জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ يَعْنِي ابْنَ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَقْسِمَ جُلُودَهَا وَجِلَالَهَا، وَأَمَرَنِي أَنْ لَا أُعْطِيَ الْجَزَّارَ مِنْهَا شَيْئًا، وَقَالَ: نَحْنُ نُعْطِيهِ مِنْ عِنْدِنَا
‘আলী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তাঁর কুরবানীর পশু দেখাশোনা, চামড়া বিতরণ ও তার আচ্ছাদন সাদাকা করতে নির্দেশ দেন এবং কসাইকে তা থেকে কিছু না দেয়ার নির্দেশ করেন। বর্ণনাকারী বলেন, তবে কসাইকে আমরা নিজেদের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে পারিশ্রমিক দিতাম।
(বুখারী,মুসলিম,আবু দাউদ ১৭৬৯)
حديث عَلِيٍّ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ، وَأَنْ يَقْسِمَ بُدْنَهُ كُلَّهَا لُحُومَهَا وَجُلُودَهَا وَجِلاَلَهَا وَلاَ يُعْطِيَ فِي جِزَارَتِهَا شَيْئًا
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিজের কুরবানীর জানোয়ারের পাশে দাঁড়াতে আর এগুলোর সমুদয় গোশ্ত, চামড়া এবং পিঠের আবরণসমূহ বিতরণ করতে নির্দেশ দেন এবং তা হতে যেন কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছুই না দেয়া হয়। (বুখারী, হাঃ ১৭১৭, মুসলিম, হাঃ ১৩১৭)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
ولا يعطى أجر الجزار والذابح منها
পারিশ্রমিক হিসেবে কসাই ও জবাইকারীকে কুরবানীর গোশত দেওয়া যাবে না । ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া,৫/৩০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যারা শ্রম দিবে, তাদেরকে পারিশ্রমিক দেওয়ার পর অন্যান্য ১০ জন মানুষের মত কুরবানীর গোশত দিতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানির গোশত দিতে পারবেন না।
সুতরাং আপনার মত সহীহ।
আরো জানুনঃ-
(০২)
এক্ষেত্রে তাদের কুরবানীর গোশত বিক্রির গুনাহ হবে। যাহা জায়েজ নেই।
(০৩)
জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলতে হবে।
শুধু আল্লাহু আকবার বললেও হবে।
যতবার ছুরি চালাতে হয়, ততবার ই বলা আবশ্যক নয়। শুরুতে একবার বললেই যথেষ্ট।
"আল্লাহু আকবার। " বললে বিদ'আত হবেনা।
জবেহকারী আল্লাহর নাম নেয়ার পাশাপাশি জবেহ করতে সহায়তাকারীরা কিংবা কুরবানীর অংশীদারগণ "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার" বললে কোনো সমস্যা নেই।
জবেহকারী আল্লাহর নাম নিতে ভুলে গেলে জবেহ করতে সহায়তাকারীরা কিংবা কুরবানীর অংশীদারগণ আল্লাহর নাম নিলেও কুরবানী সহীহ হবে, তারা আল্লাহর নাম না নিলেও কুরবানী সহীহ হবে।
কেননা এক্ষেত্রে জবেহকারী ভুলক্রমে আল্লাহর নাম নেয়নি।
শরীয়তের বিধান অনুসারে এক্ষেত্রেও জবাই শুদ্ধ হয়ে যায়।
আরো জানুনঃ-
(৪.১)
ইসলামী শরীয়ত সম্মত পন্থায় জবাই করার পদ্ধতি হলো হলোঃ
মুসলিম অথবা আহলে কিতাব ব্যাক্তি বিসমিল্লাহ বলে জবাই করবে।
জবাই করার সময় চারটি রগ কাটতে হবে। সে চারটি রগ হচ্ছে, শ্বাস নালী, খাদ্যনালী এবং শ্বাস নালীর দুই পার্শ্বের দুটি মোটা রগ। কোনো কারণে চারটি রগ না কেটে তিনটি কাটলে গোশত খাওয়া বৈধ হবে। কিন্তু তিনটির কম কাটলে সেই পশু বা পাখি মৃত বলে গণ্য হবে এবং তা খাওয়া বৈধ হবে না। (বেহেশতি জেওর, পৃষ্ঠা-৩৭৫)
যে কোন পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম তথা বিসমিল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ তাআলার সাথে খাস আল্লাহ তাআলার যে কোন নাম উচ্চারণ করা আবশ্যক। যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহর নাম না নেয়া হয়, তাহলে উক্ত পশু খাওয়া জায়েজ হবে না।
আরো জানুনঃ-
(৪.২)
তাদের নাম নেয়ার আবশ্যকীয়তা নেই।
কুরবানীর পশু ক্রয়ের সময় শরীকদের নামেই ক্রয় করা হয়েছে,আর সেই অনুযায়ী টাকা দেয়া হয়েছে,সুতরাং সেটিই যথেষ্ট হবে।
জবাইয়ের সময় নাম নেয়ার আবশ্যকীয়তা নেই।
(৪.৩)
কুরবানীর পশুর প্রাণ ত্যাগ করার পূর্বে পশুর কোন অঙ্গ যেমন ঘাড় মটকানো, পায়ের শিরা কাটা, চামড়া ছাড়ানো ইত্যাদি কেটে পশুকে কষ্ট দেওয়া নাজায়েজ ।
কেননা পশুকে কষ্ট দেয়া আদৌ বৈধ নয়।
,
★তবে এতে গোশত হারাম হবেনা।
সেই পশুর গোশত খেতে কোনো সমস্যা নেই।
কুরবানী কবুল হওয়ার সাথে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই
নিয়ত খালেস থাকলে এবং হালাল টাকায় কুরবানী দিলে সেক্ষেত্রে আপনার কুরবানী কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।
আরো জানুনঃ-