জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
إِذْ يُغَشِّيكُمُ النُّعَاسَ أَمَنَةً مِنْهُ وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُمْ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً لِيُطَهِّرَكُمْ بِهِ وَيُذْهِبَ عَنْكُمْ رِجْزَ الشَّيْطَانِ-
“যখন তিনি আরোপ করেন তোমাদের উপর তন্দ্রাচ্ছন্ন তা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রশান্তির জন্য এবং তোমাদের উপর আকাশ থেকে পানি অবতরণ করেন, যাতে তোমাদিগকে পবিত্র করে দেন এবং যাতে তোমাদের থেকে অপসারিত করে দেন শয়তানের অপবিত্রতা।” [সুরাহ আনফাল আয়াত ১১]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:
وَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً طَهُورًا-
“এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্যে পানি বর্ষণ করি।” [সুরাহ আল ফুরকান : আয়াত ৪৮]
https://www.ifatwa.info/47372/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ؤُ) لَا يَجُوزُ التَّوَضُّؤُ بِمَاءِ الْبِطِّيخِ وَالْقِثَّاءِ وَالْقَثَدِ وَلَا بِمَاءِ الْوَرْدِ وَلَا بِشَيْءٍ مِنْ الْأَشْرِبَةِ وَلَا بِغَيْرِهَا مِنْ الْمَائِعَاتِ نَحْوِ الْخَلِّ. هَكَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ وَلَا بِمَاءِ الْمِلْحِ. هَكَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَلَا بِمَاءِ الصَّابُونِ وَالْحَرَضِ إذَا ذَهَبَتْ رِقَّتُهُ وَصَارَ ثَخِينًا فَإِنْ بَقِيَتْ رِقَّتُهُ وَلَطَافَتُهُ جَازَ كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
তরমুজ, শষা, কদু ইত্যাদির পানি দ্বারা অজু গোসল করা যাবে না।এবং ফুলের পানি দ্বারাও অজু করা যাবে না।এবং যেকোনো পানীয় শরবত দ্বারা অজু করা যাবে না। তাছাড়া আরো যত প্রকার পানীয় রয়েছে, যেমন সিরকা ইত্যাদি দ্বারাও অজু করা যাবে না। এবং লবনের পানি দ্বারাও অজু করা যাবে না।শাবান ইত্যাদির পানি দ্বারাও অজু গোসল করা যাবে না,যখন পানির পাতলা হওয়ার গুণ দূর হয়ে গিয়ে পানি গাঢ় হয়ে যাবে, তবে যদি সাবান মিশ্রিত পানিতে পানির পাতলা হওয়ার গুণাগুণ বাকী থাকে, তাহলে উক্ত পানি দ্বারা অজু গোসল হবে।
وَلَا بِمَاءٍ يَسِيلُ مِنْ الْكَرْمِ. كَذَا فِي الْكَافِي وَالْمُحِيطِ وَفَتَاوَى قَاضِي خَانْ وَهُوَ الْأَوْجُهُ. هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ وَالنَّهْرِ الْفَائِقِ وَهُوَ الْأَحْوَطُ. كَذَا فِي شَرْحِ مُنْيَةِ الْمُصَلِّي لِإِبْرَاهِيمَ الْحَلَبِيِّ
আঙ্গুর থেকে যে রস বের হয়, সেই রস দ্বারাও অজু হবে না। গাছের পাতা পানিতে পড়ে যাওয়ার কারণে যদি পানির তিন গুণের (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ব্যবহৃত পানি দিয়ে অযু করা যাবেনা।
তবে প্রশ্নে যে মিশ্রিত পানির কথা রয়েছে,সেটা কোন পানি?
এটা পাক জিনিস দ্বারা হলে যদি পানির ৩টি গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে,বা ২ টি গুণ অক্ষুণ্ণ থাকে, সেক্ষেত্রে ঐ পানি দিয়ে অজু গোসল জায়েজ হবে। তবে সাধারণ পানি মওজুদ থাকলে,সেই পানি দ্বারাই অজু গোসল উত্তম।
এমতাবস্থায় প্রশ্নে উল্লেখিত মিশ্রিত পানি দ্বারা অজু গোসল হবে।এই পানি পবিত্র।
তবে এত্থেকে স্বচ্ছ পানার খোজ পাওয়া গেলে সেই পানি দ্বারা অজু গোসল করাই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
আরো জানুনঃ-
আর যদি তাতে নাপাক কিছু মিশ্রিত থাকে তাহলে সেই মিশ্রিত পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন কোনভাবেই সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে পবিত্র পানির খোঁজ করতে হবে। আশেপাশে এক মাইলের মধ্যে পবিত্র পানি পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে তার জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না। অন্যথায় সে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়ে নিবে।
(০২)
যেসব প্রানীর গোশত খাওয়া যায় তাদের পায়খানা পেশাব নাজাসাতে খফীফাহ।
এটিই সহীহ।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
এটিও জন্মদিন পালনের নামান্তর।
আপনি কোনদিন নির্দিষ্ট করে নয়,বরং জন্মদিনের আগে বা পরে অন্য কোন দিন গরীব মিসকিন এতিমদের খাবার খাওয়াতে পারেন, এতে কোন সমস্যা হবে না।