আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

আমার এক পরিচিত বোন গতবছর হজ্জ করেছেন। উনি ঔষধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রেখেছিলেন। হজ্জের সব কাজ সুষ্ঠভাবে আদায় করেছেন উনি। কিন্তু হজ্জের পরে বিদায়ী তাওয়াফের আগে উনার মাসিকের রাস্তা দিয়ে পুরানো কালো জমা রক্ত সুতার মতো বের হতো আবার সাদাস্রাব ও বের হতো। কিন্তু সেটা মাসিক ছিল না বা মাসিকের মতো স্বাভাবিক ছিল না তাই তিনি সেটা মাসিক হিসেবে মনে করেন নি। এ অবস্থায় উনি হজ্জের পরে নরমাল নফল তাওয়াফ, সালাত সবি আদায় করেন। বিদায়ী তাওয়াফ উনাদের কাফেলার সবাই একসাথে আদায় করেন। এরপর উনি নিজে আবার নফল তাওয়াফ ও করেন। এজন্যে পরেরদিন আবার নিজে নিজে বিদায়ী তাওয়াফ আদায় করেন। উনার এই সমস্যার আগে হজ্জের পরে নফল তাওয়াফ ও করেছেন কয়েকটা তখন  এই সমস্যা ছিল না। দেশে আসার আগে অব্দি উনি মাসিক বন্ধের ঔষধ খেয়েছেন তাও এমনি ছিল। দেশে আসার পরে ঔষধ বন্ধ করলে নরমাল স্বাভাবিক মাসিক হয় উনার।

এখন এক্ষেত্রে করনীয় কি? উনার বিদায়ী তাওয়াফ কি আদায় হয়ে গেছে নফল তাওয়াফ দিয়ে নাকি বিদায়ী তাওয়াফ সহীহ হয়েছে নাকি  দম দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত ফেকহি কিতাব আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ এ বর্ণিত রয়েছে,
لا يجوز للمرأة ان تمنع حيضا او تستعجل إنزاله اذا كان يضر صحتها ،لأن المحافظة على الصحة واجبة ،
পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা বা হায়েযকে তার সময়ের আগে করিয়ে নেয়া বৈধ হবে না যদি সেটা শারিরিক কোনো ক্ষতি করে।কেননা শারিরিক সুস্থতাকে বাঁচিয়ে রাখা ওয়াজিব।(আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-১/১২৪)

বিশিষ্ট ফকিহ খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানি বলেন,
বিজ্ঞ দু'জন মুসলিম চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি সেটা শারিরিক কোনো ক্ষতি না করে, তাহলে বিশেষ বিশেষ সময় যেমন হজ্বের সময় পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা বা আগেই হায়েয করিয়ে নেয়ার বৈধতা রয়েছে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1419

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেদিন পুরানো কালো জমা রক্ত সুতার মতো বের হয়েছে, সেদিন থেকে তিনদিন তিনরাত পর্যন্ত আর কিছু বের না হলে, এটা ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুবা হায়েয। ইস্তেহাযা হলে তাওয়াফ ইত্যাদি আদায় হয়েছে। আর হায়েয হলে হয়নি, বরং দম ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...