আসসালামু আলাইকুম শায়খ,আমি আমার কিছু কস্টের কথা আজকে বলতেছি,আপনি দয়া করে আমায় এক্টু উপদেশ দিয়েন, আমি মানসিক শারিরীক ভাবে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি বার বার কষ্ট পাওয়ার কারনে,আমার বিয়ে হয়েছে এক বছর হয়েছে,আমি যখন থেকে শশুড় বাড়িতে আসলাম ছোট্ট ছোট্ বিষয় নিয়ে আমার শাশুড়ি আমার সামনে পিছনে বাজে বাজে কথা বলা শুরু করল,আমি আমার বাবার বাড়ি থেকে এক্টা জিনিস আনলে সেটা নিয়েও বাজে বলত, তার মুখ প্প্ররচন্ড রকমের খারাপ, কথা যে এদো ধারালো হতে পারে তা তারে না দেখলে বুজতাম নাহ,প্রথম দিকে জামা এনেছি বাবার বাসা থেকে, সালোয়ার কামিজ,সে বল্ল আমার বাসায় এসব পড়া যাবেনে, কি আনছো এসব,এ জামা কে বানাইছে,কি রকম বানাইছে,আমার আম্মুর বানানো ছিলো ওগুলো,এরপর আমার বাবার বাসা থেকে ফার্নিচার দিলো সেই নিয়ে চিল্লাপাল্লা করল, কেনো দিলো,আমার বাবা মা নাকি বড়ত্ব দেখানোর জন্য দিছে,সে নিষেধ করছে তার ঘর ছোট তারপর ও কেনো দিছে, অথচ তার বাসাতে যথেষ্ট জায়গা আছে,এবং আমার জিনিস পত্র আমার রুমে ভালো মতো ঢুকেও গেছে,তারপরো এক্টা পর এক্টা কষ্ট দিয়ে কথা বলে গেছে,কাজ না পাড়লে বা তার মতো না হলে পিছনে নালিশ করছে, কটু কথা বলছে, শশুররে, ছেলেরে এমনভাবে বলছে মনে হয় কত বড় এক্টা ভুল করে ফেলছি, সে সব অস্বীকার করে, আমার বাবা যদি এক্টা পান্জাবিও ছেলেকে দিছে ওই ছোট্ট জিনিস নিয়েও বলে উঠছে কি দিছে,তার ছেলে এসব পড়তে পারবে না ,ামার মা ঈদে আমায় জামা দিছে বলে উঠছে কি দিছে,এই না কিনে এইটাকা ভিক্ষুকরে দিয়া দেওয়া ভালো,পিছনে প্রতিনিয়ত আমার বাপ মারে অপমান করছে,এমনকি এমন পরিস্থিতি আনছে এখন আমার বাবা মা আসতেও চায় না আমার শশুড়বাড়ি তে,সে যখন খারাপ ব্যবহার করে বা পিছনে আমায় নিয়ে চিল্রায় আমি প্রায়ই বার চুপ থাকি কিন্তু আমিও মানুষ,মানুষ অপমানিত হতে হতে একসময় মুখ খোলে,তর্ক করে, আমি যখন কষ্টে অভিযোগ করতে থাকি বলতে থাকি আপনি ছেলের বউরে এক্টু ইজ্জত দেন নায়, কিভাবে সম্নান করদে হয় জানেন না তখন সেও ক্ষেপে আসে,ছেলেও ক্ষেপে যায়, সব থেকে কস্টের বিষয় ওই মুহুর্তে আমার হাজবেন্ডে ধমক দিয়ে আমায় বসায় দেয়, অথচ এতোটা কষ্ট আর অপমান তার মা আমায় করছে তখন সে ভুলে যায় এবং উল্টা আমাকেই দোষ দিতে থাকে,পিছনের তা টানি কেনো,তার মায়ের সাথে তর্ক করি কেনো,মুরব্বি মানুষ,অথচ মুরুব্বি মানুস যদি ইজ্জত না দেয় তাহলে কে সম্নান দিয়ে কথা বলবে,এতো আঘাত দেওয়ার পরও? মানুষ কত সহ্য করতে পারে?হ্যাঁ তার মা কে সে অনেক অনেক বুজায়, রাগারাগিও করে,(যেটা আমি নিষেধ করি)কিন্তু পরক্ষনে সে আমায়ও রাগারাগি করে যদি আমি ত্ার মার ব্যবহার এ রেগে যাই, দোষটা তার মার কিন্তু তখন তিনি আমায দোষ দেন যদি তার মায়ের ভুল ধরায় দি, এক্টু জোরে কথা বলি কষ্টে যদি ওই মুহুর্তে গুলো আমি মানুষিক ভাবে প্রচন্ড কস্টে থাকি,কিন্তু তিনি পরক্ষণেই তার ছেলে ভয়ংকর ভাবে আঘাত দিয়ে বুজায় দেয় আমারে তার মা আঘাত কররে তার মাকে কিছুই বলা যাবে না,এমন কথা বলে যেটা শুনলে আরো কষ্ট হয়, আমার শশুড়ও বুজায় কিন্তু আমার শাশুড়ি, তিনি স্বীকারও করেন না,তার ব্বহার এতোটা টর্চার করছে আমায় মানসিক ভাবে, যখন জগড়া বাদে সে এমনভাবে সব অস্বীকার যায় মনে হয় সেই নির্দোষ তখন তার ছেলেও এমনভাবে কথা বরে মনে হয় তখন কাটা গায়ের উপর কেউ গরম পানি ফালাচ্ছে, এতোটা কষ্ট হয়, বুজেওনা তার মা তার আচরনে মেয়েটা কত আঘাত পেয়েছে,আমার হাজবেন্ড বলে তার মা ভালো হয়ে গেছে,সময় দেও,অথচ তার মা ভালো হননি,তিনি সুযোগ পেলেই আবার শুরু করে,আজকে এতোটা ইজ্জত হারা আমি আর আমার বাবা মা হয়েছি এটা কখনো আমার হাজবেন্ড বুজতেই চান না,কেনো কষ্ট পুষে রাখব না?