আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (1 point)
১.আমার যাওজের ১ লক্ষ টাকা প্রায় ৬ বছর যাবত ব্যাংকে রাখা আছে আর ৩ আনার মতো স্বর্ণ আছে ।সেই টাকা থেকে কত টাকা যাকাত আসবে।বর্তমানে আমার যাওজ ব্যাংক লোন নিয়ে ২ লক্ষ টাকা ঋণী।

২.আমাকে দেনমোহর বাবদে বিবাহের সময় ৫ আনা স্বর্ন দেই এবং পরবর্তীতে ৫০ হাজার টাকা দেয়।সেই ৫০ হাজার টাকা ১ বছর যাবত আমার বাবার কাছে কর্য দেওয়া আছে। আর আমার যাওজ আমার ভাইকে প্রায় ৪ বছর আগে টাকা কর্য দেই ওখান থেকে ২৫ হাজার টাকা এখনো পাবে। আমার ভাইয়ের কাছে যে টাকাটা পাবে ওটাও আমার দেনমোহর বাবদে নিতে বলেছে।বর্তমানে আমি টাকার মালিক ৭০ হাজারের মতো কিন্তু পুরোটাই কর্জ দেওয়া। এক্ষেত্রে কি আমার যাকাত আসবে

1 Answer

0 votes
by (628,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো ঋণ যদি এত হয় যা বাদ দিলে তার কাছে নিসাব পরিমাণ যাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে না তাহলে তার ওপর যাকাত ফরয নয়। (মুয়াত্তা মালেক ১০৭; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০০৩, ৭০৮৬, ৭০৮৯, ৭০৯০; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৫৪৭-৫৪৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/৮৩)
,
কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে যে, এই প্রসিদ্ধ মাসআলাটি সকল ঋণের ক্ষেত্রে নয়। 

ঋণ দুই ধরনের হয়ে থাকে।
 ক. প্রয়োজনাদি পূরণের জন্য বাধ্য হয়ে যে ঋণ নেওয়া হয়। 
খ. ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যে ঋণ নেওয়া হয়।
,
প্রথম প্রকারের ঋণ সম্পদ থেকে বাদ দিয়ে যাকাতের নিসাব বাকি থাকে কিনা তার হিসাব করতে হবে। নিসাব থাকলে যাকাত ফরয হবে, অন্যথায় নয়। 
,
কিন্তু যে সকল ঋণ উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয় যেমন কারখানা বানানো, কিংবা ভাড়া দেওয়া বা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বিল্ডিং বানানো অথবা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নিলে যাকাতের হিসাবের সময় সে ঋণ ধর্তব্য হবে না। অর্থাৎ এ ধরনের ঋণের কারণে যাকাত কম দেওয়া যাবে না। 
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৮৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
আপনার স্বামী ব্যাংক থেকে যে লোন নিয়েছেন,সেই ব্যাংক লোন ঋণের কোন প্রকারের?

তিনি সেই লোন কবে নিয়েছিলেন?

সব কিছু কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে যেদিন আপনাকে আপনার স্বামী ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে, সেদিন মূলত আপনি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তার পরবর্তী বছর থেকে আপনার উপর যাকাত ফরজ ছিল।

এক্ষেত্রে যতগুলো বছরে যাকাত আদায় করেননি, সবগুলো বছরের যাকাত আদায় করে নিতে হবে।

উক্ত টাকা যেহেতু এক বছর ধরে আপনার বাবাকে ঋণ দেওয়া আছে, সুতরাং এ বছর আপনার এখনই যাকাত দিতে হবে না, বরং ওই টাকা যখন আপনার বাবা পরিশোধ করবে, তখন আপনাকে যাকাত দিতে হবে।

এমতাবস্থায় সেই টাকা উসুল যত বছর লাগবে,সব গুলো বছরের যাকাত আদায় করতে হবে।

যদি দুই বছর লেগে যায়, দুই বছরের যাকাত দিতে হবে। ঋণ পরিশোধ করতে যদি চার বছর লেগে যায় চার বছরের যাকাত দিতে হবে।
 
যতগুলো বছর ঋণ পরিশোধ করতে লাগবে সবগুলো বছরে যাকাত আপনাকে হিসাব করে দিতে হবে।

আরো জানুনঃ- 

★আপনার ভাইকে যে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া আছে, এটি যেহেতু এখনো আপনার হস্তগত হয়নি, তাই এটির যাকাত আপনাকে এখন দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...