আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
হুজুর গত রমজানে এক ভাইকে তার একটি সমস্যার ব্যাপারে পরামর্শ দেই। তার স্বপ্নদোষ ছিলো।  সে বলতো অতিরিক্ত হতো। আমি মনে করেছিলাম হয়তো মাসে ২০ বারের মতো হয়। এখন মনে পরছে সে বলেছিল ১০ বারের মতো হতো। আমি একটা পেজে পরেছিলাম,  তারা বলেছিলো এটা সারামাস হলেও সমস্যা নাই। তাই আমি তাকে সাহায্যের জন্য এটা বলেছিলাম এবং বুঝিয়েছিলাম। সে ওষুধ খেতো আয়ুর্বেদিক।  আমি তাকে মনে হয়না সরাসরি ওষুধ খেতে মানা করেছিলাম। সম্ভবত বলেছিলাম আমি তোমাকে নিষেধ করবোনা ওষুধ খেতে। যাইহোক হয়তো মানাও করেছিলাম ওষুধ খেতে। কিন্তুু ভালো কথা হচ্ছে সে ভালো হয়ে গেছে। তার এমন ও হয়েছিলো ২ মাসেও একবার স্বপ্নদোষ হয়না৷ আবার কখনো কখনো সপ্তাহে ১বার ২ বার হয়। যাইহোক।  একনাসে ওর হঠাৎ আবার ৫ বার হয়ে যায়৷  এবার সে আমাকে কল দেয় ভাই আমার তো আবার শুরু হয়েছে। যখন সে সুস্থ ছিলো তখন একবারও কল দেয়নি। যখন ওর শুরু হয়েছে তখন আবার কল দেয়৷ সেই থেকে আমি ভয় পেয়ে যাই৷  আমার ভিতরে একটা ভয় ঢুকে যায়। তাই আমি ওকে বারবার কন্টাক্ট করার চেষ্টা করি। ওকে এসএমএস এ জানাই। পরে একদিন সে কলে আমার সাথে কথা বলে। সে বলেছে ভাই আমি আপনাকে কী দোষ দিয়েছি? আমি জানাইছি৷ একটা চিন্তামুক্ত হওয়ার জন্য। পরে আমি তাকে বলি তুমি বলো আমার প্রতি তোমার কোনো দাবি নাই। সে বলে আমার প্রতি তার কোনো দাবি নাই।   পরে আমি একেবারে দায়মুক্ত হওয়ার জন্য ওকে বলেছি একদুইখানে পরেছিলাম মাসে ৪/৫ বারের বেশী হলে সমস্যা৷ অনেকে এটা বলেও। তাই আমি ওকে বলে দিয়েছি, চার পাচবার নরমাল। বাকি তোমার কাছে সমস্যা মনে হলে ডাক্তার দেখাতে পারো।  ও বলেছিলো ওষুধ খেলে ওর এটা ভালো হয় না। গরুর মাংস খেলে এটা হয়। তাই বলেছিলাম হয়তো গরুর মাংসটা না খেতে। বলেছিলাম কি না মনেও নাই। আর ও এখন এসব শুনতেও চায়না৷ ও আনাকে বলে আমি এখন অনেক সুস্হ আছি। আমার এসব আর ভালো লাগেনা। আমি সুস্হ আছি শেষ। এসব বলে সে আমাকে ব্লক করে দেয়।  আমি চাইলে অন্য জায়গা থেকে তাকে এসএমএস করতে পারি। সে বিরক্ত হলে তাই আর করি না। আর তাছারা ওর শরীর ও বুঝবে। tension আমার হয় হুজুর সারাটাক্ষন।  আমি ক্লান্ত মানসিকভাবে। কোরআনে যে পরেছি কে(উ তার ভাইকে অনিচ্ছকৃত হ**) আমি ভাবি সে যদি আমার কারনে.....  যায়,  তাহলে যদি আল্লাহর কাছে খু***নি হিসেবে উঠি। এইটাই ভয় আমার

১) হুজুর আমার কি কোনো গুনাহ হবে?
২) এইখানে সে যে বলেছে,  আমার প্রতি তার কোনো দাবি নাই৷
আমি কি এসব স্বপ্নদোষর ব্যাপারে বলার কারনে তার থেকে দায়মুক্ত হবো?

৩) সে তো ভালো হয়ে গিয়েছে। পরে যদি কখনো আবার শুরু হয়,  তার জন্য কী আমি দায়বদ্ধ থাকবো।

৪) আমি যে ওকে গরুর মাংস খেতে মানা করেছি এটা কি গুনাহ হবে?
৫)পরে যে তাকে বলেছি তুমি চাইলে ডাক্তার দেখাতে পারো,  এর জন্য কী গুনাহ হবে।
আর এগুলি কী ওয়াসওয়াসা?
আমার আগে এসব হয়নি৷  যখন থেকে দীনে রুজু করেছি, আমি মানুষকে যে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি, সেখানেই ওয়াসওয়াসা হয়েছে। বারবার দশ্চিন্তা হয়েছে। মনে হয়েছে আমি মানুষর ক্ষতি করার জন্য এসব বলেছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই জীবনে যতদিন বেচে আছি, কোনোদিন কোনোবিষয়ে আর কখনো কাউকে সাহায্য করবো না। যাই হয়ে যাক না কেনো। যদি আমি সাহায্য করলে কোনো ব্যক্তি বেচে যাবে,  তাও করবো না। আমি এরপরে কি হবে জানি। ও ঠিক হয়ে যাবে। আমি চিন্তা করতে করতে অসুস্হ হয়ে যাবো। আমার জীবন জাহান্নাম হয়ে গেছে।  আমাকে কিছু পরামর্শ দিন

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
১) প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।

২) হ্যাঁ আপনি তার থেকে দায়মুক্ত হবেন।

৩) না,আপনি দায়বদ্ধ থাকবেননা।

৪) না,গুনাহ হবেনা।

৫) না,গুনাহ হবেনা।
হ্যাঁ আপনার প্রশ্ন ওয়াসওয়াসা জনিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...