আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (32 points)
اَلسَلامُ عَلَيْكُم وَرَحْمَةُ اَللهِ وَبَرَكاتُهُ‎

এক বোনের প্রশ্ন--

ইহরাম বাধার পর মেয়েদের তো মুখ ঢাকা যাবে না,

এক্ষেত্রে পর্দার মতো উপর থেকে কিছু একটা ফেলে দিতে হবে,এজন্য আমি ক্যাপের উপর জর্জেটেট ওরনা পর্দা হিসেবে দেই,(এটা এতটাই পাতলা যে কাছ থেকে কেউ গেলে মুখ বুঝতে পারবে)

কিন্তু আমার শারীরিক অসুস্থ তার জন্য, এভাবে কাপড় দিয়ে রাখলে আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথ্যা করছে, ঠিক ঠাক দেখতে পারছি না,

এখন ঠিক ঠাক দেখতে না পেলে তো আমার হজ্জের জন্য বাধা হয়ে যাবে,এক্ষেত্রে কি আমি টাইট ভাবে মুখ ঢেকে নিতে পারবো নিকাব দিয়ে?

যদি এমন করি তাহলে কি দম দিতে হবে?

যেহেতু ৫ দিন ইহরাম বেধে থাকতে হবে,এখন আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইহরাম অবস্থায় নারী পুরুষ সবার জন্য মুখ ঢেকে রাখা নিষেধ। হ্যা, নারীদের জন্য শরীয়ত সর্বাবস্থায় পর্দাকে জরুরী সাব্যস্ত করেছে। এজন্য কোনো নারী যখনই সে কোনো পরপুরুষের সামনে আসবে, তখনই সে তার মুখকে লুকিয়ে নিবে। এটাই মহিলা সাহাবীদের আমল ছিলো। (আবু দাউদ-১/২৫২)

যদি ইহরাম অবস্থায় ভুলে চেহারাতে কাপড় বা চাদর লেগে যায়, এবং তৎক্ষনাৎ সরিয়ে ফেলা হয়, তাহলে তখন কোনো দম বা সদকাহ ওয়াজিব হবে না। যদি অর্ধেক দিন তথা ১২ ঘন্টার বেশী সময় ধরে মুখ ঢাকা থাকে, তাহলে দম তথা একটি বকরি ওয়াজিব হবে।এবং এরচেয়ে কম ঢাকা থাকলে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে।এই বিধান নারী পুরুষ সবার বেলায়ই প্রযোজ্য। 
الفقه الإسلامي وأدلته (3/ 599):
"وأجاز الشافعية والحنفية ذلك بوجود حاجز عن الوجه فقالوا: للمرأة أن تسدل على وجهها ثوباً متجافيا عنه بخشبة ونحوها، سواء فعلته لحاجة من حر أو برد أو خوف فتنة ونحوها، أو لغير حاجة، فإن وقعت الخشبة فأصاب الثوب وجهها بغير اختيارها ورفعته في الحال، فلا فدية. وإن كان عمداً وقعت بغير اختيارها فاستدامت، لزمتها الفدية"

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শারিরীক অসুবিধার দরুণ আপনি কিছু মূহুর্তের জন্য মুখকে ঢেকে রাখতে পারবেন। তখন আপনার উপর ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করা ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...