আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায।

উস্তায, একটি বিষয়ে নিয়ে সংশয়ের মধ্যে আছি। আমাদের যে কোনো ভালো কাজের উদ্দেশ্য তো হওয়া উচিত কেবলই আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি।

আমার মনেহয় আমি দ্বীনের দিক থেকে খুবই গাফেল।
আমার কাছে একটি দ্বীনি দায়িত্বের সুযোগ রয়েছে। তবে তার জন্য শর্ত হলো সঠিক ভাবে পর্দা ও ইবাদাত করা।

এখন আমি যদি সেই কাজে যুক্ত হই তবে পর্দা বা ইবাদতের ক্ষেত্রে আমি হয়তো অনেক কঠোর হতে পারবো।
যদি পর্দার ক্ষেত্রে কোনো কঠোরতার বিষয় সামনে আসে, আমি তা কঠোর ভাবে পালন করতে পারবো, কেনন আমিতো শর্তানুযায়ী দায়িত্ব নিয়েছি। তাই সেই শর্ত রক্ষার্থে আমাকে যেকোনো পরিস্থিতিই হোক, পর্দার খেলাফ হোক এমন কিছু করা যাবেইনা। একইভাবে ইবাদাতের ক্ষেত্রেও তাই। যদি কখনো মনেহয় নামাজটা একটু পরেই পড়ি, তখন মনেহবে আমি তো শর্তে রাজি হয়েছিলাম তাই আমাকে এখনই পড়তে হবে, কোনো বিলম্ব করা যাবেনা।

আমি জানি অবশ্যই এই প্রতিটাই কেবলমাত্র আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্যই করা উচিত। শর্তের জন্য নয়।

কিন্তু আমার এই ভাবনাই মাথায় বেশি ঘুরে যে এটা তো দায়িত্ব তাই করতে হবে, এটাতো শর্ত তাই করতে হবে। এমন চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরে।
তখন আমার মনেহয় আমিতো আল্লাহর জন্য করছিনা বরং শর্ত পালনের জন্য করছি। আমি এটা মনে করতে চাইনা। তাও আমার এটাই মনেহয় যে আল্লাহর জন্য করলে তো এমনিতে করতাম। এমনিতে যেহেতু অতোটা কঠোর ভাবে করা হয়না তার মানে শর্তের জন্যই করছি আল্লাহর জন্য নয়। (আল্লাহ মাফ করুন)

আমার প্রশ্নটি হলো-

এক্ষেত্রে আমি কি সেই দায়িত্ব নেয়ার থেকে দূরে থাকবো? কেননা এতে রিস্ক থাকে যে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির পাশাপাশি কেবল শর্ত পূরণের জন্যও করছি।

(মনেহয় দায়িত্ব থাকলে শর্ত পূরনের জন্য হলেও আমার সবটা গুরুত্ব দিয়ে করা হবে৷ এমনিতে না চাইতেও প্রচুর হেলাফেলা হয়ে যায় যদিও তা মোটেই উচত নয়)

নাকি আল্লাহ চাইলে ইস্তিখারা করে দায়িত্বের দিকে এগোবো। (ইস্তিখারা করেছি। কিন্তু বুঝতে পারছিনা কি করবো)

জাযাকাল্লহু খইরন উস্তায।

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।

অন্য এক হাদীসে এসেছেঃ-

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি উক্ত বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতেছেন, এজন্যই আপনার মনের মধ্যে এমনটি হচ্ছে।

আপনি সমস্ত এবাদতের আগ মুহূর্তে মনের মধ্যে এখলাস রাখবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সে কাজটি করবেন, ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা হবে না উক্ত চাকরি আপনি করতে পারেন।

আপনার মনের সমস্যা গুলি আস্তে-ধীরে কেটে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
আলহামদুলিল্লাহ।
জাযাকাল্লহু খইরন উস্তায।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...