আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (4 points)
আমার কাছে কিছু স্বর্ণ আছে আর টাকা আছে। এগুলো একসাথে করলে আমার কুরবানির নিসাব পূরণ হয়।কিন্তু শুধু স্বর্ণ দিয়ে নিসাব পূরণ হয় না।কিন্তু টাকাটা দিয়ে আমি কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনব।তাই অনলাইনে অর্ডার দিয়েছি।ইদের পরে জিনিস হাতে পাব তখন টাকা পরিশোধ করতে হবে। যেহেতু ইদের পরেও কিছুদিন পর্যন্ত টাকাটা আমার কাছে থাকবে তাই তবুও কি এভাবে আমার উপর কুরবানি ওয়াজিব?কুরবানি আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (640,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

শরীয়তের বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। 

সুতরাং কাহারো কাছে যদি স্বর্ণের পাশাপাশি টাকা থাকে,তাহলে তার জন্য করনীয় হলো এই টাকা আর উক্ত স্বর্ণের মূল্য হিসেব করে সারে বাহান্ন ভরি রুপার সমমূল্য হয়েছে কিনা?
হলে তার উপর যাকাত,কুরবানী আবশ্যক হবে।

যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ হতে যিলহজ্ব মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্ত, এ সময়ের মাঝে কোনো সময়ে আপনি যদি সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি সমপরিমাণ মূল্যের (প্রায় ৯০০০০+ টাকার) মালিক হোন,আর তাহা যদি দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,সেক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে, নতুবা কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত টাকা যদি আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয় সেক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।

আপনি অনলাইনে যেসব পন্য অর্ডার দিয়েছেন,সেগুলো কি দৈনন্দিন অতি আবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় জিনিস?

আর সেগুলো ক্রয়ের পরে আপনার কাছে কি কোনো টাকাই থাকবেনা?

বিষয়গুলি কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করলে ভালো হতো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
আমি আরেকটু বিস্তারিত লিখছি হুজুর। 
আমি অবিবাহিত মেয়ে।তবুও আল্লাহ্ কিছু টাকা জমানোর তৌফিক দেন মাসে।আল্লাহর ঘরের মেহমান হওয়ার ইচ্ছা করে।তাই ১ বছরের মত যে কয় টাকা জমাইছি  তার বেশির ভাগ দিয়ে ইদের আগে অল্প একটু স্বর্ণ কিনে রাখতে চাচ্ছি। আমার নিয়ত হল পরে আল্লাহ্ আরও টাকা জমানোর তৌফিক দিলে এই স্বর্ণ টুকু বিক্রি করে একসাথে করে সেই টাকায় অন্তত উমরাহ তে যাওয়ার। 

এখন যে টাকা টা আছে কয়েক হাজার টাকার জিনিস আমি অনলাইনে অর্ডার দিয়েছি (বোরখা,সেলাইয়ের জিনিস। এগুলো 'অতি অত্যাবশ্যকীয়' না হলেও আমার 'প্রয়োজনীয়')এবং বাকি টাকা দিয়ে  স্বর্ণ কেনার কথা ভাবছি ইদের আগেই।তাহলে অনলাইনে অর্ডারের টাকাটা ছাড়া আমার কাছে আর কোন টাকাই থাকবে না।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ,এভাবে যে কুরবানি না করে উমরাহের নিয়তে আগেই স্বর্ণ কিনে রাখতে চাচ্ছি এটা কি ভুল হচ্ছে? আর যদি  এটাতে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আমি যে অনলাইনে অর্ডার দিয়েছি  সেটার টাকা ইদের পর দিতে হবে,তাই কয়েক হাজার টাকা থেকে যাচ্ছে  এজন্য কুরবানি দিতে হবে?
by (640,260 points)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। 

উমরাহের নিয়তে কুরবানীর আগেই স্বর্ণ কিনে রাখতে চাচ্ছেন, এটা ভুল হচ্ছেনা।

আপনি যে অনলাইনে অর্ডার দিয়েছেন,  সেটার টাকা ইদের পর দিতে হবে,তাই কয়েক হাজার টাকা থেকে যাচ্ছে,  এজন্য প্রশ্নের বিবরন মতে কুরবানি দিতে হবে।


by (4 points)
হুযুর এখন আবার এটা নিয়ে অন্য একটা সমস্যা হয়েছে।আমার মনে হচ্ছে এভাবে টাকাটা আমার কাছে থাকলে কুরবানি ওয়াজিব হবে।কিন্তু কেউ বুঝতে চাচ্ছেন না।মেহেরবানি করে উত্তর দিয়েন প্লিজ।
আমি অনলাইন অর্ডারের টাকাটা পরিশোধ করে দিয়েছি।স্বর্ণ ও একজন আত্নীয়কে দিয়ে কেনানো হয়ে গেছে।কিন্তু উনাকে টাকা পাঠাতে চাইলে উনি বলছেন যে ইদের পরে যখন আমাদের বাসায় আসবে তখন নিবে।আমি টাকাটা দেওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করলে উনি বলছে যে
'ওই টাকা তো এখন আমার টাকা।ওর কাছে আছে'
মানে উনি এমনভাবে বলছেন যে উনার আমানত আমার কাছে আছে।উনি আসলে নিবেন।
কিন্তু আমি তবুও শান্তি পাচ্ছি না টাকাটা নিয়ে।আমার প্রশ্ন হল,টাকাটা কি এখনও আমার হিসেবেই বিবেচিত হবে নাকি উনার?এভাবে যে আমার কাছে টাকা আছে কিন্তু কুরবানি দিচ্ছি না।এটা কি ঠিক নাকি ভুল?নাকি উনাকে বলে আমার মাকে উনার প্রতিনিধি করে মায়ের কাছে টাকাটা জমা দিয়ে দিব?তাহলে কি আল্লাহ্ র কাছে আমি দায়মুক্ত হব,এভাবে টাকা থাকা সত্বেও কুরবানি না করার থেকে।
প্লিজ উত্তর দিয়েন হুযুর।
by (640,260 points)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।

সুতরাং আপনি যে কুরবানী দিচ্ছেন না,এটি সঠিক।

 এখন আপনি আপনার মায়ের কাছেও টাকাটি জমা রাখতে পারেন, নিজের কাছেও জমা রাখতে পারেন, সমস্যা নেই।

তবে ওই ব্যক্তি যদি আপনার মাকে তার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি যদি নিযুক্ত করে,আপনার টাকা উসুলের জন্য, সেক্ষেত্রে আপনার মাকে দেওয়াটাই উত্তম হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...