আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (65 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একটা অনলাইন ব‍্যাংকে একাউন্ট খুলায় ওরা আমাকে ওদের পার্টনার একটা সুপারশপের ভাউচার ও চকলেট দেয়। আবার আমি যদি কাউকে রেফার করি তাহলেও একই সুপারশপের ভাউচার পাই। আর একাউন্ট খোলার পর ৫০০ টাকা ডিপোজিট করলে তখনও ঐ সুপারশপের ভাউচার দেয়। ঐ ভাউচার সবগুলো ব‍্যবহার করা আমার জন‍্য জায়েজ হবে?
আমার এখানে কোন এক্সট্রা টাকা দেয়া লাগে নাই ভাউচারগুলো পেতে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে,ঐ ব‍্যাংকের সাথে ঐ সুপারশপের লিংক করা আছে, যখনই ঐ ব‍্যাংকের মাধ‍্যমে যেকোন দোকানে লেনদেন করি আমাকে ঐ সুপারশপের থেকে কিছু পয়েন্ট দেয় যা দিয়ে আমি কেনাকাটা করতে পারি ঐ দোকানে। এই পয়েন্টটা দেয় কেননা ব‍্যাংকটি ও সুপারশপটি বিজনেস পার্টনার । অন‍্য ব‍্যাংক থেকে পেমেন্ট করলে এই সুবিধা পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে কি করণীয়

1 Answer

0 votes
by (655,170 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পেমেন্ট মেথড তথা বিকাশ, রকেট বা ব্যংকের ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড অথবা ভিসা/মাস্টার কার্ড ইত্যাদি দ্বারা নির্দিষ্ট শপে ক্রয়ের উপর যে ১০% বা ২০% ক্যাশব্যাক দেয়া হয়।
তার শরয়ী হুকুম নিম্নরূপ।

যদি ক্রেডিট কার্ড বা শপিং কার্ডের মাধ্যমে বিল পে করা হয়, যা গ্রাহক পরবর্তীতে উক্ত ইস্যুকৃত কার্ডের মালিক ব্যাংক বা কম্পানিকে পরিশোধ করবে।তাহলে বুঝা গেল যে ব্যাংক/কম্পানি উক্ত কার্ডধারীকে বর্তমানে ঋণ দিচ্ছে।তাই ব্যাংক হল ঋণদাতা।এবং ক্রেডিট/শপিং কার্ড গ্রহণকারী হলেন ঋণগ্রহিতা।ঋণ দাতার পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহিতাকে আরো উপহার উপটোকন দেয়া যায়।তা জায়েয।অন্যদিকে ঋণগ্রহিতার পক্ষ্য থেকে ঋণদাতাকে কিছু দেয়ার নামই হল সুদ।তাই এখানে সুদ হচ্ছে না।কেননা এতে সুদের সজ্ঞা প্রমাণিত হচ্ছে না।

আর যদি পেমেন্ট মেথড ডেবিডকার্ড বা বিকাশ/রকেট হয়, তাহলে তো উক্ত গ্রাহকের একাউন্টে পূর্ব থেকেই টাকা বিদ্যমান রয়েছে।এখন উক্ত পেমেন্ট মেথড গুলো ক্ররিদার গ্রাহককে কমমূল্যে ক্ররিদ করতে সহযোগিতা করছে।আর সহযোগিতা করা তো জায়েয।জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম(দারুল এশায়ত);১/১৬৪এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/112

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত রিওয়ার্ড নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (65 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ

দুঃখিত উত্তরটা ক্লিয়ার বুঝতেছিনা। এই ভাউচারগুলো ব্যাংক থেকে গিফটের মতন । আবার আমার রেফারেন্সে অন্য কেউও এই ব্যাংকে একাউন্ট খুললেও আমাকে ভাউচার দেয় ( এতে আমার কোনো টাকা দেওয়া লাগে না) । আবার টাকা ডিপোজিট করলেও একই দোকানের (এই দোকানের সাথে ব্যাংকের পার্টনারশিপ আছে তাই) ভাউচার দেয়। এই ভাউচার দিয়ে আমি অই দোকান থেকে শপিং করতে পারি।

আবার অই ব্যাংক থেকে পেমেন্ট করে অন্য দোকানে শপিং করলেও পার্টনারশিপ দোকানটা থেকে পয়েন্ট দেয় যদিও আমি শপিং ওদের থেকে করি নাই ।

মোটকথা ওদের পার্টনারশিপের কারণেই ব্যাংক ভাউচার দেয় এবং শপটি পয়েন্ট দেয়।। অন্য ব্যাংক দিয়ে লেনদেন করলে তখন কিন্তু দেয় না। 

এখন এগুলো কি গিফট হিসেবে ব্যবহার করা জায়েজ হবে। উল্লেখ্য, ভাউচার পেতে আমার কোনো টাকা দেওয়া লাগে না
by (65 points)
উল্লেখ্য, আমি দেশের বাইরে থাকি। এখানে ডেবিট কার্ড ইউজ করি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...