আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি জানতে চাচ্ছি কোন ব্যাক্তির খারাপ বক্তব্য আমি অন্যত্র ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করতে পারবো কিনা?
যেমন; আমি একটি জায়গায় গেলাম। সেখানে এক ব্যাক্তি ,"ক" নামক আরেক ব্যক্তির সামনে 'ক' ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কথা বললো। আমি তারপর "ক" ব্যাক্তির বাসায় গিয়ে তার পরিবারের কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানালাম। এখন এরুপ ঘটনা কি গিবত হবে?
রাসুল (সঃ ) এর কাছে তার সাহাবীরা রাসুল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে বলা শত্রুদের কথা কিভাবে জানাতো? বা পরবর্তীদে এসব নিয়ে তারা কিভাবে আলোচনা করতো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1715 ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, কিছু কারণে গিবত করা বৈধ। এর মধ্যে একটি কারণ হল,
যে সমস্ত কারণ যাতে গিবত করা বৈধ।
أمور تباح فيها الغيبة:
الأصل في الغيبة التحريم للأدلة الثابتة في ذلك، ومع هذا فقد ذكر النووي وغيره من العلماء أمورا ستة تباح فيها الغيبة لما فيها من المصلحة؛ ولأن المجوز في ذلك غرض شرعي لا يمكن الوصول إليه إلا بها وتلك الأمور هي:
কুরআন-হাদীসের অসংখ্য দলীল প্রমাণ থাকায় গীবত মূলত হারাম।তবে ইমাম নববী রাহ সহ অনেক উলামায়ে কেরাম ছয়টি বিষয়ে গীবতের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।বিভিন্ন মুসলিহত ও হেকমত থাকর ধরুণই উলামায়ে কেরাম মূলত এ অনুমতি দিয়ে থাকেন।শরীয়য়ত অনুমোদিত কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই রুখসত প্রদান করা হচ্ছে, কেননা গীবত ব্যতীত এই উদ্দেশ্য হাসিল হওয়া প্রায়-ই অসম্ভব।...…………….
الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما.
(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসুল (সঃ ) এর কাছে তার সাহাবীরা রাসুল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে বলা শত্রুদের কথা দ্বিতীয় প্রকারের ছিলো। কেননা রাসূল সা হলেন, সাহেবে শরীয়ত, আল্লাহর উনার মাধ্যমে আমাদের নিকট শরীয়তের বিধি-বিধান দিয়েছেন। তাই উনার শানে বিয়াদবী মন্দ এমনকি চুড়ান্ত পর্যায়ের মন্দ।সুতরাং রাসূল সা. কে গালি দেয়ার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। এ শাস্তি বাস্তবায়ন অবশ্যই সরকার করবে।
সে হিসেবে, সাহাবা গিয়ে উনার কাছে বলতেন। কিন্তু সাধারণ কারো ব্যাপারে হলে তার নিকট সংবাদ পৌছানো অবশ্যই গিবত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...