আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
304 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
edited by
১. প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এই নারী শিক্ষক বিদ্যমান। এমতাবস্থায় শুধু দৃষ্টি হেফাজত করলেই কি হবে? আর কেউ যদি তার দিকে তাকিয়েই ক্লাস করে তবে ওই ব্যক্তির কি গুনাহ হবে আর শিক্ষাও হারাম হবে?
২. আগে যে বিধান গুলো জানতাম না যা করলে গুনাহ হয়, তার জন্য কি আগের প্রতিটি কাজই হারাম হবে?

৩. কোন ব্যক্তির জীবন অবস্থা যার মধ্যে তার দোষ ছিল সেটা সবাইকে শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে বললে কিন্তু ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করলে কি গীবত হবে?

৪. ইতিহাসের নিকৃষ্ট ব্যক্তি যারা, তাদের দোষ সবাই জানে আর বলে সেটা কি গীবত হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার দিকে নজর দিয়ে অন্তরে খারাপ চিন্তা ভাবনা নিয়ে আসা,ইত্যাদি কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। 
তার জন্য অবশ্যই তওবা করতে হবে। 
,  
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

আলী রা.-কে নবীজী বলেছেন,
يَا عَلِيُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ، فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ.
হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৭৭

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার দিকে তাকিয়ে ক্লাশ করলে গুনাহ হবে।
তার আওয়াজ শোনাও তো গুনাহ,তবে এ থেকে বাঁচা যেহেতু সম্ভব নয়,তাই তার আওয়াজ শুনে যেনো অন্তরে যেনো কোনো খারাপ চিন্তা ভাবনা না আসে,সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আল্লাহর কাছে তওবা ইস্তেগফার চালিয়ে যেতে হবে। 
দোয়া করতে হবে,যাতে সহ শিক্ষা মূলক শিক্ষা ব্যবস্থা যেনো আমাদের  দেশ থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
,
বিস্তারিত জানুনঃ  

(০২)
হ্যাঁ, তাহা জায়েজ হবেনা।
আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
,
(০৩)
যদি উপস্থিত কেহই তাকে চিনতে না পারে,তাহলে শিক্ষামূলক এমন বিষয় পরিচয় গোপন করে বলা যাবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ    
,
(০৪)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যেই ছয়টি কারনে গিবত করা জায়েজ আছে,তারমধ্যে অন্যতম  একটি হলোঃ    সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী ধোঁকা ও খারাবী থেকে বাঁচাতে গীবত করা জায়েজ। যেমন সাক্ষ্য সম্পর্কে, হাদীস, আসার ও ইতিহাস বর্ণনাকারী সম্পর্কে, লেখক, বক্তা ইত্যাদি সম্পর্কে দোষ জনসম্মুখে বলে দেয়া, যেন তার ধোঁকা ও মিথ্যাচার থেকে মানুষ বাঁচতে পারে। 

★সুতরাং ইতিহাসের নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের অন্যায় এর কাজ গুলো বলা জায়েজ আছে। 

ছয়টি কারণে গীবত করা জায়েজ আছে। 
বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...