আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (5 points)
১।মেয়েদের জন্য কি কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব ?? নাকি মেয়েদের কুরবানী দেয়ার প্রয়োজন নেই ??
২। স্বামী কুরবানী দিলে কি স্ত্রী আলাদাভাবে কুরবানী দিতে পারবে ??
৩। স্বামীও কুরবানী দিচ্ছেন স্ত্রী আবার আলাদা করে বাবার সাথে কুরবানী দিতে শরিক হয়েছেন এক্ষেত্রে স্ত্রী কি শুধু বাবাকে সাহায্য করার নিয়তে শরিক হবেন নাকি কুরবানীর নিয়তে ?

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২,কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1642

শুধু স্বর্ণ হলে কারো নিকট ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ থাকলেই কেবল কুরবানি ওয়াজিব হবে। যেভাবে যাকাতের বিধান। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরবানি পরিবারের উপর ওয়াজিব হয় না। বরং ব্যক্তি কেন্দ্রিক সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপরই কুরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে। স্বামী স্ত্রী উভয়ই যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে উভয়ের উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। স্বামীর কুরবানি দ্বারা স্ত্রী দায়মুক্ত হবে না। যদি স্বামী তার স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে স্ত্রীর পক্ষ থেকে কুরবানি করে নেয়, বা নিজের কুরবানির পশুতে স্ত্রীর এক নাম দিয়ে দেয়, তাহলে এদ্বারা স্ত্রীর ওয়াজিব আদায় হবে। নতুবা স্ত্রীকে পৃথকভাবে কুরবানি করতে হবে, চায় বাবার সাথে হো বা একাকি কিংবা অন্য কারো সাথে হোক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...