ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জ্বীন জাতি সম্পর্কে আমাদের এতটুকু আকিদা রাখাই যথেষ্ট যে, তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। তাদের ক্ষতি থেকে বাচতে কুরআন তিলাওয়াত যথেষ্ট। এত্থেকে বেশী জানাতে আমাদের কোনো কণ্যাণ নেই এমনকি আমি মুকাল্লাফও নই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জ্বীনরা যেকোনো আকৃতি ধারণ করতে পারে। আল্লাহ তাদেরকে যেকোনো ধরণের আকৃতি ধারণের সুযোগ ও ক্ষমতা দিয়েছেন।
(২) মসজিদে জ্বীনেরা সালাত আদায় করে পারে। এটাও সম্ভব রয়েছে।
(৩) যেহেতু তারা মসজিদে সালাত আদায় করে তাই তাদেরকে মানুষরুপে দেখতে পাওয়াও সম্ভব এবং কথা বলাও সম্ভব।
(৪)কোনো এক ব্যক্তি যদি মসজিদে একাকী থাকার সময় কাউকে দেখতে পায় এবং তার সাথে কথোপকথন করে এবং পরে তার মনে সন্দেহ হয় যে ওই লোকটি মানুষ ছিল না, তাহলে এটা অনর্থক কল্পনা হবে। কেননা এটা সাধারণত হয় না।
وانه قد یتصور ببعض الصور فتمکن رؤیته و ان قوله تعالیٰ ، انه یراکم هو و قبیله من حیث لا ترونهم، مخصوص بما اذا کان علی صورته التی خلق علیها۔‘ (فتح الباری:۴۸۹/۴)
في "تفسیر فتوحات الٰہیة‘‘ :
’ ای اذا کانوا علی صورهم الاصلیة اما اذا تصوروا فی غیرها فتراهم کما وقع کثیراً‘ ("تفسیر فتوحات الٰہیة‘‘ ۱۳۳/۲)
وايضا:
’ فاجسادهم مثل الهواء نعلمه و نتحققه و لا نراه وهذا وجه عدم رؤیتنا لهم ووجه رؤیتهم لنا کثافة اجسادنا ووجه رؤیة بعضهم بعضًا ان الله تعالیٰ قوی شعاع ابصارهم جدا حتی یری بعضهم بعضا و لو جعل فینا تلك القوة لرأیناهم و لکن لم یجعلها لنا۔‘
وفي رواية ابي ابن كعب :
’ فَاِذَا هو بدایة شبه الغلام المحتلم فقلت له اجنی ام النسی؟ قال بل جنی‘ (فتح الباری،:۴۸۸/۴۔۴۸۹)