-দাউদ-৪৯০৫}

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
বাবা মার বদ দু'আ কে আল্লাহ কবুল করেন ঠিক।তবে অন্যায়ভাবে সন্তানের উপর বদ-দু'আকে আল্লাহ কখনো কবুল করবেন না। হয়তো হতে পারে, ঐ মেয়ে মায়ের সাথে বেআদবি করেছে, যেজন্য মা বদদু'আ করেছে, আর সেই বদ দু'আ আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন। হ্যা, এখন মা তার সন্তানের জন্য বেশী বেশী দু'আ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...