আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

আমার অনিয়মিত মাসিক এর সমস্যা আছে, আমার সবসময়ই ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে মাসিক হয়। ডাক্তার আমাকে একটা ঔষধ দেয়, ঐ ঔষধ ২১ দিন থেকে হয়, এরপর ৭ দিন বন্ধ রাখতে হয়, যখন ৭ দিন বন্ধ রাখতে হয় তখন ঐ সময়ে পিরিয়ড হয়। আমি ২১ দিন খেলাম খেয়ে ৭ দিন বন্ধ রেখেছি, এর মাঝে ২৮ তম আমার পিরিয়ড হয়েছে। এরপর ৭ দিন পরে মাত্র দুইদিন খেয়েছি, এরপর আমি ভাবলাম যে আমি ঔষধ এর উপর নির্ভর করে থাকবো না, নিয়মতান্ত্রিক জীবনজাপনের মাধ্যমে সুস্থ হবো ইং শা আল্লাহ। তাই ঔষধ একেবারে ছেড়ে দিলাম, এর কিছু দিনের মাথায় ৭ দিন যেতে না যেতেই আবার গাঢ় বাদামি স্রাব আসছে। এখন আমি কোনটাকে হায়েজ আর কোনটাকে ইস্টাহাজা ধরবো? আমি বুঝছি না যে ঐ ঔষধ ২ দিন খেয়ে বন্ধ করার ফলেই এমন হয়েছে নাকি আমার আগের স্বভাব অনুযায়ী যেমন ৩৫ থেকে ৪০ দিনে হতো, ওভাবেই হয়েছে। ২৮ তম দিনে আমার যখন মাসিক হয়, সেটা প্রথমবারের মতো ২৮ তম দিনে হওয়া, আমার সবসময় ই ৩৫-৪০ দিনের মাঝে হয়, আমার এখন কি করা উচিত? সলাত পড়া উচিত কিনা?

1 Answer

0 votes
by (635,610 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
,
আরো জানুনঃ   

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
২৮ তম দিন আপনার যে পিরিয়ড হয়েছিলো,সেটি কয়দিন ছিলো?

২৮ তম দিন আপনার যে পিরিয়ড হয়েছিলো,সেই পিরিয়ড কত দিন এসে শেষ হয়েছিলো?
আর সেই পিরিয়ড শেষ হওয়ার কয়দিন পর আবারো পিরিয়ড এসেছিলো?

মাঝখানে কয়দিন বিরতি ছিলো?

পরবর্তীতে আসা পিরিয়ড কয়দিন অবধি ছিলো?

বিস্তারিত আকারে কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
২৮ তম দিনের পিরিয়ড খুব অল্প পরিমানে হয়েছিলো, ৪ দিন মতো ছিলো। আমার স্বাভাবিক ভাবে ৬-৭ দিন ব্লিডিং থাকে, কিন্তু ২৮ তম দিনের টা ছিলো ৪ দিন। ২৮ তম দিনের পর ৭ দিন না যেতেই আবার পিরিয়ড হয়েছে, আজ ই হয়েছে, পিরিয়ড এখনো চলমান। আজ হয়েছে বলে এই পিরিয়ড এর সময় সীমা বলতে পারছি না। 

উস্তাজ, আমি ঐ ঔষধ ২ মাস থেকে খাচ্ছি, প্রথম মাসে আমার স্বাভাবিক ভাবে যেমন ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে পিরিয়ড হয়, তেমন ই হয়েছিলো, কিন্তু এই মাসে ই ২৮ তম দিন এ হলো, আবার মাস শেষ না হতেই আবার ৭ দিন না যেতেই আবার হলো। এখন সলাত পড়ব কিনা!  আর ২৮ তম দিনের পিরিয়ড এর আগে কোনো সিমটম পাই নি, ব্যথা ও হয় নি, বাকি লক্ষণ গুলো ও তেমন দেখা যায় নি, কিন্তু এই পিরিয়ড এর আগে ব্যথা অনুভূত হওয়া থেকে শুরু করে অনেক সিমটম পেয়েছিলাম।
by (635,610 points)
যেহেতু পূর্বের মাসগুলোতে স্বাভাবিক ভাবে ৬-৭ দিন আপনার হায়েজ হয়ে থাকে,সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি ৬-৭ দিন হায়েজ ধরবেন।

এর পরবর্তী দিন গুলি ইস্তেহাজা ধরে নামাজ চালিয়ে যাবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 91 views
0 votes
1 answer 223 views
0 votes
1 answer 202 views
...