জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যিহার করলে কাফফারা আদায় ব্যতীত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে স্পর্শ করা বা তার সঙ্গে একত্রে সংসার করা হারাম।
যিহার করলে কাফ্ফারা আদায় করতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
وَالَّذِيْنَ يُظٰهِرُوْنَ مِن نِّسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُوْدُوْنَ لِمَا قَالُوْا فَتَحْرِيْرُ رَقَبَةٍ مِّنْ قَبْلِ أَن يَّتَمَاسَّا ذٰلِكُمْ تُوْعَظُوْنَ بِهِ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ"
فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ شَہۡرَیۡنِ مُتَتَابِعَیۡنِ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّتَمَآسَّا ۚ فَمَنۡ لَّمۡ یَسۡتَطِعۡ فَاِطۡعَامُ سِتِّیۡنَ مِسۡکِیۡنًا ؕ ذٰلِکَ لِتُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ؕ وَ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ ؕ وَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۴﴾
(سورۃ المجادلۃ:۲،۳،۴)
“যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তারা তাদের উক্তি ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হলো। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছুই করনা কেন,
সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা সবই জানেন। এ ছাড়া যে ব্যক্তি গোলাম অর্থাৎ দাস আজাদ করার ক্ষমতা রাখে না তারজন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটানা ২মাস রোযা রাখতে হবে। আর যে ব্যক্তি এটারও সামর্থ্য রাখে না,
তাহ’লে তাকে ৬০জন মিসকিন অর্থাৎ গরীব মানুষকে খানা খাওয়াতে হবে। এই বিধান এ জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা ঈমান রাখ।
এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (আল- মুজাদালাহ,৩-৪)।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১। যিহার এর কাফফারা দেয়ার জন্য ৬০ জন মানুষকে একসাথে একইদিনে খাওয়ানো জরুরি নয়।
২। ৬০ জন খুঁজে খুঁজে খাওয়াতে ১ মাস বা ১ বছর সময়ও যদি লাগে, তাহলেও কাফফারা হবে।
৩। হ্যাঁ এরকম ৬০ জন ভিক্ষুককে বিরিয়ানি ক্রয় করে দিতে হবে। যাতে তাদের পেট ভরবে। এতে কাফফারা আদায় হবে।
৪। যিহার এর কাফফারা রোজায় গরিব মিসকিনকে ইফতার করিয়ে দেয়া যাবে।
যদি রোজায় কেউ রাস্তায় ভিক্ষুক বা কোনো হতদরিদ্র পরিবারকে ইফতার করায়। এবং তা ১ দিনে না ৩০ রোজার মধ্যে যখন যতজন পারে ইফতার করায়,মোট ৬০ মিসকিনকে ইফতার করালে কাফফারা আদায় হবে।
গরিব ব্যক্তি রোজা না রাখলেও তাকে খাওয়ানো যাবে এবং কাফফারা আদায় হবে।
৫। ১ গরিব পরিবারের ৫ জন সদস্যকে ইফতার করালে তাহলে ৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন আর অবশিষ্ট থাকবে।
৬। যিহার করার ২ বছরের মধ্যে কাফফারা দেয়া সম্ভব নয় এই অবস্থায় ২ বছর পর যখন সম্ভব হবে তখন কাফফারা দিলে গ্রহনযোগ্য হবে।
তবে কাফফারা আদায়ের আগ পর্যন্ত তাদের ঘর সংসার হারাম হবে।
**যিহার এ সম্পর্ক হারাম হয়ে যায়,তবে কোনো তালাক হয়না।
**আপনার স্বামী কাফফারা দিতে না চাইলে
সেক্ষেত্রে কাফফারা সমপরিমাণ টাকা আপনি তাকে দিয়ে কাফফারা আদায় করাতে পারেন।
তবে স্ত্রী রোযা রেখে দিতে পারবেনা।
** যিহার এর মাধ্যমে স্বামীর স্ত্রীকে স্পর্শ করা হারাম হয় তার মানে তারা আর স্বামী স্ত্রী থাকে না,বিষয়টি এমন নহে।
তাদের মাঝে তালাক হয়না।
তবে সাময়িক সময়ের জন্য স্পর্শ, সহবাস হারাম হবে।