আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
508 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম,
ওয়াজ নসিহত কি নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী শোনা বা দেখা যায়?

না সবসময় দেখতেই হবে, না শুনলে বা দেখলে হবে না এমন কিছু? আর এতে কি নফল কাজের সোয়াব হয় না এটি মুস্তাহাব?
আর না দেখলে গুনাহ হয় কিনা?

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা কুরআন অধ্যায়ন সম্পর্কে বলেন,
ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﺬِﻛْﺮَﻯ ﻟِﻤَﻦ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﻗَﻠْﺐٌ ﺃَﻭْ ﺃَﻟْﻘَﻰ ﺍﻟﺴَّﻤْﻊَ ﻭَﻫُﻮَ ﺷَﻬِﻴﺪٌ
এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্যে, যার অনুধাবন করার মত অন্তর রয়েছে। অথবা সে নিবিষ্ট মনে শ্রবণ করে।(সূরা ক্বাফ-৩৭)

উক্ত আয়াত থেকে বুঝা যায় যে,কোনো কিতাব অধ্যায়ন বা কোনো বায়ান শুনার জন্য অপরিহার্য বিষয় হলো,অন্তরকে উপস্থিত রেখে দিলের কর্ণ দ্বারা তা শ্রবণ করা।
অন্তরকে উপস্থিত রেখে দিলের কর্ণ দ্বারা কিছু শ্রবণ করলে বা অধ্যায়ন করলে তবেই কিছুটা ফায়দা হবে।এটাই কিতাব অধ্যায়ন বা নসিহত শ্রবণের মূলনীতি।

বয়ানকে যেকোনো ভাবে শ্রবণ করা যাবে।দাড়িয়ে, বসে,শুয়ে যেকেনোভাবে বয়ানকে শ্রবণ করা যাবে।তবে অন্তর দিয়ে শ্রবণ করতে হবে। অন্তর দিয়ে শ্রবণ না করলে তেমন কোনো ফায়দা হবে না।
বক্তা উপস্থিত থাকলে,বক্তার চেহাররার দিকে তাকিয়ে বক্তার সম্মুখে বসে বয়ান শ্রবণ করাই কাম্য এতে অনেক ফায়দা নিহিত রয়েছে--
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4499

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াজ নসিহত কি নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী শোনা বা দেখা যায়।সবসময় দেখতেই হবে, বা না শুনলে বা দেখলে হবে না, এমন কিছু নয়। বরং এটি মুস্তাহাব পর্যায়ের বিষয়।

তবে কারো যদি ফরয ইলম জানা না থাকে, তাহলে তার জন্য ঐ ফরয ইলম শিক্ষা করা ফরয। চায় ওয়াজে গিয়ে হোক, বা মাদরাসায় গিয়ে হোক বা তাবলীগে গিয়ে হোক

আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি।

ইবনে আবেদীন শামী রাহ,জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন।যাকে আমাদের সামনে আসলে,ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
তিনি বলেনঃ
 وَكُلُّ مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ الْحَرَامِ فِيهِ اهـ
যে বক্তি কোনো জিনিষ বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করজে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করা ফরয।যাতে করে উক্ত বিষয় ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)..................বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1893


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...