এমন যদি হতো তার মা ভালো হয়ে সত্যি সত্যি স্বাভাবিক হয়ে গেছেন তাহলে হয়তো কস্ট প্রকাশ করতাম না কিন্তু পরিস্থিতি এমন বানিয়েছে যে মেয়েটা কি ভয়ংকর কষ্ট হয় এটা স্বামীও বুজতে চায় না, যা করছে তা ভুলে যাই না কেন,হ্যাঁ এটা ঠিক এখন তার মার আচরনের কারনে তার মায়ের কাছে কাজ ছাড়া কাছে যাই না,এমনকি যখন সে কাজ করে তখনও যাই না,পরে বা আগে বলে নি কি করব,কিন্তু তিনি ওভাবে দেনও না, ার দিলেও এমন জায়গায় ভুল ধরবেন বা এমন আচরন করবেন যেটা আসলে ভুলও না, প্রচন্ড আঘাত পেয়েছি,অথচ আমার স্বামী বলে ধরে রাখি কেনো,কিন্তু এমনও তো হয় না যে সে ভালো হয়ে গেছে,তার সুচিবায়ুতা, বদরাগের কারনে আজকে আমি ঘরের ভিতর কয়েদীর মতো থাকি,আমার ড্রেসিং টেবিলের ভিতর যদি সামান্য আউলানো থাকত সেটা নিয়েও চিল্লাতো ছেলে ার শশুড়ের সামনে,অসুস্থ হলে এমন কথা বলত যে নিজের অসুস্থতায় প্রকাশ করি না, ভুল হলে পিছনে চেচামেচি,আমারে না পাড়তে ছেলেরে গালাগালি,আকথা কুকথা বলা, প্রচন্ড নেগেটিভ মনা, কোন জিনিস তার ধরলে সেটা জায়গা মতো ভুলেনাও রাখতে পারি তাহলে কষ্ট দিয়ে কথা বলা, পিছনে চেচানো, সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি,আর এখন যখন খারাপ ব্যবহার করলে রিয়েক্ট করে বসি কখনো কখনো কষ্টে তখন তার ছেলের কাছ থেকে ও অপমানিত হতে হয়, আমিই সহ্য করতে পারি না, কিছু নিতে পারি না,আমার সমস্্যা, আলাদা হওয়ার জন্য এমন করতেছি,এগুলো শুনতে হয় ছেলের কাছ থেকে,ওনার ছেলে যে ওনাকে কিছু বলে না তা না ভুল করলে অদিকাংশ সময় বলে, কিন্তু কখনো কখনো তার ছেলেই এমন আচরন করে মনে হয় আমী জালেম তার মা মজলুম,, ,আমার হাত পা শরীরএর ভিতর ব্যাথা, দুর্বল হয়ে যাই যখন তার এসব ব্যবহার শুনি,আর যখন মাজেমাজে স্বামীও দোষ তখন মানসিক চাপ যেনো আর ঘিরে ধরে,অদিকাংশ বিবাহিত প্রাকটিসিং মেয়েরাও যে কতটা নির্যাতিতা, কটতা অসহায় তা আল্লাহ আর সেই বান্দা ছাড়া কেউ বুজবে না। ধৈর্য্য দরদে ধরতে হয়তো মানুষিক শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাবো,তারপরো স্বামীকে বুজাতে পারব না তার মার ব্যবহার ে আমি ভিতর থেকে কিভাবে শেষ হয়ে গেছি,, আমি অভিযোগ করি তার কাছে তখন তিনিো এমন এক্টা কথা শুনিয়ে দিবেন মনে হয় আমিই অপরাধী, আমারই দোষ, অথচ আমি এক্টু ভালো ব্যবহার আর ইজ্জত চেয়েছিলাম,এক্টু কাজে ভুল হলে খারাপ ব্যবহার না শুনা,এক্টু স্নেহের ব্যবহার চেয়েছিলাম যেটা আমি পাই নি,কোনদিনও আমার অসুবিধা হচ্ছে এমন বিষয়েও ছাড় দিতে চাই নি,আমার শাশুড়ি শুদু নিজের মতটাকেই প্রাধান্য দিতো তা যদি অন্যকে আঘাত করে তারপরও,আমি পর্দা করি বলে আমাকে মানসিক রোগী,অসামাজিক বলে নালিশ করতে দ্বিধা করেনি আমার মার কাছে,আজকে যখন নিজেকে গুটিয়ে ফেলছি কটু কথা শুনতে শুনতে তখন শুনা লাগে আমি নাকি সব ধরে বসে থাকি,,ভুলে যাই না কেন,তার মা নাকি ভালো হয়ে যাচ্ছে, অথচ সে ভালো হয়েছে কিনা সেটা রব াআর আমি ই জানি,