আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (4 points)
edited by
কোনো নারীর কাছে স্বর্ণ আছে;যেটা সাড়ে সাত ভরি থেকে কম [বর্তমান বাজার মূল্যে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণ] কয়েক গ্রাম রূপা আছে; যা সাড়ে বায়ান্ন তোলা থেকে কম। আর ৭৩০০ টাকা আছে। তার নিজস্ব কোনো ইনকাম নাই। তার মাহরামের উপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল।

এমতাবস্থায়
১.সে নারীর কি যাকাত ফরয হবে?

২.তার উপর কি কুরবানী ফরয হবে?

৩. তার মাহরামের নিকট পর্যাপ্ত অর্থ নাই যে সে তার উপর যাকাত এবং কুরবানী ফরয হলে তার হয়ে আদায় করবে। এমন অবস্থায় নারীটি কি করবে?

৪.যাকাত কুরবানী ফরয হওয়ার ক্ষেত্রে কি বাজার দর গ্রহণযোগ্য হবে? নাকি ওজন?

৫.বাজার দর দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাহলে অল্প স্বর্ণ থাকলেও কি যাকাত কুরবানী আদায় করতে হবে?

৬. স্বর্ণ যত টাকার ই হোক সাড়ে সাত ভরি না হলে কি যাকাত কুরবানী ফরয হবে?

৭. ৭৩০০/- খরচ করলে কি কুরবানী যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে? এটা কি নিসাবের অন্তর্ভুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। -সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক  হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا

ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।

ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২।

সাড়ে ৫২ ভরি রুপা হলে তার উপর যাকাত ফরজ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن أبي سعيد الْخُدْرِي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «ليس فيما دون خمس أَوَاقٍ صدقة، ولا فيما دون خمس ذَوْدٍ صدقة، ولا فيما دُونَ خمسة أَوْسُقٍ صدقة».  
[صحيح] - [متفق عليه]

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যমুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচটি উটের কমের ওপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম শষ্যের ওপর যাকাত নেই।”
(বুখারী,মুসলিম)

শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে পূর্ণ  নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩)

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত সম্পদ তার মালিকানায় আসা পর বছর পূর্ণ হলে সেক্ষেত্রে তার উপর যাকাত ফরজ হবে। এক্ষেত্রে টাকার পাশাপাশি স্বর্ণ ও রুপার ওপর ও যাকাত দিতে হবে।

এক্ষেত্রে তিনি উক্ত স্বর্ণ ও রুপার বর্তমান বাজার মুল্য ধরে তার মালিকানায় থাকা ৭৩০০ টাকার সাথে যোগ করবেন।
এরপর পুরোটার শতকরা আড়াই পার্সেন্ট তথা চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত হিসেবে প্রদান করবেন।

(০২)
তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
এক্ষেত্রে তিনি নিজের টাকা হতে কুরবানী ও যাকাত আদায় করবে,তাহা যথেষ্ট না হলে কাহারো থেকে ঋন নিয়ে কুরবানী ও যাকাত আদায় করবে।

তা না হলে সেক্ষেত্রে তার স্বর্ণ ও রুপার কিছু অংশ বিক্রয় করে হলেও তাকে কুরবানী ও যাকাত আদায় করতেই হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে তার মালিকানায় থাকা স্বর্ণ ও রুপার বর্তমান বাজার মুল্য ধরে তার মালিকানায় থাকা টাকার সাথে যোগ করে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।

(০৫)
হ্যাঁ করতে হবে।

(০৬)
এক্ষেত্রে স্বর্ণের পাশাপাশি তার মালিকানায় কোনো রুপা ও টাকা পয়সা না থাকলে তার উপর যাকাত ফরজ হবেনা। 

(০৭)
তার উপর কুরবানী ও যাকাত আবশ্যক। 

এখন সেই সেই তার মালিকানায় থাকাতে ৭৩০০ টাকা খরচ করবে! না তা হতে যাকাত কুরবানী আদায় করবে! সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।

তাকে যেভাবেই হোক যাকাত কুরবানী আদায় করতেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...