আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আমি জানি প্রেম হারাম। কোন বেগানা নারী পুরুষ কথা বলে ও গুনাহ। দুভাগ্য বসতে একটা প্রয়োজন আমি একটা ছেলে সাথে কথা হয় এই প্রয়োজন কথা থেকে উনি না কি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছেন। আমাকে প্রস্তাব দেন আমি রাজি হয়নি না  করে দেই। আবার বলে এমন করে এক সময় আমি নিজে তার প্রতি দুরবল হয়ে যাই। আমি একজন দীনে ফেরা মেয়ে হারাম হালাল মেনে চলে ই চেষ্টা করি। কিন্তু এই ভয়ংকর ফিতনা কিভাবে জড়িয়ে গেছি নিজেই জানিনা। উনি সাধারণত ই মুসলিম গেইম টিক  টক এগুলো নিয়েই তাকতেন আমার জন্য এগুলো ছেড়ে দিয়েছেন আর বলছেন উনি আমার জন্য দীনের পথে আসবেন। আমি জানি হেদাওয়াত আল্লাহ পক্ষ থেকে ই আসে। কিন্তু উনার কথায় আমি ভাবি হয়তো আল্লাহ আমার উছিলায় উনাকে দীনের পথে আনতে পারেন। আমি অনেক  দোয়া ও করছি কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। এতো দিন শুধু একজন দীনদার জীবনসঙ্গী অপেক্ষা করেছি অনেক দোয়া ও করেছি।কিন্তু উনি তার উল্টো হওয়ার পর ও আমি উনার প্রতি দুরবল হয়ে গিয়েছি।   বিয়ে  ও এখন করা যাবেনা। এই অবস্থা আমি কি করবো বুজতে পারছিনা। উনার সাথে কথা বলা কি অফ করে দেবো আর উনার হেদাওয়াত জন্য দোয়া করবো উত্তম ভাবে পাবার জন্য কি দোয়া করতে পারবো। আর কথা বলা অফ রাখলে বুজবো কি করে যে উনি দীন মানছেন দীনের পথে আসর চেষ্টা করছেন। আর একটা কথা উনি কিন্তু আমাকে দেখেন নি। কথা বলা অফ রাখতে চাইলে উনি না মানলে কিভাবে বুজিয়ে বলবো। আমার পরিবার উনাকে মানবেন ও না লাগে আবার মনে হয় মানতে পারেন। এমন অবস্থা আমার কি করা প্রয়োজন বুজতে পারছিনা। আমাকে একটা সুন্দর পরামর্শ দিলে  উপকার হতাম অনেক পেরেশানিতে আছি নামাজে দাড়ালে অনেক কান্না আসে এটা ভেবে যে আমি গুনাহ জড়িয়ে যাচ্ছি। অনেক দোয়া ও করি এর থেকে মুক্তি জন্য কিন্তু পারছিনা। উনা সাথে কথায় হয় ১৫ দিনের মতো হবে আমি এই অল্প দিনে উনা মায়া জড়িয়ে পড়েছি। অনেক লম্বা হয়েগেছে আফুওয়ান। জাজাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (658,350 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কোনো পুরুষ মহিলার সাথে ইনবক্সে কথা বলতে পারবে না।

বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .
 ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ
، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ :
" ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ
ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ " .
)ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ " ( /20 211 ـ 212 ) ﺭﻗﻢ ( 486 ، 487 ) ، ﻭﺍﻟﺮﻭﻳﺎﻧﻲ ﻓﻲ " ﻣﺴﻨﺪﻩ " ( /2 323 ) ﺭﻗﻢ ( 1283 ) ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺷﺪﺍﺩ ﺑﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺮﺍﺳﺒﻲ ، ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺸﺨﻴﺮ ﻳﻘﻮﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻣﻌﻘﻞ ﺑﻦ ﻳﺴﺎﺭ ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻓﺬﻛﺮﻩ(
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে।
অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 6674 ) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 3470 ) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 3228 ) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ( 2866 ) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ( 23685 )
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।
ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ
ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ " – ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 2165 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ( 1758
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।প্রোফাইল পিকচারে প্রাণীর ছবি দেওয়া,পুরুষের হোক বা মহিলার হোক সর্বাবস্থায় হারাম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ভালবাসা সম্পূর্ণ হারাম।সুতরাং আপনি ঐ ছেলের ফিতনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন। এবং আল্লাহর কাছে তাওবাহ করবেন। অথবা এখনই তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাবেন।
আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...