আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ,
আমার ভাই পারিবারিক ভাবে ২০২৪ এ বিয়ে করেছিল। তাদের দুইজন এর চিন্তা দুইরকম হওয়ার কারণে ৩/৪ মাস চেষ্টার পরেও তাদের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠতে পারে নি। তাই সে ৬ মাস পরে তাকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে,একটি নোটিশ এ সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দেয় যেখানে লেখা ছিলো ১ তালাক,২তালাক ,৩তালাক ,বাইন তালাক দিলাম।
পরবর্তীতে পারিবারিক ভাবে দেন মহর শোধ করে তারা খোলা তালাক করে।এর কিছু দিন পর ৯০ দিনের মধ্যেই সে আবার তাকেই বিয়ে করে। তাদের বিয়েটা কি শরিয়ত সম্মত হয়েছে? এখন তারা সংসার করছে এবং তাদের খুব তারাতাড়ি একটা সন্তান আসতে চলেছে।কিন্তু তাদের মধ্যে অসান্তি লেগেই রয়েছে।
প্রশ্ন :
#তাদের বিয়েটা কি ইসলামের দৃষ্টিতে  গ্রহণযোগ্য হয়েছে?
#এখন এই অবস্থা র পরিপেক্ষিতে আমার ভাই এর কি করনীয় বা সমাধান  কি?

1 Answer

0 votes
by (638,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো এব বৈঠকে ৩ তালাক দেওয়া হোক,বা একাধিক বৈঠকে,
এক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোক বা একাধিক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোক,সব ছুরতেই ৩ তালাকই পতিত হয়ে যাবে।       

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ভাইয়ের স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।      
এখন তাদের ঘর সংসার স্পষ্টভাবে যেনার অন্তর্ভুক্ত। 
তাদের যে সন্তান আসছে,এটি হারাম সন্তান।

তিন তালাক দেবার পর উক্ত মহিলা আর নিজের স্ত্রী থাকে না। পর মানুষ হয়ে যায়। 

★এক্ষেত্রে সূরত একটিই বাকি আছে। তা হল, গর্ভপাতের পর সে অন্যত্রে কোনোরুপ শর্ত করা ছাড়াই একেবারে শর্তহীন বিবাহ বসবে,তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর উক্ত স্বামী যদি আপনার ভাবিকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল আপনার ভাই আবার উক্ত মহিলাকে বিবাহ করতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
এই অবস্থায় আমার কি করনীয় ? আমার ভাইয়া জানে না আসলে ,আমার কি তাকে এখন ই বলা উচিত ? বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত কি আমরা অপেক্ষা করতে পারি ? আর যদি বলাই লাগে তাহলে কিভাবে বলতে পারি শায়েখ?বাচ্চাটার উপরে যেন কোনো প্রভাব না পরে এরকম কোনো উপায় কি আছে ?
by (638,100 points)
আপনি এখনই উক্ত মাসয়ালা আপনার ভাইকে জানাবেন।

প্রয়োজনে এখানে যে ফতওয়াটি দেওয়া হয়েছে, এই ফতওয়াটি সরাসরি তাকে পড়তে দিবেন।

তিনি যদি না মানেন সে ক্ষেত্রে আপনার বাবা-মাকে অবহিত করতে পারেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...