হুজুর গত রমজানে এক ভাইকে তার একটি সমস্যার ব্যাপারে পরামর্শ দেই। তার স্বপ্নদোষ ছিলো। সে বলতো অতিরিক্ত হতো। আমি মনে করেছিলাম হয়তো মাসে ২০ বারের মতো হয়। এখন মনে পরছে সে বলেছিল ১০ বারের মতো হতো। আমি একটা পেজে পরেছিলাম, তারা বলেছিলো এটা সারামাস হলেও সমস্যা নাই। তাই আমি তাকে সাহায্যের জন্য এটা বলেছিলাম এবং বুঝিয়েছিলাম। সে ওষুধ খেতো আয়ুর্বেদিক। আমি তাকে মনে হয়না সরাসরি ওষুধ খেতে মানা করেছিলাম। সম্ভবত বলেছিলাম আমি তোমাকে নিষেধ করবোনা ওষুধ খেতে। যাইহোক হয়তো মানাও করেছিলাম ওষুধ খেতে। কিন্তুু ভালো কথা হচ্ছে সে ভালো হয়ে গেছে। তার এমন ও হয়েছিলো ২ মাসেও একবার স্বপ্নদোষ হয়না৷ আবার কখনো কখনো সপ্তাহে ১বার ২ বার হয়। যাইহোক। একনাসে ওর হঠাৎ আবার ৫ বার হয়ে যায়৷ এবার সে আমাকে কল দেয় ভাই আমার তো আবার শুরু হয়েছে। যখন সে সুস্থ ছিলো তখন একবারও কল দেয়নি। যখন ওর শুরু হয়েছে তখন আবার কল দেয়৷ সেই থেকে আমি ভয় পেয়ে যাই৷ আমার ভিতরে একটা ভয় ঢুকে যায়। তাই আমি ওকে বারবার কন্টাক্ট করার চেষ্টা করি। ওকে এসএমএস এ জানাই। পরে একদিন সে কলে আমার সাথে কথা বলে। সে বলেছে ভাই আমি আপনাকে কী দোষ দিয়েছি? আমি জানাইছি৷ একটা চিন্তামুক্ত হওয়ার জন্য। পরে আমি তাকে বলি তুমি বলো আমার প্রতি তোমার কোনো দাবি নাই। সে বলে আমার প্রতি তার কোনো দাবি নাই। পরে আমি একেবারে দায়মুক্ত হওয়ার জন্য ওকে বলেছি একদুইখানে পরেছিলাম মাসে ৪/৫ বারের বেশী হলে সমস্যা৷ অনেকে এটা বলেও। তাই আমি ওকে বলে দিয়েছি, চার পাচবার নরমাল। বাকি তোমার কাছে সমস্যা মনে হলে ডাক্তার দেখাতে পারো। ও বলেছিলো ওষুধ খেলে ওর এটা ভালো হয় না। গরুর মাংস খেলে এটা হয়। তাই বলেছিলাম হয়তো গরুর মাংসটা না খেতে। বলেছিলাম কি না মনেও নাই। আর ও এখন এসব শুনতেও চায়না৷ ও আনাকে বলে আমি এখন অনেক সুস্হ আছি। আমার এসব আর ভালো লাগেনা। আমি সুস্হ আছি শেষ। এসব বলে সে আমাকে ব্লক করে দেয়। আমি চাইলে অন্য জায়গা থেকে তাকে এসএমএস করতে পারি। সে বিরক্ত হলে তাই আর করি না। আর তাছারা ওর শরীর ও বুঝবে। tension আমার হয় হুজুর সারাটাক্ষন। আমি ক্লান্ত মানসিকভাবে। কোরআনে যে পরেছি কে(উ তার ভাইকে অনিচ্ছকৃত হ**) আমি ভাবি সে যদি আমার কারনে..... যায়, তাহলে যদি আল্লাহর কাছে খু***নি হিসেবে উঠি। এইটাই ভয় আমার
১) হুজুর আমার কি কোনো গুনাহ হবে?
২) এইখানে সে যে বলেছে, আমার প্রতি তার কোনো দাবি নাই৷
আমি কি এসব স্বপ্নদোষর ব্যাপারে বলার কারনে তার থেকে দায়মুক্ত হবো?
৩) সে তো ভালো হয়ে গিয়েছে। পরে যদি কখনো আবার শুরু হয়, তার জন্য কী আমি দায়বদ্ধ থাকবো।
৪) আমি যে ওকে গরুর মাংস খেতে মানা করেছি এটা কি গুনাহ হবে?
৫)পরে যে তাকে বলেছি তুমি চাইলে ডাক্তার দেখাতে পারো, এর জন্য কী গুনাহ হবে।
আর এগুলি কী ওয়াসওয়াসা?
আমার আগে এসব হয়নি৷ যখন থেকে দীনে রুজু করেছি, আমি মানুষকে যে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি, সেখানেই ওয়াসওয়াসা হয়েছে। বারবার দশ্চিন্তা হয়েছে। মনে হয়েছে আমি মানুষর ক্ষতি করার জন্য এসব বলেছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই জীবনে যতদিন বেচে আছি, কোনোদিন কোনোবিষয়ে আর কখনো কাউকে সাহায্য করবো না। যাই হয়ে যাক না কেনো। যদি আমি সাহায্য করলে কোনো ব্যক্তি বেচে যাবে, তাও করবো না। আমি এরপরে কি হবে জানি। ও ঠিক হয়ে যাবে। আমি চিন্তা করতে করতে অসুস্হ হয়ে যাবো। আমার জীবন জাহান্নাম হয়ে গেছে। আমাকে কিছু পরামর্শ দিন