আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (10 points)
আমরা হজ্জের জন্যে এবার প্রথমে মক্কায় এসে উমরাহ করি।তারপর ২৩দিন মক্কায় থেকে মদিনা আসলাম।এখন মদিনা থেকে ৬ই জিলহজ্জ মক্কা যাচ্ছি।আমার প্রশ্ন আমি কি কিরান হজ্জের নিয়ত করতে পারবো মীকাত থেকে?

এজেন্সির মুয়াল্লিম বলতেসেন যে,তামাত্তু হয়ে গেসে এটা যেহেতু উমরাহর পর হালাল হয়ে গেসি হজ্জের মাসসমুহে।তাই কিরান এর নিয়ত করতে পারবোনা।এদিকে হজ্জ প্রথমবার ই ফরয হিসেবে কাউন্ট হয়।ভাবসিলাম কিরান করবো।মেহেরবানি করে বুঝিয়ে বললে উপকার হয়।

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَأَوَّلُ مَنْ نَهَى عَنْهَا مُعَاوِيَةُ

আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর, উমার ও উসমান (রাঃ) তামাত্তু হজ্জ করেছেন। মুআবিয়া (রাঃ)-ই প্রথম তা নিষেধ করেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

غنیۃ الناسک

"وأقام بمكة حلالا يطوف بالبيت ما بداله، ويعتنى بسائر ما سبق له في فصل ما ينبغي الاعتناء به بعد السعى، ويعتمر قبل الحج ماشاء. وما في اللباب: ولا يعتمر قبل الحج فغير صحيح؛ لأنه بناء على أن المكي ممنوع من العمرة المفردة، وهو خلاف مذهب أصحابنا جميعا؛ لأن العمرة جائزة فـي جـمـيـع السنة بلاكراهة إلا في خمسة أيام، لا فرق في ذلك بين المكي والآفاقی، صرح به في النهاية والمبسوط والبحر، وأخى زاده والعلامة قاسم وغيرهم رحمهم الله تعالى، كذا في المنحة، بـل الـمـكـى ممنوع من التمتع والقرآن، وهذه عمرة مفردة لا أثر لها في تكرر تمتعه، ولا يعتمر مع الـحـج؛ لأنه في حكم المكي، ولو فعل لا يكون قارئًا باتفاقهم، وعليه رفض العمرة، أو الحج، كما سيـأتـي فـي الـجمع المكروه، وهو متمتع إن حج من عامه، وكذا لو خرج إلى الآفاق لحاجة، فقرن لايـكـون قـارنا عند أبي حنيفة، وعليه رفض أحدهما، ولا يبطل تمتعه؛ لأن الأصل عنده أن الخروج في أشـهـر الـحـج إلى غير أهله كالإقامة بمكة، فكأنه لم يخرج......".

(باب التمتع، فصل في كيفية أداء التمتع المسنون، ص:215، ط:إدارة القرآن)

وفیہ ایضاً:

" فإن أحـرم الـمكى بهما معا ، أو أدخل إحرام الحج على العمرة قبل طوافها ، فلابد من رفض أحـدهـمـا ، فـرفـض الـعـمـرة أولى بالاتفاق ...... وعليه عمرة ودم الرفض ، وإن مضى فيهما جاز وأسـاء وعـلـيـه دم الـجـمـع . "

(باب الجمع بين النسكين أو أكثر، فصل في الجمع المكروه بين عمرة و حجة، ص:230، ط: إدارة القرآن)

মর্মার্থঃ-
হজ্জে তামাত্তু আদায়কারী ব্যক্তি যদি মক্কা এলাকা ত্যাগ করে অন্য এলাকায় প্রয়োজন বশতে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে তার তামাত্তু' বাতিল হবে না, এমতাবস্থায় সে যদি হজ্জে কেরানের নিয়ত করে তাহলে হজ্বে কেরান হবে না। কেননা হজের মাসে মক্কা এলাকা ত্যাগ করলেও মক্কা এলাকায় অবস্থানকারী হিসেবে গণ্য হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হজ্জ তামাত্তুর নিয়তে ইহরাম বাঁধার পর, ওমরাহ সম্পন্ন হোক বা না হোক, তার জন্য হজ্জ ক্বিরানের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েজ নয়। 
যদি তামাত্তুর ইহরাম বাঁধা ব্যক্তি ওমরাহ সম্পন্ন করে মক্কা ত্যাগ করে মদীনায় চলে যায়, তাহলে তার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে।

কারণ এই ব্যক্তি মক্কার বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত হবে, যদি সে মক্কা ত্যাগ করে এবং হজ্জ আল-ক্বিরানের জন্য ইহরাম অবস্থায় মদীনা থেকে ফিরে আসে, তাহলে দম দেয়া ওয়াজিব। 

তবে, যদি সে হজ্জ্বে তামাত্তুর জন্য ওমরাহ সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসে, তাহলে তার তামাত্তু বাতিল হয়ে যাবে। এখন, যদি সে আবার হজ্বে ক্বিরানের জন্য ইহরাম অবস্থায় রওনা হয়, তাহলে হজ্জে ক্বিরান করা জায়েজ।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা আর হজ্বে কিরান এর নিয়ত করতে পারবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...